ইসলামী নিদর্শন:
সুনামগঞ্জে কালের সাক্ষী শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় মসজিদ
, ১০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) স্থাপত্য নিদর্শন
সুনামগঞ্জে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী পাগলা বড় মসজিদ। এই মসজিদটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৮ ফুট ও প্রস্থ ২৫ ফুট। মসজিদটিতে রয়েছে ৩টি বিশাল গম্বুজ ও ৬টি বড় মিনারসহ আরো রয়েছে ১২টি ছোট মিনার। এছাড়াও রয়েছে ১টি বারান্দা ও বিশাল ঈদগাহ ময়দান। মসজিদের বাহিরের তুলনায় ভিতরের দৃশ্য খুবই নান্দনিক।
ফ্লোর ও চারপাশের কারুকার্য দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যায়। পুরো মসজিদের চারপাশে তিনফুট উচ্চতায় যে নান্দনিক টাইলস লাগানো হয়েছে তা আনা হয়েছে ইতালি ও ইংল্যান্ড থেকে। মসজিদে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে ১টি গেইট। দৃষ্টিনন্দন দুতলা বিশিষ্ট ঐতিহ্যবাহী মসজিদটির বাহিরের দৃশ্য দূর থেকে এক নজর দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর মসজিদের ভিতরের স্থাপত্যশৈলী দেখলে আনন্দে ভড়ে উঠে মনপ্রাণ। তাই সুবিশাল এই মসজিদটি এক নজরে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ আসেন যা গণজমায়েতে পরিণত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলার রায়পুর নামকস্থানে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই পাগলা ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদ। এই মসজিদটি নির্মাণ করতে সময় লেগে ছিল প্রায় ১০ বছর। আর নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রধান কারিগর ছিলেন এই উপমহাদেশেরই লোকজন। তবে পাগলা মসজিদটির মূল স্থপতি হলেন মুমিন আস্তাগার। তার পূর্বপুরুষ নির্মাণ করেছেন ভারতের ঐতিহাসিক তাজমহল।
১৩৩১ বঙ্গাব্দে কোন এক জুমুয়াবার পাগলা মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। ভূমিকম্প নিরোধক মজবুত পাতের উপর মসজিদটি নির্মাণ করার ফলে এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। তবে প্রায় ৩০ বছর আগে মসজিদটির গম্বুজের কিছু পাথর পরিবর্তন করা হয়েছিল। মসজিদটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ইট, শ্বেতপাথর, রেলের সিøপার, কালো পাথরসহ আরো অনেক দূর্লভ উপকরণ।
যা তাজমহল তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। আর এসব উপকরণ আনা হয়েছিল ভারতের জয়পুর থেকে। তবে ঐতিহ্যবাহী এই পাগলা মসজিদের মূল প্রতিষ্ঠাতা হলেন ইয়াসিন মির্জা ও তার ভাই ইউসুফ মির্জা। তারা দুজন ছিলেন খুবই বিত্তবান ও দ্বীনদার।
এব্যাপারে পর্যটকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- প্রাচীন দৃষ্টিনন্দন এই নিদর্শনটি পর্যটকদের জন্য টিকিয়ে রাখা জরুরী। তাই শীঘ্রই এই নান্দনিক মসজিদটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হাজীগঞ্জ দুর্গ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৬)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৫০০ বছরের ঐতিহাসিক নিদর্শন বাঘা শাহী মসজিদ
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৬)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৫)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৪)
০২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০৩)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০২)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কায়রোর ঐতিহাসিক আল আযহার জামে মসজিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় (পর্ব ০১)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৪০০ বছরের আলোচিত প্রাচীন স্থাপত্য তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (২)
০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জাপানের টোকিও জামে মসজিদ
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)