সোমালিয়ান পানি দস্যুদের পর্যালোচনায় বিবেচনায় নিতে হবে বহুমাত্রিক দিক হুতিদের সমালোচনার বিস্তার করা- এর উদ্দেশ্য কিনা তার গভীর পর্যবেক্ষণ দরকার পাশাপাশি সোমালিয়ান পানি দস্যুতার প্রচারনার পেছনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তথাকথিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিশাল ব্যবসা সম্পৃক্ততার তথ্যও জানা দরকার
, ১৫ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
মধ্যযুগে বেশ কয়েকটি সোমালি সাম্রাজ্য আঞ্চলিক বাণিজ্যের নেতৃত্ব দিত। এর মধ্যে আজুরান সাম্রাজ্য, আদেল সালতানাত, ওয়ারসাংগালি সালতানাত ও গেলেদি সালতানাত উল্লেখযোগ্য।
সোমালিয়ার দুর্ভাগ্যের সাথে জড়িয়ে গেছে ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও তাদের পরিবারেরও ভাগ্য। গত মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার পাশ দিয়ে যাবার সময় বাংলাদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ সোমালি পানিদস্যুদের কবলে পড়ে। পানিদস্যুতা অবশ্যই ঘৃণিত কাজ। আর যখন বাংলাদেশি নাবিকেরা তাদের হাতে জিম্মি হন, তখন তাদের স্বজনদের মতো আমাদের হৃদয়ও উদ্বেগে ভারি হয়ে ওঠে। আমরা তাদের মুক্তির জন্য যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সরকারের কাছে দাবি জানাই। এ ব্যাপারে বিশ্বে যারা সক্রিয় ও দায়িত্বশীল, তাদের সাহায্যও আমাদের প্রয়োজন।
কিন্তু কেন সোমালিয়ার লোকেরা পানিদস্যু হয়ে উঠলো? আর কেনই বা সোমালিয়ায় এই পানিদস্যুদের বিপুল জনপ্রিয়তা? কেনই বা তাদের বলা হয় সোমালিয়ার পানিরক্ষী?
সোমালিয়ার উপকূলের পানি ছিল আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান। কারণ, এই পানিতেই বিচরণ করে টুনা, মার্লিনসহ দামি মাছেরা। এই সম্পদই সোমালিয়ার কাল হলো। বিদেশি মাছ শিকারিদের নজর পড়লো সেখানে। তারা আধুনিক নৌযান ও গভীরে ফেলবার মতো জাল নিয়ে সোমালিয়ার সমুদ্রসীমার মাছ চুরি করতে থাকলো। এতে বেকার হয়ে পড়তে থাকলো সোমালিয়ার সামুদ্রিক জেলেরা।
দ্বিতীয় বিপদটা আরো ভয়াবহ। ১৯৯১ সালে সামরিক শাসন উচ্ছেদের পর সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ লেগে যায়। দীর্ঘ নৈরাজ্যের মধ্যে রাষ্ট্র ভেঙ্গে পড়ে। জাতিসংঘের মাধ্যমে পশ্চিমারা সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়। তাছাড়া সোমালিয়ার সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের জন্যও সেখানে নিয়ন্ত্রণ চায় যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি ও ফ্রান্স। নব্বই দশক থেকে একের পর এক মার্কিন আক্রমণ, সিআইয়ের গোপন অভিযান, মার্কিন মদদে ইথিওপিয়ার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত দেশটি আর তার দুর্ভিক্ষপীড়িত কোটি খানেক মানুষকে দোজখের সদর দরজা দেখিয়ে দিয়েছে। অথচ তাদেরও বলবার আছে অন্যরকম এক গল্প।
আর সকল জাতির মতো সোমালিয়দেরও ইতিহাস আছে, আছে নাটকীয় উত্থান-পতন। তাদের একাংশ ছিল ইতালিয় শাসনে আরেকাংশ ছিল ব্রিটিশ শাসনে। তারা খুবই স্বাধীনচেতা জাতি। ১৯২০-এর দশকে ব্রিটিশরা তাদের জনসংখ্যার তিনভাগকে মেরে ফেলে। ইতালির ফ্যাসিস্ট শাসক মুসোলিনীও সেখানে গণহত্যা চালায়।
পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রশক্তিগুলো মওকা বুঝে সোমালিয়ার খাদ্য সরবরাহ কেড়ে নেয় এবং এর উপকূলে তেজষ্ক্রিয় বর্জ্র্যপদার্থ ফেলতে শুরু করে। সরকার গায়েব হয়ে যাওয়ার মুহূর্ত থেকেই সোমালিয়ার উপকূলে হানা দিতে থাকে রহস্যময় ইউরোপীয় জাহাজ। তারা বিরাট বিরাট ব্যারেল ফেলতে থাকে সেখানে। উপকূলীয় অধিবাসীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। প্রথম প্রথম তাদের গায়ে অদ্ভুত দাগ দেখা দিত, তারপর শুরু হলো বমি এবং বিকলাঙ্গ শিশু প্রসব। ২০০৫ সালের সুনামির পর, তাদের উপকূল ভরে যায় হাজার হাজার পরিত্যক্ত ও ফুটো ব্যারেলে। মানুষ তেজষ্ক্রিয়তায় ভুগতে থাকে। ৩০০ এরও বেশি মানুষ মারা যায়। সেসময়ে সোমালিয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধি আহমেদু আবদাল্লাহ বলেন, ‘কেউ এখানে একটানা পারমানবিক উপাদান ফেলছে। আরও ফেলছে সীসা, ক্যামিয়াম ও মার্কারি।’ খুঁজলে দেখবেন এর বেশিরভাগই আসছে ইউরোপীয় হাসপাতাল ও কারখানাগুলো থেকে। ইতালিয় মাফিয়াদের মাধ্যমে সস্তায় তারা এগুলো সোমালিয়ার পানিসীমায় খালাস করে। ইউরোপীয় সরকারগুলো এ নিয়ে কিছু করছে? না, না তারা এগুলো পরিষ্কার করছে, না দিচ্ছে ক্ষতিপূরণ, না ঠেকাচ্ছে এগুলো ফেলা।
একইসময়ে অন্য কিছু ইউরোপীয় জাহাজ সোমালিয়ার সমুদ্র লুট করে চলেছে। সোমালিয়ার প্রধান সম্পদ তাদের সামুদ্রিক মাছের ভা-ার। ইউরোপ আগে অতিশোষণের মাধ্যমে নিজেদের মাছের ভা-ার নিঃশেষ করেছে, এখন হামলে পড়েছে অন্যের পানিতে। সোমালিয়ার অরক্ষিত পানি থেকে তারা ফিবছর ৩০০ মিলিয়ন ডলারের টুনা, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ ধরে নিয়ে আসে। স্থানীয় জেলেরা দেখতে পেল হঠাৎ, তাদের সর্বস্ব খোয়া গেছে এবং তাদের ক্ষুধার কোনো নিবারণ নাই। রয়টারের কাছে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক যুবক বলে, ‘যদি কিছুই করা না হয়, অল্পদিনের মধ্যেই আমাদের সমুদ্র মাছহীন হয়ে পড়বে।’
এই পটভূমিতেই ওই মানুষদের আবির্ভাব, যাদের আমরা বলছি ‘পানিদস্যু’। সকলেই মানে যে, এরা আসলে সাধাসিধা জেলে। প্রথমে তারা স্পিডবোট নিয়ে বর্জ্র্য ফেলা ও মাছ ধরার জাহাজ ও ট্রলারগুলিকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাদের ওপর ‘ট্যাক্স’ বসানোরও চেষ্টা চলে। এক টেলিফোন সংলাপে পানিদস্যুদের এক নেতা সুগুল আলি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ‘বেআইনী মাছ ধরা এবং উপকূল দূষণ থামানো...আমরা পানিদস্যু নই...ওরাই পানিদস্যু যারা আমাদের মাছ কেড়ে নেয়, যারা আমাদের সমুদ্র বিষ দিয়ে ভরে ফেলে এবং আমাদের পানিতে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে।’
কিন্তু বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ কিংবা ২০১০ সালে অপহৃত হওয়া এমভি জাহান মণির কী অপরাধ? তারা তো সোমালিয়দের কেন, কারোরই কোনো ক্ষতি করেনি। একসময়কার মুক্তিযোদ্ধা অন্যসময়ে ডাকাত হয়ে যায়-আমরা দেখেছি। সোমালিয় পানিদস্যুদের মধ্যে বেশ কিছু গু-া-বদমাশও রয়েছে। তারা জাতিসংঘের খাদ্য সরবরাহও লুট করে। এবং এও সত্য যে, স্থানীয়দের কাছে এই পানিদস্যুরা বিপুলভাবে জনপ্রিয়। স্বাধীন সোমালিয় সংবাদ-সাইট ডঅজউঐঊজঘঊডঝ এ বিষয়ে সবচেয়ে ভাল একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছে যে, ‘৭০ ভাগ সোমালিয় মনে করে পানিদস্যুতাই এখন তাদের সমুদ্র প্রতিরক্ষার জাতীয় কৌশল।’ আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময়, জর্জ ওয়াশিংটনসহ মার্কিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা পানিদস্যুদের দিয়ে মার্কিন সমুদ্রসীমা রক্ষার কাজ করিয়ে নিতেন। এজন্য তাদের টাকাও দেওয়া হতো, কারণ সেসময় আমেরিকার কোনো নৌবাহিনী ছিল না। বেশিরভাগ মার্কিনির কাছেও এটাকে ঠিকই মনে হয়েছিল। সোমালিয়রা কি তাদের থেকে খুবই আলাদা?
যদি সত্যিই পানিদস্যুতা বন্ধ করতে হয়, তাহলে এর গোড়ায় হাত দিতে হবে। থামাতে হবে পশ্চিমাদের করা অপরাধগুলো। ২০০৯ সালে দুনিয়ার তাবড় তাবড় সরকারগুলো একযোগে সোমালিয় পানিদস্যুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। সেসময় ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ দুই ডজনেরও বেশি দেশের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সোমালিয়ার পানিসীমায় প্রবেশ করে। সেসময় থেকে ওই এলাকায় আন্তর্জাতিক প্রহরা বজায় ছিল। কিন্তু সমস্যা শুরু হলো ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরুর পর। ইসরায়েলি গণহত্যার জবাবে ইয়েমেনের ইরানপন্থী মিলিশিয়া হুতিরা লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে বাধা দিতে থাকে। তাদের ঠেকাতে কাছাকাছি থাকা আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী সোমালিয়ার সমুদ্রসীমা থেকে নিয়ে আসা হয় লোহিত সাগরে। এই সুযোগ নেয় সোমালিয়ার পানিদস্যুরা। এভাবেই বাংলাদেশি জাহাজ ও তার ২৩ নাবিক দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। আর একদিন সকাল হয় উদ্বেগ নিয়ে যে, আমাদেরই ২৩ জন কোন অজানা বিপদের মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
২০০৫ সালের পর থেকে সোমালিয়ান পানিদস্যুরা সংঘবদ্ধ হয়ে বৃহৎ পরিসরে আক্রমণ শুরু করে। সমুদ্র বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার কারণে তারা কেবল ক্ষিপ্রগতিতেই নয় বরং আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হানা দেয়। যা তাদের দস্যুবৃত্তিতে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে।
আক্রমণের সময় হিসেবে তারা মূলত রাত কিংবা ভোরের দিকটাকেই বেছে নেয়। পানিদস্যুরা বড় জাহাজগুলোর কাছে পৌঁছাতে ছোট ছোট মটর চালিত নৌকা ব্যবহার করত। যা দ্রুত গতির পাশাপাশি বড় জাহাজের রাডারে সহজে ধরা পড়ে না।
অতীতের আক্রমণগুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, পানিদস্যুরা সাধারণত জাহাজগুলোর পেছন দিক থেকে আক্রমণ চালায়। এক মাথায় হুক লাগানো লম্বা দড়িতে চেপে তারা দ্রুত জাহাজে উঠে যায়। যা মূলত জাহাজের পেছন দিকে লাগানো হুকের সঙ্গে আটকানো হয়।
এই কাজগুলো তারা এত দ্রুত করে যে জাহাজের ক্রুরা কিছু বুঝে ওঠা কিংবা এলার্ম বাজানোর আগেই তারা পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তাছাড়া গভীর সমুদ্রে আক্রমণ সাজানোর সময় তারা একটি মাদারশিপ থেকে অভিযান পরিচালনা করে।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, পানিদস্যুদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দস্যুদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- অক৪৭, অকগ, ঞুঢ়ব৫৬, ঞঞ৩৩, জচক, জচএ-৭ এবং চক, তাছাড়া জএউ-৫ ও ঋ১ এর মতো শক্তিশালী হাত বোমাও তারা ব্যবহার করে থাকে।
বন্দিদের কাছ থেকে পানিদস্যুরা মূলত ইউএস ডলারের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করে। এসব মুক্তিপণের অর্থ পরিশোধের জন্য মূলত তা বস্তায় ভরে হেলিকপ্টার থেকে ফেলে দেওয়া হয় বা ছোট নৌকায় করে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এমনকি মাঝে মধ্যে প্যারাসুটের মাধ্যমেও এই মুক্তিপণের টাকা পানিদস্যুদের কাছে পৌঁছানো হয়।
সেমালিয়াতে পানিদস্যুতা এখন বিশাল বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য দেশে থাকা সোমালিরা এই ব্যবসায় বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেও থাকে।
অভিযোগ রয়েছে সোমালিয়ার সেনাবাহিনী, কোয়ালিশন সরকারের মন্ত্রি ও নেতারা এমন কি অন্যান্য দেশের বড় বড় ব্যাবসায়ি এই লুটের টাকার ভাগ পেয়ে থাকে।
ধারণা করা হয়, মুক্তিপণের অর্থায়নে সেখানে উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। গড়ে উঠছে বিলাসবহুল হোটেল। দেশটির অন্যান্য অংশ থেকেও বিনিয়োগকারীরা সেখানে অর্থ খাটাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পানিদস্যুতা এখন সোমালিয়ার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
শুরুতে জাহাজ জিম্মির ক্ষেত্রে কিছু অস্ত্র ও মাছ ধরার নৌকা ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে মুক্তিপণ থেকে অর্থ অর্জনের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার সাথে সাথে সোমালিয়ান পানিদস্যুরা স্পিডবোট, ট্র্যাকিং ডিভাইস এবং আরও শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
বিশাল মুনাফার কারণে সোমালিয়ার অনেক যুদ্ধবাজ গোত্র নেতারাই সুসংগঠিত উপায়ে শুরু করেছে পানিদস্যু ব্যবসা। দলে দলে দরিদ্র জেলে ছেলেরা পানিদস্যু দলে নাম লেখানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তবে এই ব্যবসার আসল লোকজনেরা রয়েছে পর্দার অন্তরালে। অন্যসব ব্যবসার মতই সম্মুখসারির পানিদস্যুদের হাতে টাকার খুব সামান্য অংশই যায়। বেশিরভাগ অংশটাই চলে যায় নেপথ্যের হোমড়া চোমড়াদের কাছে।
তবে সে সত্যটি এখনও প্রায় সবারই অজানা তা হলো সোমালিয়ান পানিদস্যুতাকে মূলত টিকিয়ে রেখেছে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো ও তাদের এজেন্টরা তথাকথিত আন্তর্জাতিক বাহিনী। কারণ সোমালিয়ান পানিদস্যুদের কথা বলে তারা তাদের বিশাল অঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সোমালিয়ান পানিদস্যুতার প্রচারণা না থাকলে তাদের এ দস্যুতা চলবে না। কাজেই সোমালিয়ান পানিদস্যুদের নিয়ে পর্যালোচনায় বিবেচনায় নিতে হবে বহুমাত্রিক দিক।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)