হালাল-হারাম পণ্যের কথা
, ১৭ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১১ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
ভালো নিয়ত থাকলেই হারাম বিষয় হালাল হয়ে যায় না বরং হালাল ও হারাম পণ্য চিহ্নিত করার জন্য কিছু মূলনীতি জানা দরকার।
হালালের চিহ্ন থাকাই উক্ত বস্তু হালাল হবার নিদর্শন হতে পারে না। কারণ হালালের চিহ্ন দিয়ে হারাম পণ্যও বিক্রি করা হতে পারে। তাই উক্ত পণ্যটি কিভাবে তৈরী হয়েছে? কি দিয়ে তৈরী হয়েছে? সেটির উপর নির্ভরশীল উক্ত পণ্যটি হালাল ও হারাম হওয়া।
আর পণ্যের কোন নির্দিষ্ট সীমা পরিসীমা নেই তাই এর লিষ্ট প্রদান করা প্রায় অসম্ভব। তবে সময়মত বিভিন্ন উপাদানের সাথে আমরা পরিচয় করিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
তাই কয়েকটি আমরা মূলনীতি উল্লেখ করছি-------
১-গোস্ত জাতীয় পণ্য হলে তা মুসলিমদের কাছে হালাল পণ্য কি না? তা দেখে নিতে হবে। অনেক সময় অনেক চিপস এবং সুপে চিকেন পাউডার দেয়া থাকে। চিকেনগুলো হালালভাবে যবেহ না হলে সেগুলো খাওয়া জায়িয হবে না এমনকি বিসমিল্লাহ শরীফ ও আল্লাহু আকবর রেকর্ড ছেড়ে মেশিনে যবেহ হলেও তা খাওয়া জায়িয নেই। কেউ কেউ মনে করেন সেগুলো বিসমিল্লাহ শরীফ বলে খেলেই হালাল হয়ে যাবে সেটি শুদ্ধ মত নয়।
২-অন্য পণ্যতে দেখতে হবে তাতে হারাম কোন বস্তু মিশ্রিত করা হয়েছে কি না? যদি মিশ্রিত করা হয়, তাহলে উক্ত হারাম পণ্যের মৌলিকত্ব বাকি আছে কি না? যদি বাকি থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহার জায়েজ নয়। যেমন পাউডার ভ্যানিলিন ফ্লেভার তৈরি করতে এলকোহল (শরাব) লাগলেও পরে তার উপস্থিতি থাকে না। যদি হারামের মৌলিকত্ব বাকি না থাকে, তাহলে উক্ত পণ্য ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই যেমন জিলাটিন। জিলাটিন প্রাণীর কোলাজেন থেকে তৈরি হলেও পরে সেখানে কোলাজেনের কোন অস্তিত্ব থাকে না। উদাহরণ হিসেবে বলা হয় লবণের খনিতে কোন প্রানী পরে মারা গেলে পরে সেটিও লবণে পরিণত হয় যেখানে কোন প্রাণীর অস্তিত্ব থাকে না তখন সে লবণ খাওয়া জায়িয হয়।
৩-পণ্যটি কোন বিধর্মীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি প্রকাশক কি না? যদি ধর্মীয় সংস্কৃতি বা কোন ফাসিকের অনুসরণীয় পণ্য হয়, যেমন খাবারের ক্ষেত্রে হিন্দুদের প্রসাদ, পোশাকের ক্ষেত্রে ধুতি, টাই ইত্যাদি। উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে কোন পণ্য হালাল আর কোন পণ্য হারাম তা নির্ণিত করে নিতে হবে। তবে কাফিরদের প্রস্তুতকৃত সকল খাবারই বর্জন করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খবরে হেডিং হয়েছে, “পর্যটকের অভাবে কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশে’ লালবাতি” শুধু কলকাতা নয় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী নির্ভরতা ছাড়া গোটা ভারতের অর্থনীতিতেই জ্বলবে লালবাতি
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৬ মাসই বন্ধ থাকে বাংলাদেশের আদালত!!
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সন্ত্রাসী ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে শুধু ইরানীরাই একটু সোচ্চার গোটা সুন্নী মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা চরম দুঃখজনক নীরবতার (নাঊযুবিল্লাহ!)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাহফিলের নামে সিনেমার গান গাওয়া আহাজারি অবশেষে হলিউড তারকাদের ন্যায় লাল-গালিচায় সংবর্ধিত হল! লাল গালিচার মতো বিজাতীয় এবং বিধর্মীয় সংস্কৃতি গ্রহণ করে নিজেদেরকে আহাজারি গং কাদের সাথে হাশর নাশরের যোগ্য করলো?
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গত কথিত মুসলমান তারকাদের বিধর্মী প্রীতি আর কথিত মুসলমানদের তথাকথিত তারকাপ্রীতি। শরীয়াহর আলোকে জাহান্নামই তাদের পরিণতি (নাউযুবিল্লাহ)
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চুক্তির এক দশকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কিছুই পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি ভারতীয় ওএনজিসি আরো দুই বছর সময় চেয়ে পেট্রোবাংলায় চিঠি বাংলাদেশকে মাত্র ১০% মালিকানা দেয়ার এবং ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার এ চুক্তি এক্ষুনি পরিহার করতে হবে ইনশাআল্লাহ!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নামধারী আলিম, দুনিয়াদার আলিম এরা কেন হারাম নাজায়িয কাজ করে?
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ বোমা সারাবিশ্বে ফেলা হয়েছে, গাজায় এর চেয়েও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। গাজায় ১৪ মাস ধরে চলছে গণহত্যা, গণহারে শিশুহত্যা এরপরেও মুনাফিক ইউরোপ-আমেরিকা কীভাবে মানবতার কথা প্রচার করে? (পর্ব-২)
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)