সুওয়াল-জাওয়াব
, ০৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা
![](https://www.al-ihsan.net/uploads/no-image.jpg)
সুওয়াল:
এক আহালের দুই আহলিয়া, প্রথম আহলিয়া অনেক বছর আহাল থেকে আলাদা। অবশেষে প্রথম আহলিয়া একাধিকবার তালাক নিতে চাইলে আহাল তালাক দিতে রাজি হয় না। পরে আহলিয়া তার আহালকে মোবাইলে কল করে, আহালকে এক প্রকার বাধ্য করে মৌখিকভাবে তালাক দিতে। অবশেষে আহাল তার অনিচ্ছাসত্বেও আহলিয়ার শিখিয়ে দেওয়া তরতীব অনুযায়ী মোবাইল কলে তালাক দেয়। তার বক্তব্য ছিলো এমন- আমি অমুক (আহালের নাম) অমুকের (আহলিয়ার বাবার নাম) অমুককে (আহলিয়ার নাম) স্বজ্ঞানে, স্ব-ইচ্ছায় তালাক দিচ্ছি, এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। এভাবে আহাল তালাক প্রদান করে। মোবাইল কলে একজন মেয়ে ও একজন ছেলে সাক্ষী হিসেবে ছিলো। এটা কি শরীয়ত সম্মতভাবে তালাক হয়েছে?
জাওয়াব:
তালাকের জন্য কোন সাক্ষী থাকা শর্ত নয়। অর্থাৎ তালাকের জন্য কোন সাক্ষী প্রয়োজন হয় না। সে নিরিবিলি একা একা তালাক দিয়ে দিলেও তালাক হয়ে যাবে। তার আহলিয়াকে শুনানো শর্ত না। এখন মোবাইলে বলুক, যেভাবে বলুক। কেউ শুনুক অথবা না শুনুক। তিন তালাক দিলে তিন তালাক হয়ে যাবে।
শর্ত হলো আওয়াজের সাথে উচ্চারণ করে যদি বলে তাহলে তালাক হয়ে যাবে। কতগুলো বিষয়ে সাক্ষী প্রয়োজন হয় না। যেমন: সন্তানটা জিন্দা, না মূর্দা হলো। যে দাই থাকে সেখানে তার সাক্ষীই যথেষ্ট। অন্য সাক্ষী প্রয়োজন নাই। এরকম কতগুলো বিষয় রয়েছে। যেমন ঈমান, ইসলাম গ্রহণ করা মান্নত করা, উচ্চারণ করে আওয়াজের সাথে বলতে হবে এবং জবেহ এর সময়ও উচ্চারন করে আওয়াজের সাথে বিছমিল্লাহ বলতে হবে। তাহলে গ্রহনযোগ্য হবে। অন্যথায় হবে না। এ সমস্ত ক্ষেত্রে সাক্ষীর প্রয়োজন হয় না। এখন তালাক্ব সে যেভাবেই বলুক। তাকে শিখিয়ে দিক অথবা না দিক এটা কোন শর্ত শারায়িত নয়। শর্ত শারায়িত হচ্ছে, কেউ যদি তালাক দেয় তাহলে এটা স্ব-ইচ্ছায় বলাও শর্ত না। সে (আহাল) যদি পাগল না হয় অর্থাৎ যদি সুস্থ থাকে, তাহলে তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। সে যদি তিনবার তালাক বলে তাহলে তার নিয়ত অনুযায়ী তালাক হয়ে যাবে। এখানে আলাদা কোন শর্ত শারায়িত নাই। এখানে অনেকে মনে করে, তালাক দিলো সাক্ষীতো নাই। তালাকের ক্ষেত্রে সাক্ষীর কোন শর্ত শারায়িত নাই। তার আহলিয়াকে শুনানোও কোন শর্ত নাই। সে (আহাল) একা একা, উচ্চারণ করে বললেই চলবে অথার্ৎ আহলিয়ার প্রতি তালাক পতিত হবে।
সুওয়াল:
নামাযরত অবস্থায় নামাযী ব্যক্তির সামনে আয়না থাকায় তার ছবি দেখা যায়। এমতাবস্থায় নামাযের কোন ক্ষতি হবে কি-না?
জাওয়াব:
না। এতে নামাযের ক্ষতি হবে না। তবে তার হুযূরীর ক্ষতি হতে পারে। এজন্য আয়নার উপর কাপড় দিয়ে রাখা উচিত। আয়নাতে যা দেখা যায় এটা আসলে ছবি না। এতে মানুষ চেহারা দেখে, ছবি দেখে না। আয়না দেখা তো সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দেখেছেন। এটাতো ছবি না। এটার জন্য হুযূরীর বেঘাত ঘটতে পারে। আয়না থাকলে একটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখলেই চলে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুওয়াল-জাওয়াব : প্রসঙ্গ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ইলমে গইব শান মুবারক (১)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীন ইসলামের বিশেষ রাত সমূহের মধ্যে একটি বিশেষ ফযীলতপূর্ণ রাত ‘পবিত্র শবে বরাত’ (২)
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রসঙ্গ গান-বাজনা, সঙ্গীত নাজায়িজ ও হারাম (৩)
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: নামাযের মাসায়িল
৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ গান-বাজনা, সঙ্গীত নাজায়িজ ও হারাম (২)
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা। নাউযুবিল্লাহ!
২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ গান-বাজনা, সঙ্গীত নাজায়িজ ও হারাম (১)
১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুওয়াল-জাওয়াব : প্রসঙ্গ কবীরা গুণাহ কি
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ পাতলা বা টাইপ পোশাক পরিধান
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ ছবি তোলা এবং ছবি সংরক্ষণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গঃ ঘরের কাজে আহালের ভূমিকা
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)