সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (১১)
, ২১ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সারাবিশে^ একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কেউই এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে”।
কেউ কেউ নতুন চন্দ্রের উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথা বললেও তারও ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে, কোন ইমাম-মুজতাহিদ উনারা কখনো এমন ফতওয়া দেন নাই যে, সারাবিশ্বে একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে ও পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমনকি উনারাও আজীবন উদয়স্থলের ভিন্নতানুযায়ী সারাবিশ্বে ভিন্ন ভিন্ন দিনেই পবিত্র রোযা শুরু করেছেন ও পবিত্র ঈদ পালন করেছেন। বরং এটা এমন এক শ্রেণীর বিদয়াতী ও গোমরাহ লোকদের গোমরাহী ও কুফরী বক্তব্য, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীসমূহ নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এবং এরা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফের বিভ্রান্তিকর অর্থ ও অপব্যাখ্যা করে সর্বদা মুসলমানদের মাঝে ফিৎনা সৃষ্টি করে ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে।
মূলত: তিনটি কারণে একই দিনে সারাবিশ্বে পবিত্র রোযা শুরু করা ও ঈদ পালন করা একেবারেই অসম্ভব তা হলো:
(১) اِخْتِلَافُ الْاَوْقَاتِ: সময়ের পার্থক্য।
(২) اِخْتِلَافُ الْمَطَالِعِ: নতুন চাঁদ উদয়স্থলের পার্থক্য।
(৩) اَلْمَسَافَاتُ الْجِغْرَافِيَّةُ: ভৌগলিক দূরত্ব।
পূর্বে প্রকাশিতের পর.........
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নতুন চাঁদ উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণ করা ফরয:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَاٰيَاتٍ لِّأُولِي الْأَلْبَابِ
অর্থ: নিশ্চয়ই আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের পরিবর্তনে জ্ঞানবান লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী তথা ইবরত-নছীহত রয়েছে। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-১৯০)
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নতুন চাঁদ উদয়স্থলের ভিন্নতা শুধু গ্রহণযোগ্যই নয়, বরং নতুন চাঁদ উদয়স্থলের ভিন্নতাকে গ্রহণ করা ফরয। কেননা, “চাঁদ পরিভ্রমণের যদি একাধিক মনযিল না থাকত, তাহলে নতুন চাঁদ উদয়ের ক্ষেত্রে উদয়স্থলের ভিন্নতা থাকত না, সর্বদা একই স্থানে নতুন চাঁদ উদিত হতে দেখা যেত, রাত-দিনে ১২ ঘন্টা সময়ের কম-বেশি হতো না এবং মাসের ক্ষেত্রেও ২৯ বা ৩০ হতো না”
চন্দ্র-সূর্য প্রত্যেকটি তাদের নির্র্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট নিয়মে সর্বদা পরিভ্রমণ করে। এই পরিভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনটাই তাদের নিয়মের ব্যতিক্রম করে না বরং হিসেব মত চলে। বিশেষ করে, চন্দ্রের যেহেতু আলাদা আটাশটি মনযিল রয়েছে, সেহেতু চন্দ্রটি প্রতি রাতে তার এই মনযিলসমূহ থেকে একটি মনযিলে অবতরণ করে অর্থাৎ আটাশ রাতে আটাশটি মনযিলে পরিভ্রমণ করে। আর এই মনযিলের ভিন্নতার কারণেই নতুন চাঁদের উদয়স্থলেরও ভিন্নতা ঘটে থাকে, যার ফলে পর্যায়ক্রমে রাত-দিন, মাস, বৎসর ছোট-বড় হয়ে একের পর এক পরিবর্তন হতে থাকে।
মনযিলের ভিন্নতাও উদয়স্থলের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য হওয়াকে অকাট্যভাবে প্রমাণ করে:
চন্দ্রের আলাদা আটাশটি মনযিল রয়েছে, চন্দ্রটি প্রতি রাতে তার এই মনযিলসমূহ থেকে একটি মনযিলে অবতরণ করে অর্থাৎ আটাশ রাতে আটাশটি মনযিলে পরিভ্রমণ করে। তাই নতুন চাঁদ উদিত হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বদা এক স্থানে উদিত হয় না। বরং ভিন্ন ভিন্ন স্থানে উদিত হয়। নতুন চাঁদ যদি সর্বদা একই মনযিলে চলত এবং একই স্থানে উদিত হতো তাহলে সর্বদা একই সময়, রাত, দিন, মাস, বৎসর চলমান থাকত, কম-বেশি হতো না। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি মনযিলের ভিন্নতার দ্বারা নতুন চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতা ঘটিয়ে থাকেন। যার ভিন্নতা মেনে নেয়া সকলের জন্যই ফরযে আইন। যেমন এ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে-
اَلْقَمَرُ إَذَا قَارَنَ الشَّمْسَ فَإِنَّهٗ لَا يَصِيْرُ مُمْكِنُ الرُّؤْيَةَ إِلَّا إِذَا تَبَاعَدَ عَنْهَا بِمِقْدَارِ اِثْنَتَيْ عَشَرَةَ دَرَجَةً. وَلَمَّا كَانَتِ الدَّرَجَاتُ قَدْ تَخْتَلِفُ مَقَادِيْرُهَا بِسَبَبِ اِخْتِلَافِ الْمَطَالِعِ
অর্থ: চন্দ্র যখন সূর্যের সাথে মিলিত হয়, নিশ্চয়ই তখন চন্দ্রকে দেখা যায় না। তবে যখন উহা সূর্য থেকে বারটি দরজা পরিমাণ অতিক্রম করে তখন দৃশ্যমান হয়। আর অবশ্যই চন্দ্রের উদয়স্থলের ভিন্নতার কারণেই দরজাসমূহের দূরত্বের পরিমাণও ভিন্ন হয়। (আল মাত্বালিবুল আলিয়া মিনাল ইলমিল ইলাহী ৮/১৭০ পৃষ্ঠা)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلشَّمسُ وَالقَمَرُ بِحُسبَانٍ
অর্থ: সূর্য ও চন্দ্র হিসাব মত চলে। (পবিত্র সূরা রহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتّٰى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ. لَاالشَّمْسُ يَنبَغِيْ لَهَا أَن تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا اللَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ وَكُلٌّ فِي فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ
অর্থ: আমি চন্দ্রের জন্য মনযিলসমূহ নির্ধারিত করেছি। অবশেষে উহা পুরাতন খর্জুর ডালের ন্যায় ফিরে আসে। আর সূর্যের কখনো সম্ভব নয় চন্দ্রকে নাগাল পাওয়া। রাতের কখনো সম্ভব নয় দিনকে অতিক্রম করা। বরং প্রত্যেকেই তার নিজস্ব নির্দিষ্ট কক্ষ পথে পরিভ্রমণ করে। (পবিত্র সূরা ইয়াসীন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৯, ৪০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذيْ جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَّالقَمَرَ نُوْرًا وَّقَدَّرَهٗ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوْا عَدَدَ السِّنِيْنَ
অর্থ: তিনি সেই মহান ওজুদ পাক, যিনি সূর্যকে উজ্জল আলোকময় বানিয়েছেন। আর চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারী করেছেন। অতঃপর তিনি এর জন্য মনযিলসমূহ নির্ধারিত করেছেন, যাতে করে তোমরা বছরগুলোর সংখ্যা ও হিসাব জানতে পারো। (পবিত্র সূরা ইউনুছ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِيْ خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনিই রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৩)
মহান আল্লাহ পাক তিনি রাতের কিছু অংশকে দিনের মধ্যে এবং দিনের কিছু অংশকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে, রাত-দিনের মধ্যে পরিবর্তন সাধিত করেন এবং রাত-দিনকে ছোট-বড় করেন:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ
অর্থ: তিনি রাতের কিছু অংশ দিনের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিনকে বড় করে দেন। এবং দিনের কিছু অংশ রাতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে রাতকে বড় করে দেন। (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-২৭)
এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِي قَوْلِهٖ عَزَّ وَجَلَّ: تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ قَالَ اللَّيْلُ اِثْنَتَا عَشَرَةَ سَاعَةً وَالنَّهَارَ اِثْنَتَا عَشَرَةَ سَاعَةً فَإِذَا أَوْلَجَ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ أَخَذَ النَّهَارُ مِنَ سَاعَاتِ اللَّيْلِ فَطَالَ النَّهَارُ وَقَصُرَ اللَّيْلُ وَإِذَا أَوْلَجَ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ أَخَذَ اللَّيْلُ مِنْ سَاعَاتِ النَّهَارِ فَطَالَ اللَّيْلُ وَقَصُرَ النَّهَارُ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ...تُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বলেন, রাত ১২ ঘন্টা এবং দিন ১২ ঘন্টা। মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন রাতের কিছু অংশকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান, তখন দিন রাতের কিছু অংশকে গ্রহণ করে। ফলে দিনটি বড় হয়ে যায় এবং রাতটি ছোট হয়ে যায়। আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন দিনের কিছু অংশকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান, তখন রাতটি দিনের কিছু অংশকে গ্রহণ করে। অতঃপর রাতটি বড় হয়ে যায় এবং দিনটি ছোট হয়ে যায়। (তাফসীরে ইবনে মুনযির ১/১৬০)
قال حَضْرَتْ ابن عباس ومجاهد والحسن وقتادة والسدي رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِم في معنى قوله" تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهارِ" الآية أي تدخل ما نقص من أحدهما في الأخر حتى يصير النهار خمس عشرة ساعة وهو أطول ما يكون والليل تسع ساعات وهو أقصر ما يكون
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মুজাহিদ, হাসান বছরী, হযরত ক্বাতাদা এবং হযরত সুদ্দী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা "تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهارِ" অত্র আয়াত শরীফ উনার অর্থ প্রসঙ্গে বলেন, রাত-দিন একে অপরের মধ্যে ঘাটতি দেখা দেয়, এমনকি দিন সর্বোচ্চ ১৫ ঘন্টা হয়ে যায়। আর রাত সর্বনিম্ন ৯ ঘন্টা হয়ে যায়। (তাফসীরে কুরতুবী ৪/৫৬)
নতুন চাঁদের উদয়স্থলের ভিন্নতার কারণেই মাসের মধ্যেও ২৯ বা ৩০ হওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতা ঘটে থাকে:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَعِيد بْن عَمْرٍو أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ تعالى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هٰكَذَا وَهٰكَذَا يَعْنِي مَرَّةً تِسْعَةً وَّعِشْرِينَ وَمَرَّةً ثَلاَثِينَ
অর্থ: হযরত সাইদ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই তিনি হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে একথা বলতে শুনেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মত সহজ-সরল আমরা (ইহুদীদের ন্যায় তারকা কেন্দ্রিক মাস গণনা) লিখে রাখিনা এবং হিসাবও রাখিনা, মাস এইরূপ মাস এইরূপ অর্থাৎ এ কথা বলে তিনি প্রথমবার বললেন, মাস ২৯ দিনে এবং দ্বিতীয়বার বললেন, মাস ৩০ দিনে হয়। (বুখারী শরীফ)
এ প্রসঙ্গে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لاَ نَكْتُبُ وَلاَ نَحْسُبُ الشَّهْرُ هَكَذَا وَ هٰكَذَا وَهٰكَذَا وَخَنَسَ سُلَيْمَانُ أُصْبَعَهُ فِى الثَّالِثَةِ يَعْنِى تِسْعًا وَّعِشْرِينَ وَثَلاَثِينَ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই আমার উম্মত সহজ-সরল, আমরা (ইহুদীদের ন্যায় তারকা কেন্দ্রিক মাস গণনা) লিখে রাখিনা এবং হিসাবও রাখিনা। মাস এইরূপ, মাস এইরূপ, মাস এইরূপ অর্থাৎ একথা বলে তিনি (তিনবার) নিজের (দশ) নূরুশ শক্ব (আঙ্গুল) মুবারক প্রসারিত করেন। রাবী সুলায়মান তৃতীয়বারে উনার একটি আঙ্গুল সংকোচিত করেন। (অর্থাৎ রোযার মাস উনত্রিশ বা ত্রিশ দিনে হয় এর প্রতি ইশারা করেন)। (আবূ দাউদ শরীফ)
চলবে........
-মুহম্মদ মুফীদ্বুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)