আপনাদের মতামত
‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’ সাধারণ মানুষের জন্য নয়, উপজাতী নামধারী সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন’ নামধারণকারী একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমাদের দেশে। সেই প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব হলো দেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে সেখানেই ছায়া হয়ে ভুক্তভূগীর পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু কি করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন?
পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি অঞ্চল যেখানে সারা দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বিচার বহির্ভূত অপরাধ সংগঠিত হয়। উপজাতী সন্ত্রাসীদের নিত্য অপকর্মে এখানকার জনজীবন অসহায়। সুতরাং এই অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে থাকাটা অবশ্যই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মৌলিক দায়িত্ব। কিন্তু কী করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন?
পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন উপজাতী সন্ত্রাসী নিহত হলে কিংবা সন্ত্রাসীদের গায়ে সেনাবাহিনীর নামে কোন আঁচড় লাগলে প্রায়ই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু পাহাড়ে সাধারণ কোন নাগরিক যখন উপজাতী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে জীবন দেয় তখন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। সম্ভব পাহাড়ে কোন সাধারণ নাগরিকের পক্ষে কাজ করা মানবাধিকার কমিশনের সংবিধানে নেই।
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠনের প্রকাশ্য অস্তিত্ব পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান। উপজাতীয় তিন সশস্ত্র রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের অত্যাচারে দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে থাকে। এমন কোন দিন নেই যে, উপজাতী সশস্ত্র সংগঠন দ্বারা পাহাড়ের সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হচ্ছে না। কিন্তু এই নির্যাতিত সাধারণ মানুষগুলোর পাশে কেউ নেই। মানবাধিকার কমিশনের চোখে এসব কখনো আসেনা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে যখন সেনাবাহিনীর সাথে বন্ধুক যুদ্ধে কোন উপজাতী সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলেও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের হাতে পাহাড়ের সাধারন মানুষ ও বাঙালিরা নিহত হলে তখন ঐ কমিশনের দৃষ্টিতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়না। এদিকে পাহাড়ে সেনা সদস্য হত্যা তো কোন অধিকারের পর্যায়েই আসেনা।
শুধু পাহাড়ে নয়, সমতলেও সারাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য খুন, গুম, ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটছে। তাদের মধ্যে অনেক ঘটনা ব্যাপকভাবেও আলোচিতও হয়েছে। কিন্তু মানবাধিকার কমিশনকে সেসব নিয়ে তদন্ত করতে দেখা যায় না, সেসব নিয়ে সচল হতে দেখা যায়নি। কিন্তু মানবাধিকার কমিশন সচল হয়েছে কল্পনা চাকমা ইস্যু নিয়ে, তনু ইস্যু নিয়ে, রোমেল চাকমা ইস্যু নিয়ে- যার প্রত্যেকটি ঘটনার সাথে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নাম কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে ছিল। মানবাধিকার কমিশনের এই সেনা স্পর্শকাতরতার কারণ কি হতে পারে তার উত্তর জাতি দেবে হয়তো একদিন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বরাবরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একপেশে কাজ করে যাচ্ছে। যা সাধারন মানুষের জন্য নয়, উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের জন্য। শুধু উপজাতী সন্ত্রাসী নয়, যারা রাষ্ট্রদ্রোহী এবং স্বাধীন বাংলার একটি অংশকে আলাদা নতুন রাষ্ট্র জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদের জন্য। সুতরাং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নামক প্রতিষ্ঠানটি বস্তুত মানবাধিকার আদায়ে সাধারন মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত কোন প্রতিষ্ঠান নয়। এটা বিশেষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সন্ত্রাস বান্ধব একটি প্রতিষ্ঠান এটাই এখন প্রমানিত।
-মুহম্মদ আসাদুল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)