১৫ টাকার আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে আলুর ‘রেকর্ড’ উৎপাদন, তবুও দামে আগুন ৫০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকলেও দাম বাড়ছে সিন্ডিকেটের কারণে সরকার তথা প্রশাসনের নির্লিপ্ততায়ই আলুর আগুনে পুড়ছে মানুষ
, ১৫ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
মূলত আলু উৎপাদনের পরিমাণ সরেজমিনে দেখতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে সারা দেশে যাওয়া হচ্ছে। সে কারণে মহাপরিচালক মুক্তারপুর এলাকার হিমাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলেন আলুর প্রকৃত মজুত দেখতে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, যে পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে, তাতে কোনো ঘাটতি থাকার কথা নয়। ২৫-২৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও যথেষ্ট লাভ থাকে।
অথচ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন বিভাগের পরিচালক বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে আলুর ঘাটতি নেই।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বার্ষিক উৎপাদন পরিসংখ্যান বলছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর দেশে আলুর উৎপাদন ২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।
চলতি বছর কৃষকরা রেকর্ড প্রায় ৩ কোটি টন আলু উৎপাদন করেছেন বলে জানা গেলেও বাজারে আলুর দাম কমছে না। ফলে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ব্যবসায়ী ও কৃষকরা শীতে বিক্রির জন্য হিমাগারে আলু মজুদ রাখেন। তারা ধীরে ধীরে তাদের মজুদ থেকে আলু বাজারে ছাড়েন।
সেপ্টেম্বরে আলু রোপণের পর তা সংগ্রহ করতে ৯০ দিন সময় লাগে। জানুয়ারিতে ফসল তোলার পর পরবর্তী কয়েক মাস বাজারে আলুর সরবরাহ নিশ্চিত থাকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুনের মধ্যে হিমাগারে মজুদ আলু ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে পরবর্তী মৌসুমের আলু তোলা পর্যন্ত বাজারে পুরনো আলু থাকে। বছরের এই সময় অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকায় আলুর চাহিদা বেড়ে যায়।
অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিমভাবে দাম বৃদ্ধি করছে বলেই কৃষক পর্যায়ে বিক্রি হওয়া ১৫ টাকা কেজি দরের আলু বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে আলুর দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অযথা মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে অধিদপ্তর কৃষি মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। এই প্রতিবেদনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কৃত্রিমভাবে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০.৫০ টাকা, যেটা সব খরচ মিলে খুচরা বাজারে ৩২ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আলুর দাম বৃদ্ধি করছে, যা এখন ৪৫-৫০ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর জন্য অবশ্য হিমাগার মালিকদেরও দায়ী করা হয়েছে। কারণ হিমাগার মালিকরা চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ আলু বাজারে ছাড়ছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, প্রতিবছরের ন্যয় এবারও ফেব্রুয়ারী মাস থেকে দেশের আলু উঠতে শুরু করে। আলুর একটা অংশ কৃষক পর্যায় থেকে সরাসরি বাজারে আসে, কৃষকের কাছে কিছু মজুদ থাকে এবং বাকিটা থাকে হিমাগারে। ৩৬৫টি হিমাগারে এ বছর ২৪.৯২ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষকের হাতে আলু শেষ হওয়ার পর জুন থেকে হিমাগারের আলু বাজারে সরবরাহ আসতে থাকে। কিন্তু এই সরবরাহ ঠিকভাবে হচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
যারা আলু স্টক করেছেন তারা বাজারে চাহিদার তুলনায় কম আলু দিচ্ছেন। আবার প্রতি কেজি আলু কোল্ড স্টোরেজ থেকে মানভেদে ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে তারা কেজিপ্রতি ১২-১৩ টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। এই কারণেই বাজারে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বছরে আলুর সব ধরনের চাহিদা পূরণের পরও ৫০ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে সংকটের কোনো প্রশ্ন-ই নয়। উৎপাদনের সঙ্গে বর্তমানের আলুর মূল্যবৃদ্ধির সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক অন্য কোথাও। সরবরাহের বড় কোনো সংকট না থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে রাখছেন।
দেশে আলু উৎপাদনের শীর্ষ জেলা মুন্সিগঞ্জের ৬৩টি হিমাগারে চাহিদার চেয়েও দ্বিগুণ পরিমাণ আলুর মজুত রয়েছে। তবু সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কয়েক দফা বেড়েছে দাম। সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের যথাযথ বাজার তদারকি না থাকায় নানা অজুহাতে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুতে দামের পার্থক্য ১৫ থেকে ১৯ টাকা পর্যন্ত ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি খুচরা বাজারে ফের আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। তবে এ নিয়ে বাজারে নানা অজুহাত রয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের দাবি, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে আলুর দাম।
কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা এখন সেই অজুহাতে আলুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আলু সিদ্ধ ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার উপায় নেই দিনমজুর গরিব মানুষদের।
কৃষি সম্প্রসারণ জানায়, আলু রোপন মৌসুম থেকে শুরু করে উত্তোলন পর্যন্ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। তবে কৃষকদের আলু বিক্রি করে দেয়ার পর, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই কৃষি বিভাগের। কিন্তু এসব দায়সারা কথা। কৃষি সম্প্রসারণই সরকারের একমাত্র উহং নয়। সরকারের বহু জাতের সাথে রয়েছে শক্তিশালী প্রশাসন। তাই প্রশাসনেরই উচিত অন্তত বাজারগুলোতে মনিটরিং করে আলুসহ অন্যান্য সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে ক্রমেই ছোট হচ্ছে সুন্দরবন, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)