সারা বিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন করা সম্ভব কিনা? (২)
, ২৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
হাদীছ শরীফে নিকটবর্তী ও দূরবর্তী স্থানে চাঁদ দেখার হুকুম কি, তা স্পষ্ট করে বর্ণিত আছে। নতুন মাস শুরু করার ক্ষেত্রে তাই সে হিসেব মানতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, যারা সারা বিশ্বে এক দিনে ঈদ করতে চায় তারা একটি অংশ মানলেও অন্য অংশটি মানতে চায় না। মানে নিকবর্তী স্থানের চাঁদ দেখার মাধ্যমে নতুন মাস শুরু করার হাদীছ শরীফ গ্রহন করলেও, দূরবর্তী স্থানের চাঁদ দেখা গেলে যে নতুন মাস শুরু হয় না এই হাদীছ শরীফ তারা গ্রহণ করছে না। মূলত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একটি আদেশ পালন করলেও অপর আদেশ মুবারক তারা অমান্য করছে। কোনো মুসলমান হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিলাফ মত প্রকাশ করতে পারে না।
আবার তারা এক দিনে ঈদ পালন করার দাবি করলেও তা কিভাবে কার্যকর হবে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারে না। এ দলটির কথা মাঝে মাঝেই পরিবর্তন হয়। তাদের সর্বশেষ দাবি হলো, পৃথিবীর কোথাও নতুন চাঁদ উদিত হলে ঐ সময়ে যে সকল স্থানে রাত থাকবে, সে সকল স্থানে নতুন মাস শুরু হবে।
কিন্তু হিজরী বর্ষপুঞ্জি অনুসারে দিন বা তারিখ শুরু হয় মাগরীব থেকে। অর্থাৎ মাগরীবের আগে সাবত বা শনিবার হলে মাগরীব থেকে আহাদ বা রোববার শুরু হবে। মাগরীবের আগে ২৯ তারিখ হলে মাগরীবের সময় ৩০ তারিখ হবে।
কোন একটি এলাকায় সন্ধায় চাঁদ উঠলো, তখন পৃথিবীর অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে রাত নেমেছে, সেখানে রাত ২টা, ৩টা, ৪টা বাজতে পারে। তাদের মতে দেখা যাচ্ছে, রাত ৩টা/৪টা’র সময়েও নতুন দিন বা তারিখ শুরু হচ্ছে! তাহলে প্রশ্ন হলো মাগরীব থেকে ভোর রাত পর্যন্ত সময়টা কত তারিখের অন্তর্ভূক্ত? যেহেতু চাঁদ উদিত হওয়ার আগে নতুন মাসে শুরু হয় না। সেহেতু এই সময়টা নতুন মাসের অন্তর্ভূক্ত নয়। আবার মাগরীব থেকে যেহেতু নতুন তারিখ শুরু হয় তাই সে স্থানে ৩০তারিখ শুরু হয়েছে। কিন্তু সন্ধা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত তো একটি দিন পূর্ণ হয় না। তাই ৩০তারিখকে পূর্ণ করতে হবে। অর্থাৎ একদিন পরে নতুন মাস শুরু করতে হবে। এ কারণে সারা বিশ্বে একই দিনে মাস শুরু করা বা ঈদ বা রোজা পালন দাবী তোলা আসলে অযৌক্তিক।
ঐ বিশেষ দলটি আরো বলে, জুমাবার যেভাবে সারা পৃথিবীর মানুষ যার যার স্থানীয় সময় অনুযায়ী একই দিনে জুমার নামাজ আদায় করে থাকে সেভাবে সবাই এক দিনে ঈদ পালন করবে।
আসলে জুমুয়ার হিসেবটা সপ্তাহের হিসেব, আর ঈদ/রোজা হচ্ছে মাসের হিসেব। ঈদ বা রোজা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, কিন্তু সপ্তাহের দিনের হিসেব চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে না। তবে প্রত্যেকের এলাকার ওয়াক্ত বা দিনের হিসেবে উপর নির্ভর করে। তাই মানুষ নিজ নিজ এলাকার জুমুয়ার নামাজের ওয়াক্ত হলেও নামাজ আদায় করে, সবাই এক হিসেব করে আদায় করে না।
আবার ঐ বিশেষ দলটি বলে, একই দিন ঈদ বা রোজা করলে সারা বিশ্বের সাথে ঐক্য হবে।
আসলে শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক এই নতুন মতবাদ আমদানির কারণে বরং মুসলিম বিশ্বে আরো অনৈক্য তৈরী হয়েছে। যে যার মত শরীয়তের ব্যাখ্যা দাড় করিয়ে ঈদ/রোজা করার দাবী তুলছে। অথচ শরীয়ত নির্দ্দিষ্ট ও সুষ্পষ্ট, আলাদা যুক্তি তর্ক দিয়ে নতুন মতবাদ প্রবেশ করানোর কোন সুযোগ নেই।
-সামদানী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)