‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ যে কত ভয়ংকর, তার বড় নমুনা তুরস্ক
, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
কাফির-ইহুদী নাস্তিকগুলো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বুলি আওড়িয়ে যেসব মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংবিধান থেকে রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উঠিয়ে দিয়েছিল- এর প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের মুসলমানদের পরবর্তীতে কঠিন পরিণতি পোহাতে হয়েছিল। এর মধ্যে তুরস্ক জঘন্যতম। তুরস্কে যখন কামাল লা’নাতুল্লাহ আলাইহি সে কাফির-ইহুদী-খ্রিস্টান ও নাস্তিকদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে তুরস্কের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিয়েছিল। তখন সেখানকার সমস্ত বড় বড় মসজিদগুলো জাদুঘর ও ঘোড়ার আস্তাবলে পরিণত করা হয়েছিল। মেয়েদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং রাস্তায় বিশেষ পুলিশ নিয়োগ দেয়া হয়েছিল মুসলমান মেয়েদের ওড়না কেড়ে নেয়ার জন্য। নাউযুবিল্লাহ! আরবী ভাষার পরিবর্তে তুর্কি ভাষায় আযান দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। মুসলমানদের নামের পূর্বে ‘মুহম্মদ’ ও ‘আহমদ’ নাম মুবারক রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। দাড়ির উপর ভ্যাট বসানো হয়েছিল। কুরবানী নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আলেমদের পাগড়ি-কোর্তা পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সাক্ষাতকালে সালামের পরিবর্তে কাফিরদের প্রচলিত গুড মর্নিং, হাই, হেলো ইত্যাদি বলা বাধ্য করা হয়েছিল। হজ্জ, উমরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস প্রবর্তন করা হয়েছিল। ইসলামী কোনো বিষয় বললে জেল-ফাঁসি দেয়া হতো। মুসলমানদের বিশেষ দিবস- পবিত্র ১২ই শরীফ, পবিত্র লাইলাতুল বরাত, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে কাফিরদের প্রচলিত দিবসগুলো পালন করতে বাধ্য করা হয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! অর্থাৎ নাস্তিক্য মতবাদ প্রবর্তন করা হয়েছিল। নাউযুবিল্লাহ!
বর্তমানেও মালউন বিধর্মী ও নাস্তিকগুলো ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি আওড়িয়ে আমাদের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম তুলে দিয়ে ইসলামবিরোধী কার্যক্রম ও নাস্তিকতার সয়লাব ঘটাতে চায়। কিন্তু না, সেই সময় এই সময় নয়; বর্তমান যামানায় অবস্থান মুবারক করছেন সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি। উনার রোবের কারণে বিশ্বের সমস্ত কাফির-নাস্তিকগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। এদেশে যারা কাফির- নাস্তিকদের খুদ-কুড়া খেয়ে নাস্তিকতার সয়লাব ঘটাতে চায় তাদের উচিত- খালিছ তওবা ইস্তেগফার করে ফিরে আসা। অন্যথায় খোদায়ী আযাব-গযবে ধ্বংস হওয়া ব্যতীত উপায় থাকবে না।
-মুহম্মদ রফিকুল ইসলাম।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তাদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (১)
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)