দ্বীন ইসলামের ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৩)
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঈমানদীপ্ত জজবার নিদর্শন
, ০৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তাবুকের জিহাদে শরীক হতে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার ঈমানদীপ্ত জজবার বেমেছাল নিদর্শন
তাবুকের জিহাদের সময় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে আল্লাহ পাক-এর পথে যাঁর যাঁর সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী শরীক হবার জন্য আহ্বান জানালেন।
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক আহ্বানে সাড়া দিয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ নিজেদের সাধ্য-সামর্থ্যরে চেয়েও বেশি বেশি দানে বিভিন্নভাবে শরীক হলেন। কিন্তু হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইশকে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এমন এক বেমেছাল ঈমানদীপ্ত নজির সৃষ্টি করলেন; যা কল্পনাতীত বটে। তিনি ঘরের হাড়ি-পাতিল, ঝাড়–, সেলাইয়ের সুতা এমনকি চুলার ছাই পর্যন্ত এনে প্রিয় নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক কদম মুবারকে পেশ করলেন। তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জানতে চাইলেন- আপনি আপনার পরিবার পরিজনের জন্য ঘরে কি রেখে এসেছেন? জবাবে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইশক্-মুহব্বতকে আমার ঘরে রেখে এসেছি। (সুবহানাল্লাহ)
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার
ইমানদীপ্ত জযবার বেমেছাল নিদর্শনের উৎস মূল
হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- “তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিনে কামিল হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের নিকট আল্লাহ পাক ও আমি রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের জান-মাল পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এমনকি সমস্ত মানুষ হতেই সর্বাধিক প্রিয় না হবো।”
এ হাদীছ শরীফ-এর পূর্ণ মিছদাক হয়ে সমস্ত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেমেছাল ইশক্-মুহব্বতের সাথে অনুসরণ অনুকরণ যেমন করতেন পাশাপাশি অনুক্ষণ নিজেদের জান-মাল কুরবান করতেও সদা প্রস্তুত থাকতেন। তাঁদের এই ইশক্ মুহব্বত জজবা আনুগত্যের কুরবানীতে সকলের চেয়েও বেশি অগ্রণী ছিলেন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। যাঁর ফলে উনার অন্যতম লক্বব মুবারক হলো ‘আফদ্বালুন্ নাস বা’দাল আম্বিয়া’ অর্থাৎ হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামগণের পরে তিনিই আল্লাহ পাক-এর যমীনে সর্বশ্রেষ্ঠ মাহবুব বান্দা। (সুবহানাল্লাহ)
উপরে বর্ণিত দু’টি ঈমানদীপ্ত ঘটনায় ফুটে উঠেছে তিনি নিজের জাতের আওলাদ এবং নিজের অর্জিত ধন-সম্পদকে ইশকে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাতিরে বিলিয়ে দিতে বিন্দুমাত্রও কুণ্ঠিত হননি। (সুবহানাল্লাহ)
বর্তমান যামানায় হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-
এর ইমানদীপ্ত বেমেছাল দৃষ্টান্ত অনুসরণে আমাদের করণীয় কি?
বর্তমান জামানায় মহান আল্লাহ পাক-এর লক্ষ্যস্থল ওলী এবং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একমাত্র ক্বায়িম-মাক্বাম নায়িব হলেন আওলাদে রসূল, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। বিদয়াত নির্মূলে, দ্বীন ইসলামের জিন্দাকরণে, সুন্নত জারীতে এবং মুসলিম মিল্লাতের গণজাগরণের একমাত্র সুযোগ্য রাহবার হিসেবে ইল্মী আমালী ঈমানদীপ্ত জজবার যাবতীয় আঞ্জাম তিনিই দিয়ে যাচ্ছেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বিশেষভাবে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঈমানদীপ্ত বেমেছাল দৃষ্টান্ত অনুসরণে আমাদের উচিত সর্বাত্মকভাবে হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর খিদমত করা, উনার তাজদীদী কার্যক্রমে সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী শরীক হওয়া। খাছভাবে তার তাজদীদী মুখপত্র দৈনিক আল ইহসান শরীফ- যা বর্তমানে বিশ্বের ২২৫ কোটির অধিক মুসলমান এবং তাদের দ্বীন পবিত্র ইসলামের মুখপাত্র হিসেবে অপ্রতিরোধ্য দূর্বার গতিতে কলমী জিহাদ করে যাচ্ছে, প্রতিনিয়ত সেটিকে দুনিয়ার সর্বত্র বুলন্দ করে প্রচার প্রসারের জন্য যে সমস্ত আশেকীন জাকেরীন, মুহিব্বিন, সালেকীন কিংবা গোটা উম্মাহ’র যে কেউ ঈমানদীপ্ত জজবায় সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসবে তারাই হবে বেহেশতে আফদ্বালুন্ নাস বাদাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিছবতপ্রাপ্ত বন্ধু। (সুবহানাল্লাহ)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)