সুন্নতী খাবার পরিচিতি ও উপকারিতা : দুধজাতীয় খাবার
, ২৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
লাবান:
এটা দুধ থেকে তৈরি একটি পানীয়। এটি উষ্ণ আবহাওয়ায় শরীরের প্রয়োজনীয় লবণ ও পানির ঘাটতি পূরণ করে। ঠান্ডা আবহাওয়াতে এর কার্যক্রম আরো বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। একে আরবীতে “লাবান” বলা হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়। যেমন- আমাদের এই এলাকায় “লাচ্ছি”, ইরানে “ডূঘ” এবং তুরস্কে “আইরান” নামেও অভিহিত করা হয়।
প্রস্তুত প্রণালী: ঐতিহ্যগতভাবে “লাবান” দুধ থেকে তৈরি করা হয়। তবে দুধকে ২৪ ঘন্টা রেখে তার খামীর তৈরি করা হয়। তারপর সেখান থেকে মাখন তুলে ফেলা হয়। বাকী দুধ (মাঠা) টুকু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশ কয়েকদিন রাখা হয়। বর্তমান সময়ে এটি বানিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা হয়। দুটি মূল উপাদান “লাবান” হিসেবে পরিচিত। পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে এটি দই হিসেবে আর পশ্চিম দিকে বিশেষ করে আরব এবং উত্তর আফ্রিকায় মাঠা হিসেবে পরিচিত।
পনির:
পনির সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে তাবুক জিহাদের সময় কিছু পনির পেশ করা হয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিসমিল্লাহ পড়ে একটি চাকু দিয়ে সেগুলো কাটেন এবং কিছু আহার করেন। (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামা‘য়াহ: বাবু ফী আকলিল যুবন: হাদীছ শরীফ নং ৩৮১৯)
মাখন:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- হযরত বুসর আস-সুলামী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার দুই পুত্র উনাদের সূত্র থেকে বর্ণিত। উনারা উভয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদা উনাদের বাড়িতে তাশরীফ মুবারক আনলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে উনারা মাখন ও খেজুর পেশ করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাখন ও খেজুর খুব পছন্দ করতেন। (আবূ দাঊদ শরীফ: কিতাবুত ত্বয়ামায়াহ: বাবু ফিল জাময়ি বাইনা লাওনাইনি ফিল আকল: হাদীছ শরীফ নং ৩৮৩৭)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (৩)
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘হাইস’
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (২)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার “হারীসাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (১)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সেলাইবিহীন সুন্নতী ইযার বা লুঙ্গি
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিক্ষেত্রে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অনুসরণ করা ফরয। কোন অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদের অনুসরণ করা যাবে না (১)
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাবারের সময় দস্তরখানা ব্যবহার করা সুন্নত
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শীতল-ঠান্ডা এবং মিঠা পানি পান করা খাছ সুন্নত মুবারক
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল “আনার বা ডালিম”
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কাফির-মুশরিকদের সঙ্গে কখনই সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন ঘুম বা বিশ্রামের জন্য সুন্নতী চকি
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)