‘মদীনা সনদ’ অনুসরণের জন্য নয়, বরং দৃষ্টান্ত হিসেবে কাফির-মুশরিকদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য
, ১০ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৮ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১২ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
বিপথগামী মুসলিম নেতাদের দ্বারা ‘মদীনা সনদ’ এর দোহাই দেয়ার সূত্রপাত হয়েছিল দেশভাগের সময়, দেওবন্দের আহমক নাদানীর দ্বারা। মুসলিম ও হিন্দু একই জাতি, এরূপ দাবি করে আহমক নাদানী একটি রেসালা প্রকাশ করে ‘মুত্তাহিদা কওমিয়াত আউর ইসলাম’ তথা ‘ইসলাম ও একজাতিতত্ত্ব’ নামে। এই প্রবন্ধে মদীনা সনদে উল্লেখিত ইহুদীদের সাথে সহাবস্থানের চুক্তি অনুযায়ী উপমহাদেশে হিন্দুদের সাথেও মুসলমানদের সহাবস্থান করা উচিত, হিন্দুদের একই জাতি হিসেবে গণ্য করা উচিত, পাকিস্তান নয় অখ- ভারত মেনে নেয়া উচিত, এটাই ছিল বিপথগামী দেওবন্দী আহমক নাদানীর মন্তব্য।
অথচ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সূরা তওবা শরীফ অনুযায়ী কাফির-মুশরিকদের সাথে কৃত পূর্বেকার সমস্ত চুক্তিই বাতিল বলে গণ্য হয়েছে, যাদের মধ্যে হুদায়বিয়ার সন্ধি থেকে শুরু করে মদীনা সনদও অন্তর্ভূক্ত। মদীনা সনদে দুটি ইহুদী গোত্রের সহিত চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মুসলমানগণ, বনু নাজির ও বনু কুরাইজা। বনু নাজির গোত্র কর্তৃক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করার চক্রান্ত হয়, যা ধরা পড়ার পর বনু নাজির মদীনা শরীফ থেকে নির্বাসিত হয়। বনু কুরাইজা খন্দকের যুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গ করে মুশরিকদের পক্ষাবলম্বন করে, যে কারণে তারাও যুদ্ধশেষে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়।
‘মদীনা সনদ’ এজন্য প্রণীত হয়নি যে, তা মুসলমানদের নিকট পালনীয় হবে। বরং ‘মদীনা সনদ’ প্রণীত হয়েছিল কাফির-মুশরিকরা যে বিশ্বাসঘাতক তথা শত্রু, এই সত্যকে উন্মোচিত করার জন্য। এই সত্যকে উন্মোচিত করে মনসুখ হিসেবে ঘোষিত হওয়ার জন্যই ‘মদীনা সনদ’ নজির তথা দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রণীত হয়েছিল। কিন্তু মুসলমানরা করেছে উল্টোটা, তারা নজির হিসেবে গ্রহণের বদলে অজ্ঞতাবশতঃ মদীনা সনদকে ধরে নিয়েছে অনুসরণীয় হিসেবে। আর মুসলিম নেতার ভেক ধরে থাকা ইসলাম বিদ্বেষী নেতানেত্রী, সরকার ও অতীতের আহমক নাদানীর ন্যায় বর্তমানের উলামায়ে সূ’রা তাদের কাফির-মুশরিক প্রীতির কারণে মদীনা সনদকে করেছে তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার।
-গোলাম মুর্শিদ
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ‘সূ’ আহাজারীর কুফরী মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সব ঈমানদারদের আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কনসার্ট, যাত্রা, সিনেমা ও জোকারী কায়দায় ওয়াজকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও ইতিহাস থেকে ভালো শাসক হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুখ্যাত জেনাখোর এবং জেনা করার জন্য ওয়াজকারী আমীর হামজা কী? তার ওস্তাদ তারেক মনোয়ারের কাছ থেকেই হারামের (ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী) দীক্ষা পেয়েছে?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, লুটপাটের ইতিহাস
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রেক্ষিত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে, “..... সৌন্দর্য নিয়ে ওয়াজ; ক্ষমা চেয়ে আমির হামজা বললো ‘আমি সুস্থ না’” হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ বিরোধী হামজা গং ইলমে তাসাউফের বিরোধীতা করায় ওয়াজের গযবে- এখন জিনা করার জন্য ওয়াজ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: কুয়েতে ঋণ নিয়ে নার্সসহ দেড় হাজার ভারতীয়ের পলায়ন অবিলম্বে সব মুসলিম দেশ থেকে ভারতীয় হিন্দুদের উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পশ্চিমা মিডিয়ার স্বাধীনতার নমুনা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)