হেক্টরপ্রতি ফল উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশ। বাড়ছে দেশি-বিদেশি ফলের উৎপাদন। অথচ অপ্রত্যাশিতভাবে আমদানি হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকার বিদেশি ফল।
বিদেশি ফলের রাসায়নিক বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। সরকার যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে আমদানির পরিবর্তে ২০ হাজার কোটি টাকার ফলই রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ।
, ০৯ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
গত ১০ বছরে দেশের আমের উৎপাদন বৃষ্টি পেয়েছে দ্বিগুন, পেয়ারা দ্বিগুনেরও বেশি, পেপে আড়াই গুন এবং লিচু উৎপাদন ৫০% বেড়েছে। বাড়ছে ফল চাষের জমির পরিমাণও। বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষের পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনা ও সড়কের পাশে ফল গাছ রোপণ দিন দিন বাড়ছে। বছরে ১০% হারে ফল চাষের জমি বাড়ছে।
শুধু দেশীয় ফলই নয় বিদেশি ফল চাষেও এখন রোলমডেল বাংলাদেশ। বিদেশী ফল হিসেবে পরিচিত স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফ্রুট, রাম্বুটান, আনার, আপেল, আঙ্গুর, সৌদি খেজুর প্রভৃতি অতীতে আমাদের দেশে উৎপন্ন হতো না। বর্তমানে সয়েল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে এসব ফল সফলভাবে দেশেই প্রচুর আবাদ হচ্ছে। আজ হতে প্রায় ৩০ বছর আগে দেশের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্ট্রবেরি দুষ্পাপ্য ফল হিসেবে চড়া মূল্যে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। কৃষিবিদদের সফল গবেষণায় প্রায় দুই দশক ধরে বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফলটির আবাদ হচ্ছে। ড্রাগন ফ্রুট মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া এ দু’টি দেশে ব্যাপকভাবে উৎপন্ন হয়। স্ট্রবেরির মতো অতীতে দেশে মালয়েশিয়া থেকে ড্রাগন ফ্রুট আমদানি করা হতো। ড্রাগন ফ্রুটের ক্ষেত্রেও আমাদের কৃষিবিদরা সফলভাবে উৎপাদনে সক্ষম হওয়ায় বর্তমানে এটি দেশের সর্বত্র আবাদ হচ্ছে এবং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পূর্বে খেজুরের ক্ষেত্রে বিদেশনির্ভরতা থাকলেও বর্তমানে দেশেই আরবের জনপ্রিয় জাতের খেজুরগুলো বাগান আকারে দেশে চাষ হচ্ছে। আগামীতে খেজুরেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।
শুধু উৎপাদনই নয় পাশাপাশি রফতানিতেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ফল রপ্তানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বাংলাদেশ। বছরের পর বছর এ আয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মৌসুমি ফল এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, জার্মান, ইতালি, ফ্রান্স, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। আগামী দিনে চীন, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি ফল রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, ফল উৎপাদনে এত সাফল্যের পরও প্রতি বছর বিদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করা হচ্ছে। দেশি ফলের বাজারে বছরের বছরের পাঁচ মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি চলে আমদানিকৃত বিদেশি ফল। প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিদেশি ফল বাংলাদেশে আমদানি হয়ে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব করে রাখে। বর্তমানে আপেল আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম এবং ‘ফ্রেশ অরেঞ্জ’ বা মাল্টা আমদানিতে অষ্টম। সমুদ্রবন্দর, স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি বিদেশি ফল দেশে ঢুকছে।
ফলে দেশের ফলের বাজারের দাম পড়ে যাচ্ছে। সরকারের উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার কারনে দেশীয় ফল ব্যবসায়ী ফলের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিপরীতে নাগরিকরা উচ্চমূল্যের বিদেশি রাসায়নিকযুক্ত ফল খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। দেশের ফল উৎপাদনের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা তার কোনো সুফলই পাচ্ছে দেশ ও দেশের মানুষ।
প্রসঙ্গত, স্বয়ংসম্পূর্ণতার তথা স্বতঃস্ফূর্ততার কদর না করলে একসময় তা ঘাটতির দিকে ধাবিত হয়। দেশে বিপুল পরিমাণ ফল-ফলাদি উৎপাদন হওয়ার পরও যখন তার সুফল দেশের মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌছানো হয় না। ফল চাষীর অধিকার সংরক্ষণ হয়না। তখন এক পর্যায়ে উৎপাদন কমতে থাকবে। যেমনটি হয়েছে ধান, পাটের ক্ষেত্রে।
তাই সরকারের উচিত হবে, বিদেশ থেকে ফল আমদানি কমিয়ে সারাবছর শত শত জাতের সুমিষ্ট এবং তরতাজা ফলের বাজার বিকশিত করা। এজন্য সরকারের উচিত, বিদেশি ফল আমদানির সিন্ডিকেট নির্মূল, দেশীয় ফল রফতানিতে প্রণোদনা প্রদান করা। পাশাপাশি ফলের বাগান তৈরীতে বিশেষ ঋণ সরবরাহ করা। যথেষ্ট সংখ্যক হিমাগার করা। বাজার সরবরাহ সহজ এবং সাবলীল করা। পরিবহন খরচ কমানো। বাজার ব্যবস্থা উন্নত করা। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানির পরিবর্তে ২০ হাজার কোটি টাকার ফল রফতানি করা সম্ভব হবে। ইনশাআল্লাহ!
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)