হিকায়াতুল আবরার বা নছীহতমূলক ঘটনাসমূহ
, ১০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলের রিযিকের জিম্মাদার। অন্য কেউ রিযিকের জিম্মাদার নয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি রিযিক দিয়ে থাকেন। যেমন এই প্রসঙ্গে বলা হয় যে- হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম। উনার অধীনে সারা পৃথিবীর কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছিল। মাটি, পানি, বাতাস, আগুণ, তরুলতা, গাছ-পালা, পশু-পাখি সবকিছু উনার অনুগত করে দেয়া হয়েছিল। উনার প্রসঙ্গে বলা হয়, তিনি যদিও সমস্ত কিছুর মালিক ছিলেন, তারপরেও তিনি থলি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে উনার সংসার চালাতেন। বাজারের থলি বানিয়ে বাজারে বিক্রী করে সেটা দিয়ে যা আয় হতো, তা দিয়ে তিনি সংসার চালাতেন। হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি একদিন মনে মনে চিন্তা করলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতে আমার এই ব্যাগগুলি বিক্রি করার উছীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি এটার বিনিময়ে আমার রিযিক দিয়ে থাকেন। তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন যে, এই ব্যাগগুলি আমি বাজারে বিক্রি করি। এই উছীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার রিযিক দিয়ে থাকেন। তিনি এটা মনে মনে খেয়াল করলেন। খেয়াল করার সাথে সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠালেন। হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! আপনি যান, আমার নবী হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার কাছে গিয়ে বলুন, তিনি যেন আকাশের দিকে লক্ষ্য করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার কাছে পাঠালেন, এসে তিনি যখন এটা বললেন, তিনি সত্যিই আকাশের দিকে লক্ষ্য করলেন। আকাশের দিকে লক্ষ্য করে তিনি তাআজ্জুব হয়ে গেলেন, মহান আল্লাহ পাক এটা কি? প্রতিদিন আমি আকাশে দেখি অসংখ্য তারকা-নক্ষত্র কিন্তু আজকে তো কিছুই নেই। থলি আর থলি সমস্ত আকাশে থলি ঝুলছে। অর্থাৎ ব্যাগ, বাজারের ব্যাগগুলি আকাশে ঝুলছে। মহান আল্লাহ পাক! এটা কি কুদরত, এটা কিসের কুদরত, আজকে ব্যাগ আসলো কোথা থেকে? এই চন্দ্র তারকার পরিবর্তে শুধু ব্যাগ আর ব্যাগ। এটা আসলো কোথা থেকে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন বললেন, “হে আমার সম্মানিত নবী হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম! আপনি হয়ত মনে করেছিলেন, আপনি খুব সুন্দর করে ব্যাগ বানান, সেটা বাজারে বিক্রি করেন, মানুষ কিনে নিয়ে যায়, আপনার রিযিকের বন্দোবস্ত হয়ে যায়। কিন্তু না, আপনার সব ব্যাগ মানুষ খরীদ করে না। যেহেতু রিযিকের জিম্মাদার আমি, কাজেই যখন কোন জিন-ইনসান আপনার এইগুলি খরীদ করে না, আমি তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দিয়ে খরীদ করিয়ে আপনার রিযিক পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি এবং সেই ব্যাগগুলি আমার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বারা নিয়ে আসি।”সুবহানাল্লাহ! সেই ব্যাগগুলি আমি আকাশে ঝুলিয়ে রেখেছি। দেখেন, কতগুলি ব্যাগ মানুষ খরীদ করেছে, আর কতগুলি ব্যাগ আমি খরীদ করেছি।
وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللهِ رِزْقُهَا
“যমিনে যত প্রাণী রয়েছে, সকলের রিযিকের জিম্মাদার মহান আল্লাহ পাক তিনি।”(পবিত্র সূরা হূদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০৬)
আমি সেই ব্যাগগুলি খরীদ করিয়ে নিয়ে এসেছি। আমার দায়িত্ব হলো রিযিক পৌঁছিয়ে দেয়া। আমি রিযিক পৌঁছিয়ে দিয়ে থাকি। কারণ
إِنَّ اللهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি মজবুত রিযিক দেনেওয়ালা।” (পবিত্র সূরা যারিয়াত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার একটা ঘটনা উল্লেখ করা হয় যে- একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার হুজরা শরীফে গেলেন হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম এবং হযরত ইমামুছ ছানী (হাসান) আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমামুছ ছালিছ (হুসাইন) আলাইহিস সালাম উনাদেরকে দেখার জন্য। যখন গেলেন তখন হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি কি মেহমানদারী করবেন? তখন উনার হুজরা শরীফে কিছুই ছিল না মেহমানদারী করার মতো। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এসেছেন, কিছু মেহমানদারী করা সুন্নত। কি মেহমানদারী করবেন, কিছুই নেই হুজরা শরীফের মধ্যে। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি একটু বসেন, আপনি একটু আলোচনা করেন, কথাবার্তা বলেন, আমি এখনই আসছি। তিনি বের হয়ে বাজারে আসলেন। উনার উদ্দেশ্য হলো- বাজার থেকে যদি কিছু পয়সা জোগাড় করা যায়, পয়সার বন্দোবস্ত করা যায়, সেই পয়সাটা দিয়ে কিছু খাদ্য খরীদ করে নিয়ে তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মেহমানদারী করবেন। তিনি যখন বাজারে আসলেন, হঠাৎ দেখলেন কি! একজন লোক একটি ঘোড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি যাচ্ছেন, উনাকে লোকটা বললেন, হে হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম! কোথায় যাচ্ছেন আপনি? কিছু ব্যবসার জন্য এসেছিলাম। আমার এই ঘোড়াটা ছয় দিনারে বিক্রি করব, আপনি কিনবেন কি? তিনি বললেন হ্যাঁ, কিনতে পারি। তিনি বললেন, আমি নিতে পারি, তবে শর্ত হলো- আমি এখন পয়সা দিতে পারবো না। আমি বিক্রি করে পয়সা দেব। বেশ, ঠিক আছে, আমি এখানে অপেক্ষা করছি, আপনি নিয়ে যান। হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সেটা কিনে রওয়ানা হলেন সামনের দিকে। কিছু দূর যাওয়ার পরে এক লোক বললেন, হে হযরত ইমামুল আউওয়াল কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম! আপনি কোথায় যাচ্ছেন? তিনি বললেন, বাজারে এই ঘোড়াটা বিক্রি করার জন্য যাচ্ছি। সে ব্যক্তি বললেন, আমি তো কিনতে চাচ্ছি। কত বিক্রি করবেন? তিনি বললেন, আপনি কত দিতে চান? সে ব্যক্তি বললেন- দশ দীনার। ঠিক আছে, তিনি দশ দীনার বিক্রি করে দিলেন। বিক্রি করে ছয় দীনার সেই ব্যক্তিকে দিয়ে দিলেন। তিনি চার দীনার দিয়ে খাদ্য নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে গিয়ে পেশ করলেন। পেশ করে তিনি খুব খুিশ হলেন, উনার দিল এতমিনান হয়ে গেল। তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আজকে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। একটা খুব সুন্দর ঘটনা ঘটেছে। কি ঘটনা ঘটেছে? মহান আল্লাহ পাক তিনি তো উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আগেই সেটা জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুুবারক হয়েছে-
أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে (সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত) সমস্ত ইলিম মুবারক হাদিয়া করেছেন”। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সেটা জানা ছিল। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, কি হয়েছে? আয় মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার তো পয়সা ছিল না আপনার মেহমানদারী করার জন্য। বাজারে গেলাম, একটা ঘোড়া বাকীতে কিনে বিক্রি করে চার দীনার লাভ করলাম। সেটা দিয়ে আপনার জন্য খাদ্য নিয়ে এসেছি। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে আলী কাররামাল্লাহু আলাইহিস সালাম! আপনি কি জানেন, কার থেকে কিনেছেন এবং কার কাছে বিক্রী করেছেন?” তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সেটা তো জানি না। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, “হে হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম! আপনি যখন আমাকে এখানে বসিয়ে রেখে বের হয়ে গেছেন, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সাথে সাথে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে নির্দেশ দিলেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম, আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার হুজরা শরীফে বসে আছেন। হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম তিনি অস্থির হয়ে গেছেন মেহমানদারী করার জন্য। আপনি এখনি একটা ঘোড়া নিয়ে যান। উনার কাছে ঘোড়াটা বিক্রি করবেন। আর হযরত মীকাঈল আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আপনি গিয়ে ওটা খরীদ করে আনবেন। মধ্যে দিয়ে আপনি কিছু পয়সা দিয়ে দিন, যার ফলে তিনি মেহমানদারী করতে পারেন। ঠিক সেই পয়সাটা আপনি নিয়ে এসেছেন। কাজেই
إِلَّا عَلَى اللهِ رِزْقُهَا وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ
“যমীনে যত প্রাণী আছে প্রত্যেকের রিযিকের জিম্মাদার মহান আল্লাহ পাক”। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












