হযরত খ্বলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎকার মুবারক
, ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান
মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ, সাইয়্যিদুনা খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার বেমেছাল ওলী। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা, পবিত্র ক্বিয়াস বিষয়ে যেমনি রয়েছে উনার পরিপূর্ণ পবিত্র ইলম মুবারক, তেমনি বিজ্ঞানের সকল শাখায় রয়েছে সমানভাবে বিচরণ। সুবহানাল্লাহ! বিজ্ঞান নিয়ে উনার দৃষ্টিভঙ্গি মুবারক অত্যন্ত তীক্ষ্ণ ও সুদূরপ্রসারী। উনার জবান মুবারক নিঃসৃত হিকমতপূর্ণ ক্বওল শরীফ আমাদের শোনা অতীব প্রয়োজন। আর সে কারণেই এখানে আয়োজন করা হয়েছে মুসলমান বিজ্ঞানীগণের অবদান সম্পর্কে উনার মুবারক ক্বওল শরীফ।
(পূর্বে প্রকাশের পর)
আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান:
আপনার এই কথাটার সত্যতার একটা প্রমাণ মিলে এই ওহাবী মালানারা এই চিকিৎসা বিজ্ঞান না বুঝার ফলেই ইনজেকশন নিলে নাকি রোযা ভাঙ্গে না- এই ধরনের ভুল ফতওয়া দেয়। তাহলে বোঝা গেল আসলেই চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।
খ্বলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম:
হ্যাঁ তা তো অবশ্যই, শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞান কেন উলামায়ে ‘ছূ’দের কোন বিজ্ঞানেরই জ্ঞান নাই। এজন্যেই তো তারা ভুল ফতওয়া দেয়। এছাড়াও মহাকাশ বিজ্ঞান যেহেতু পদার্থ বিজ্ঞানের অংশ, সে হিসেবে মুসলমানরা মহাকাশ বিজ্ঞানটা শিখার জন্য পদার্থ বিজ্ঞানটাও চর্চা করতেন। আবার যেহেতু চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে রসায়ন একদম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত সেজন্য মুসলমানরা চিকিৎসা বিজ্ঞানটা শেখার জন্য রসায়নটাও চর্চা করতেন। যার কারণে এই ৫টা বিজ্ঞানের শাখার মধ্যে মুসলমানদের অনেক বেশি অবদান ছিল এবং এই ৫টা বিজ্ঞানের শাখার ইতিহাস পড়লেই এগুলো জানা যাবে।
আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান:
হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম আমরা তাহলে দেখতে পেলাম যে, গণিত, মহাকাশ বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং এর শাখা রসায়ন বিজ্ঞান- এই ৫টা শাখার উপর মুসলমানদের অবদান অত্যন্ত বেশি ছিল। আমরা কি আপনার কাছে আরজি পেশ করতে পারি যে, কি ধরনের অবদান ছিল সে বিষয় কিছু আমাদেরকে জানানোর জন্য।
খ্বলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা ক্বিবলা আলাইহিস সালাম:
গণিতে তো মুসলমানদের সব চাইতে বেশি অবদান। আধুনিক গণিতের শতকরা ৯৯ ভাগই মুসলমান উনাদের আবিষ্কার। যেমন: সর্বপ্রথমই যেটা আসে, সেটা হচ্ছে আমরা যে সংখ্যা গণনা করি ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ - এই সংখ্যার ১ এর পর শূন্য দিলে যে ১০ হয়, এটাই মুসলমান উনাদের আবিষ্কার। এটা আবিষ্কার করেছেন আবূ জাফর মুহম্মদ ইবনে মুসা আল খ্বওয়ারিজমি; উনিই প্রথম বলেছেন যে, ১ এর পরে শূন্য দিলে ১০ হয়। এর আগে যেগুলি ছিল ঐগুলি অনেক কঠিন ছিল। যেমন রোমান সংখ্যা; তাদের এরকম সংখ্যা ছিল না বরং ১, ৫, ১০, ৫০, ১০০, ৫০০, ১০০০, ৫০০০ এরকম সংখ্যা ছিল যার সাথে যোগ বিয়োগ করে করে অন্যান্য সংখ্যা যেটা প্রয়োজন সেটা বানিয়ে নিতে হয়।
আর ইন্ডিয়ান সংখ্যাটা ছিল ১ থেকে ৯ পর্যন্ত ৯টা সংখ্যা, ১০ থেকে ৯০ পর্যন্ত আরো ৯টা সংখ্যা, আবার ১০০ থেকে ৯০০ পর্যন্ত আরো ৯টা সংখ্যা- এরকম অনেক সংখ্যা। ইন্ডিয়ান সংখ্যাটা কিছুটা সোজা হলেও কিন্তু সংখ্যা এত বেশি যে, সংখ্যা মনে রাখতেই অনেক কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু মুহম্মদ ইবনে মুসা আল খ্বওয়ারিজমি উনি সবচেয়ে সুন্দর একটা পদ্ধতি দিয়ে গেছেন যে, ১ এর পর একটা শূন্য দিলেই ১০ হয়ে যায়। মানে ১০ সংখ্যায়ই অংক শেষ।
এই চিহ্নগুলো মনে রেখে সংখ্যা গণনার অন্যান্য মান বের করতে হয়। যেমন:
একটি ছোট সংখ্যা ৪৮ লিখতে ৬টি অংক-চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়েছে। আবার সংখ্যার মান যোগ-বিয়োগ করে বের করতে হয় বলে মান বুঝাও কঠিন। যেমন: ১৮০০ = M(১০০০)+D(৫০০)+C(১০০)+C (১০০)+C (১০০)
এই পদ্ধতিতেও চিহ্ন মনে রেখে অন্যান্য সংখ্যা তৈরী করতে হয়। তবে এতে সুবিধা হচ্ছে চিহ্ন গুলো একক, দশক, শতক স্থানীয়। তাই রোমানদের চেয়ে একটু সহজ হলেও চিহ্ন অজস্র তাই মনে রেখে বড় সংখ্যা গণনা করা খুব কঠিন।
যেমন: ১৮০০ লিখতে হলে, ১০ এর চিহ্ন ও ৮ এর চিহ্ন সমন্বয়ে ১৮ এর নতুন চিহ্ন এর সাথে ১০০০ এর চিহ্ন মিলিয়ে ১৮০০ লিখতে হবে। এভাবে অজস্র নতুন চিহ্ন তৈরী করতে হয় এবং মনে রাখতে হয় যা খুবই কঠিন।
এই পদ্ধতিতে শূন্য থেকে নয় এই ১০টি চিহ্ন দিয়েই সব রকমের সংখ্যা তৈরী করা যায় যেভাবে আমরা বর্তমানে লিখে থাকি, চিহ্নও কম লাগে, বুঝতেও সহজ।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ব্যক্তিগত পাঠাগার বা প্রাইভেট লাইব্রেরি
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মসজিদ গ্রন্থাগার
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম সোনালী যুগের পাঠাগার
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নুরুদ্দীন ইবনে ইসহাক আল-বিতরূজী
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ
২৬ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আবুল ওয়ালিদ মুহম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ
২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আবু বকর মুহম্মদ ইবনে আবদুল বাকী আল বাগদাদী
১৮ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলমানদের বিরুদ্ধে কাফির-মুশরিকদের চক্রান্ত (৫)
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ আল ইদরিসী আল কুরতুবী আল হাসানী আস সাবতী
০৩ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আবু মুহম্মদ জাবির ইবনে আফলাহ আল ইশবিলি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিখ্যাত মহাকাশ ও জ্যোতিষ বিজ্ঞানী আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবনে ইয়াহইয়া আন নাক্কাশ আয যারকালী
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার অত্যন্ত জরুরী। উম্মাহর এই ঘাটতি পুরণের উদ্দেশ্যেই আত-তাক্বউইমুশ শামসী তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের উচিত- বিধর্মীদের অনুসরন বাদ দিয়ে আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরন-অনুকরন করা।
২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)