সুখী দেশের তালিকার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? (১)
, ২৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (২০ মার্চ) উপলক্ষে সুখী দেশের তালিকাটি প্রকাশ করে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা ও জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ।
২০২৪ সালেও সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। টানা ৭ বারের মত এ বছরও শীর্ষ সুখী দেশ হয়েছে ফিনল্যান্ড। এরপর ডেনমার্ক ২য়, আইসল্যান্ড ৩য়, সুইডেন ৪র্থ, ইসরাইল ৫ম, নেদারল্যান্ড ৬ষ্ঠ, লুক্সেমবার্গ ৭ম, সুইজারল্যান্ড ৯ম এবং অস্ট্রেলিয়া ১০ম। সুখী দেশের অবস্থান নির্ধারণে কয়েকটি বিষয় বিশেষ আমলে নেয়া হয়। এর মধ্যে আছে ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনা। তবে সুখী দেশের নামকরে তালিকা প্রকাশ করা হলেও উক্ত তালিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
অবসাদগ্রস্ত সুখী !
সুখী দেশের তালিকায় থাকা শীর্ষ দেশগুলোতে অবসাদগ্রস্ত লোকের সংখ্যা বেশি। হিসেবগুলো বলছে, কথিত সুখী দেশের জনগণ সবচেয়ে বেশি এন্টি ডিপ্রেশন বা অবসাদ নিরাময়কারী ঔষধ সেবন করে থাকে। যেমন- ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়ার জনগণ প্রচুর পরিমাণে অবসাদ নিরাময়কারী ঔষধ সেবন করে। অপরদিকে যেসব দেশকে সুখী রাষ্ট্রের তালিকায় পেছনে ফেলানো হয়েছে সে সব দেশের জনগণ বরং কম মাত্রায় অবসাদ নিরাময়কারী ঔষধ সেবন করে। স্বাভাবিকভাবে তাই সুখী দেশের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন আসে, অবসাদগ্রস্ত মানুষ কিভাবে সুখী হয়?
জিডিপি দিয়ে ধনী গরীবের পার্থক্য ধরা যায় না:
এই জরিপে, একটি দেশের মানুষ কতটা সুখী, সেটা নির্ণয় করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ধরা হয়েছে সেই দেশের মাথাপিছু জিডিপি। কিন্তু মাথাপিছু জিডিপি নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আয়বৈষম্যের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয় না। এই মাথাপিছু জিডিপি হচ্ছে একটি দেশে প্রতিবছর কত পণ্য ও সেবা উৎপাদন হয়, তার মূল্যকে দেশটির মোট জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করা। এর মাধ্যমে একটি দেশের মানুষের মধ্যে কার হাতে সম্পদ আছে, কার কার নেই, তা যেমন বোঝা যায় না, তেমনি দেশটির মোট সম্পদের মধ্যে কত শতাংশ গুটিকয়েক মানুষের হাতে রয়েছে, তা-ও জানা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের কথাই ধরা যাক। এ বছর সুখী দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২৩তম। কিন্তু দেশটিতে আয়বৈষম্য অন্য যেকোনো উন্নত দেশের তুলনায় অনেক বেশি। দেশটির ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বসবাস করে। এ ছাড়া প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ দিন আনে দিন খায়, নয়তো নতুন মাসের বেতন পাওয়ার আগেই আগের মাসে পাওয়া বেতন খরচ হয়ে যায়।
-মুহিউদ্দীন রাহাত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)