হোটেল, রেস্তোরা, ক্যান্টিনে গরুর গোশত বন্ধ করতে চাওয়া ব্যক্তিদের কিছু প্রশ্নের উত্তর (৩)
, ০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
(৩) প্রশ্ন :
হল ক্যান্টিন বা কোন রেস্তোরায় যদি শুকরের গোশত রান্না হতো, তখন কি করতেন? তাহলে গরুর গোশত রান্না হলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কেমন লাগে একবার চিন্তা করুন?
উত্তর :
আসলে কেউ চাইলেই কোন হল ক্যান্টিন বা রেস্তোরা শুকরের গোশত রান্না করবে না। কেউ যদি শুকরের গোশত রান্না করতেই চায়, তবে সে জন্য পৃথক ক্যান্টিন, রেস্তোরা বা মেস লাগবে। বাংলাদেশে হিন্দু জনগোষ্ঠী প্রায়ই মুসলমানদের সাথে একসাথে কোন হোটেল, রেস্তোরা বা ক্যান্টিনে খেতে গিয়ে এ যুক্তিটি বলে। কিন্তু কোন হিন্দু ব্যক্তি যদি তাদের ধর্মীয় মতে রান্না করতেই চায়, তবে সে জন্য তাদের পৃথক হিন্দু হোটেল/রেস্তোরা/ক্যান্টিন লাগবে, এছাড়া তা সম্ভব না। সেই হিন্দু হোটেলে তারা পছন্দমত খাবার খেতে পারবে। এটা নিয়ে কোন মুসলমান কথা তুলবে না। ইউরোপ-আমেরিকা যেসব দেশে মুসলমানরা সংখ্যালঘু, সেখানে কিন্তু মুসলমানরা ‘হালাল হোটেল’ খুলেছে, যেখানে মুসলমানরা দ্বীন ইসলাম মোতাবেক খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু মুসলমানরা কিন্তু অন্য ধর্মের খাদ্য গ্রহণের অধিকারে বাধা দেয় নাই। বলে নাই, অন্য ধর্মের লোকের এটা খেতে পারবে না, ওটা খেতে পারবে না। বরং নিজেদের খাদ্য ব্যবস্থা পৃথক করে নিয়েছে। বাংলাদেশেও সংখ্যালঘু হিন্দুদের এমনটা করা উচিত। তারা যেটা করে, মুসলমানদের খাদ্য গ্রহণের অধিকারে বাধা দেয়, বলে- গরু খেতে পারবে না। কিন্তু কারো ধর্মীয় বিষয়ে বাধা দেয়ার অধিকার তারা রাখে না। তাদের যদি এত সমস্যা হয়, তবে তারা পৃথক হোটেল, রেস্তোরা কিংবা ক্যান্টিন খুলে নিক। যদি তাদের জনসংখ্যা কম হয়, তবে সবাই মিলে মেস পদ্ধতিতেও খেতে পারে। কিন্তু সেটা না করে তারা নানান যুক্তি তর্ক দিয়ে মুসলমানদের খাবার মেন্যুতে কাটছাট করে, এটা কখনই গ্রহণযোগ্য না।
এখানে একটি বিষয় বুঝার আছে, একই ঘরে যেমন মসজিদ ও মন্দির হতে পারে না, তেমনি খাবারের বিষয়টিও মুসলমান-হিন্দুর জন্য এক হতে পারে না।
এই যে খাদ্য গ্রহণে পদ্ধতিগত পার্থক্য, সেটা কেউ চাইলেই এক করতে পারবে না। বরং এক করতে গেলে পরস্পরের ধর্মীয় অনুভূতি বাধাগ্রস্ত হবে নিশ্চিত। তাই মুসলিম ও হিন্দুদের ক্যান্টিন, রেস্তোরা মেস পৃথক হলে ভালো। তখন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের পছন্দমত আইটেম খেতে পারবে আর মুসলমানদের গরুর গোশত খেতে বাধা দিতে পারবে না।
-মুহম্মদ সামদানি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)