সুওয়াল-জাওয়াব
সুওয়াল: পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে পবিত্র আযান উনার পূর্বে পবিত্র আযান উনার মতই উচ্চ আওয়াজে পবিত্র দুরূদ শরীফ বা ছলাত শরীফ ও সালাম শরীফ পাঠ করার বিষয়ে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়ছালা কি?
, ০১ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পবিত্র আযান উনার পূর্বে পবিত্র দুরূদ শরীফ বা পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা অবশ্যই জায়িয বরং মুস্তাহাব-সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। তবে পবিত্র আযান উনার মতই উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা সুন্নত মুবারক নয় বরং সুন্নত মুবারক উনার খেলাফ। কেননা পবিত্র আযানের পূর্বে আযানের মতই উচ্চ আওয়াজে পবিত্র দুরূদ শরীফ বা পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করার বিষয়টি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের কারো থেকেই প্রমাণিত নেই।
সাইয়্যিদুনা হযরত বিলাল রদ্বিয়ালাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে পবিত্র আযানের পূর্বে দু‘আ পড়ার যে বিষয়টি উল্লেখ আছে তা নিঃসন্দেহে আযানের মতই উচ্চ আওয়াজে ছিলনা। কারণ আযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে নামাযের জন্য আহবান করা। তাই আযান উচ্চ আওয়াজে দেয়া হয়। পক্ষান্তরে দু‘আ বা পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ উনার উদ্দেশ্য মানুষকে নামাযের জন্য আহবান করা নয় বরং রহমত, বরকত হাছিল করা। তাই আযানের পূর্বে দু‘আ বা পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ উচ্চ আওয়াজে না হওয়াটাই বাঞ্চনীয়।
মূলতঃ পবিত্র আযান উনার পূর্বে দু‘আ বা পবিত্র ছলাত শরীফ- পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা অবশ্যই জায়িয বরং মুস্তাহাব-সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত, তবে কখনই আযানের মত উচ্চ আওয়াজে নয়। অর্থাৎ দু‘আ বা পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ স্বাভাবিকভাবে পাঠ করে তারপর উচ্চ আওয়াজে আযান দিবে।
নিম্নে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও নির্ভরযোগ্য ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাব থেকে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু দলীল-আদিল্লাহ তুলে ধরা হলো-
যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফ উনার পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সদা-সর্বদা মহাসম্মানিত ছলাত শরীফ বা দুরূদ শরীফ পাঠ করেন। হে ঈমানদারগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি তোমরাও মহাসম্মানিত ছলাত শরীফ পেশ করো এবং অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের সাথে বা আদবের সাথে মহাসম্মানিত সালাম শরীফ পেশ করো।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, অত্র পবিত্র আয়াতে কারীমা উনার মধ্যে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করাকে কোন নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সংযুক্ত করা হয়নি বিধায় নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত যে কোন সময়ে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ বা সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য বৈধ ও কর্তব্য।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয় ছাহাবী হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার ৫৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বলেন-
اَﺛْـﻨُـﻮْﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓِﻰْ ﺻَﻼَﺗِﻜُﻢْ وَفِىْ ﻣَﺴَﺎﺟِﺪِﻛُﻢْ وَﻓِﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣَﻮْﻃِﻦٍ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি তোমরা তোমাদের নামাযে, মসজিদে এমনকি সকল স্থানে মহাপবিত্র ছলাত শরীফ, মহাপবিত্র সালাম শরীফ বা সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করার মাধ্যমে প্রশংসা করো!” সুবহানাল্লাহ! (জালাউল আফহাম-১/৪২২, দারূল উরুবাত-কুয়েত)
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার অন্যতম ফক্বীহ, হযরত ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اِنَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﺗَـﻌَﺎﻟٰﻰ ﻟَـﻢْ ﻳُـﻮْﻗِﺖْ ذَﺍﻟِﻚَ ﻟِﻴُﺸَﻤِّﻞَ ﺳَﺎﺋِﺮَ ﺍلْاَوْقَاتِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে কোন নির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেননি। বরং সকল সময় মহাসম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! (শরহুশ শিফা ২/১০৭, দারূল কুতুব ইলমিয়্যাহ- বৈরুত)
আল্লামা হযরত ইমাম ক্বাযী আয়ায রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সম্মানিত সালাম শরীফ পাঠ করার মুস্তাহাব স্থানসমূহ বর্ণনা করতে গিয়ে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمِنْ مَوَاطِنِ الصَّلَاةِ عَلَيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذِكْرِهٖ وَسِمَاعِ اِسْمِهٖ اَوْ كِتَابَتِهٖ اَوْعِنْدَ الْاَذَانِ
অর্থাৎ সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সম্মানিত সালাম শরীফ পাঠ করার মুস্তাহাব ওয়াক্ত সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক কালে, উনার নাম মুবারক শ্রবণকালে, লিখার সময় এবং আযানের পূর্বে। সুবহানাল্লাহ! (শিফা শরীফ)
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ﻋَﻦْ حَضْرَتْ اَﺑِﻰْ ﻫُﺮَﻳْـﺮَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ ﻗَﺎلَ: ﻛَﺎنَ بِلَالٌ اِذَﺍ اَرَﺍدَ اَنْ ﻳُّـﻘِﻴْﻢَ ﺍﻟﺼَّﻠٰﻮةَ ﻗَﺎلَ: اَﻟﺴَّﻼَمُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ اَيُّـهَا ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ وَرَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠﻪِ وَبَـرَكَاتُهٗ اَﻟﺼَّﻠٰﻮةُ رَﺣِﻤَﻚَ ﺍﻟﻠﻪُ
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন হযরত বিলাল রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (নামাযের ইক্বামাত দিতে চাইতেন, তখন) এভাবে সালাম মুবারক দিয়ে বলতেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার প্রতি মহাসম্মানিত সালাম মুবারক, আপনার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক ও বরকত মুবারক, আপনার প্রতি মহাসম্মানিত ছলাত মুবারক। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে রহমত মুবারক করুন। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭৫-হাদীছ শরীফ নং ২৩৮৯)
বিখ্যাত ফিক্বহের কিতাব ইয়ানাতুত ত্বালিবীন ১ম খ- ২৩১ পৃষ্ঠায় (যা সম্মানিত মক্কা শরীফ উনার ফাতাওয়ার কিতাব) উল্লেখ আছে-
قَالَ الشَّيْخُ الْكَبِيْـرُ الْبِكْرِىُّ اِنَّـهَا تَسُنُّ قَـبْلَهُمَا اَىِ الصَّلٰوةُ عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَـبْلَ الْاَذَانِ وَالْاِقَامَةِ
অর্থাৎ বিখ্যাত ফক্বীহ শায়েখ কবীর বিকরী মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন যে, পবিত্র আযান ও পবিত্র ইক্বামতের পূর্বে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা মসনুন বা সুন্নত মুবারক।
অর্থাৎ পবিত্র আযান এবং পবিত্র ইক্বামাত উভয়ের পূর্বেই সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সম্মানিত সালাম শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত দুরূদ শরীফ পাঠ করা মুস্তাহাব।
উপরোক্ত দলীলভিত্তিক সংক্ষিপ্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র আযান ও পবিত্র ইক্বামত উনাদের পূর্বে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা শুধু জায়িযই নয়; বরং মুস্তাহাব সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। তবে অবশ্যই পবিত্র আযানের মত উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা সুন্নত মুবারক উনার খেলাফ। কারণ পবিত্র আযানের মত উচ্চ আওয়াজে বা স্বরে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
অতএব, পবিত্র আযানের মত উচ্চ আওয়াজে পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা সুন্নত নয়। তাই, পবিত্র ছলাত শরীফ-সালাম শরীফ সাধারণভাবে (মাইক ছাড়া) পাঠ করে তারপর মাইকে আযান দিতে হবে। এটাই সম্মানিত শরীয়ত উনার সঠিক ফায়ছালা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পূর্ববর্তী যামানায় যেহেতু মাইক ছিলনা, তাই উনারা স্বাভাবিক আওয়াজে বা স্বাভাবিক স্বরে ছলাত শরীফ ও সালাম মুবারক অর্থাৎ দরূদ শরীফ পাঠ করতেন। অতঃপর উচ্চ আওয়াজে সম্মানিত আযান দিতেন। এবং এটাই সুন্নত মুবারক। আর বর্তমানে যেহেতু উচ্চ আওয়াজে পবিত্র আযান দেয়ার বিষয়টি মাইকের সাহায্যে দেয়া হয়, তাই সুন্নত মুবারক হচ্ছে, স্বাভাবিক আওয়াজে বা স্বরে দুরূদ শরীফ অর্থাৎ ছলাত মুবারক ও সালাম মুবারক পাঠ করতে হবে তারপর মাইকে আযান দিতে হবে। ইহাই হচ্ছে শরঈ তরতীব।
দলীলসমূহ: আবূ দাউদ শরীফ, বযলুল মাযহূদ আবূ দাউদ শরীফ উনার শরাহ, বায়হাক্বী শরীফ, জালাউল আফহাম, দারুল উরুবাত-কুয়েত, শরহুশ শিফা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ - বৈরুত, ফতোয়ায়ে শামী, শিফা শরীফ, মাজমাউয যাওয়ায়েদ, আল ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা‘আ, ইয়ানাতুত ত্বালেবীন, ফতহুল মুয়ীন ইত্যাদি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুওয়াল-জাওয়াব
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ ছবি তোলা এবং ছবি সংরক্ষণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গঃ ঘরের কাজে আহালের ভূমিকা
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : নামাযের পর ঘুরে বসা
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুওয়াল : নামাজে পুরুষ ও মেয়েদের হাত বাঁধার সুন্নত তরীক্বা কি?
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: মৃত ব্যক্তিকে দেখানো
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)