‘হিজরী সন’-এর প্রতি বিদ্বেষ করেই এলাহী বা ফসলী সন চালু করা হয়েছে
, ২৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় করতো। খাজনা আদায়ে নতুন প্রথা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর নতুন সনের প্রবর্তন করে। সম্রাটের আদেশ মতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবী হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে নতুন সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল এলাহি সন বা ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। (সূত্র: উইকিপিডিয়া)
আকবরের শাসনামলে আকবর প্রাথমিক অবস্থায় একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ছিলো, কিন্তু কালক্রমে রাজদরবারের অভ্যন্তরের রাজপুত এবং হিন্দু রানীদের প্ররোচনা এবং তৎকালীন হিন্দুদের আবেদনে সে এক বিকল্প সন খুঁজছিল। হিন্দুদের অভিযোগ ছিল, যেহেতু হিজরী সন অনুসারে রাজ্য পরিচালনা করা হচ্ছে, সেহেতু তাদের পূজা-অর্চনায় সমস্যা হচ্ছে।
আনন্দনাথ রায়ও ঠিক এমনটাই লিখেছে- “আকবর বাদশাহর রাজত্বকালে হিন্দু সম্প্রদায় বাদশাহের কাছে জ্ঞাপন করে, আমাদের ধর্মকর্ম সম্পর্কীয় অনুষ্ঠানে হিজরী সন ব্যবহার করতে ইচ্ছা করি না। আপনি আমাদের জন্য পৃথক সন নির্দিষ্ট করে দিন। আকবর হিন্দু প্রজার মনোরঞ্জনার্থে হিজরী সন থেকে দশ-এগার বছর কমিয়ে এলাহী সন নামে একটি সনের প্রচলন করেন। যা আমাদের বঙ্গদেশের সন বলে চলে আসছে। ” (সূত্র: বারভূঁইয়া, লেখক- আনন্দরায়)
সুতরাং এখানে বোঝা যাচ্ছে হিন্দুদের পূজা ও হিজরী সনের প্রতি বিদ্বেষের কারণ এবং আকবরের খাজনা আদায় তথা আর্থিক উপকারের স্বার্থেই এই এলাহী বা ফসলী সনের উৎপত্তি।
সুতরাং এটা কিভাবে বাঙ্গালীর হাজার বছরের উৎসব হতে পারে? যারা পহেলা বৈশাখ, এলাহী বা ফসলী সনের পক্ষে সাফাই গায় তাদের ব্যক্তিগত জীবন বৃত্তান্ত দেখলে এটা অবশ্যই প্রকাশ পাবে- তারা কোনো না কোনোভাবে বিধর্মীদের সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত বা বিধর্মীদের দালাল। তারা কখনোই প্রকৃত মুসলিম হতে পারে না।
-আবুল কালাম আর রাযী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)