সাতমসজিদ রোডের ঈদগাহ এক অনন্য মোগল পুরাকীর্তি
, ২৫ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১২ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পাঁচ মিশালী
রাজধানীর সাতমসজিদ রোডের মাঝামাঝি জায়গায় রাস্তার পূর্ব দিকে উঁচু ভূমির ওপর প্রাচীন স্থাপনাটি দেখা যায়। জিগাতলা থেকে মোহাম্মদপুরের দিকে যেতে বড় রাস্তার পাশেই এটির অবস্থান। এখানেই ৩৭৯ বছর ধরে ঈদের নামায আদায় করছেন মুসল্লিরা। এখন এটি ধানমন্ডির শাহী ঈদগাহ নামে পরিচিত।
কেন্দ্রীয় মিহরাবের ওপর স্থাপিত একটি শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৬৪০ সালে ঈদগাহটি নির্মাণ করেছিলেন মির কাসিম। শাসক শাহজাহানের ছেলে শাহ সুজা ছিলেন তখন বাংলার সুবেদার। তাঁর দেওয়ান ছিলেন মির আবুল কাসিম।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮১ সাল থেকে এটিকে পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করছে। প্রতœতত্ত্ব বিভাগ ১৯৮৮ সালে সংস্কারের সময় অন্য তিন দিকের প্রাচীর নির্মাণ করে।
ধানমন্ডি ঈদগাহের দৈর্ঘ্য ১৪৫ ফুট ও প্রস্থে ১৩৭ ফুট। চার ফুট উঁচু করে ভূমির ওপর এটি নির্মিত হয় বন্যা থেকে রক্ষার জন্য। এর চার কোণে অষ্টাভূজাকৃতির বুরুজ রয়েছে। ঈদগাহের উত্তর পাশে আছে তিন ধাপের মিম্ব; ঈদগাহটি চারদিকে ১৫ ফুট উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তবে পশ্চিম দিকের প্রাচীরটিই কেবল মোগল আমলের। পশ্চিম প্রাচীরের মাঝবরাবর প্রধান মিহরাব। প্রধান মিহরাবের দুই দিকে আছে বহু খাঁজবিশিষ্ট নকশা করা প্যানেল। এ ছাড়া ছোট আকারের দুটি মেহরাব আছে এর দুই পাশে। মিহরাবগুলো দেয়ালের আয়তাকার ফ্রেমের ভেতরে অবস্থিত।
মোগল আমলে ঢাকার মূল অংশ ছিল আজকের পুরান ঢাকা। তাই এই ঈদগাহ ধারণা দিচ্ছে, এই অংশটি তখন উপশহর ছিল। ঢাকার ইতিহাসবিষয়ক বিভিন্ন গ্রন্থসূত্রে জানা যায়, মোগল আমলে সুবেদার, নায়েবে নাজিম, অমাত্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই ঈদগাহেই নামায আদায় করতেন। মূল শহর থেকে বেশ দূরে ছিল ঈদগাহটি। মূল শহর, অর্থাৎ পুরান ঢাকায় ছোট ছোট বেশ কয়েকটি সুলতানি ঈদগাহ থাকলেও বড় আকারের কোনো ঈদগাহ ছিল না। তাই মির আবুল কাসিম ঈদগাহের জন্য জায়গা খুঁজতে থাকেন। অবশেষে তিনি এ এলাকা বেছে নেন।
কাজেই মূল নগর থেকে কিছুটা দূরে খোলা জায়গায় এবং সাতমসজিদের কাছে হওয়ায় ধানমন্ডি এলাকায় ঈদগাহটি নির্মিত হয়। গবেষক ও লেখক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন উল্লেখ করেছেন, ‘এর পাশ দিয়ে তখন বয়ে যেত পা-ু নদের একটি শাখা। এই শাখা জাফরাবাদে সাত গম্বুজ মসজিদের কাছে মিলিত হতো বুড়িগঙ্গার সঙ্গে।’ মোগল শাসক ও তাদের অমাত্যরা বেশ জাঁকজমকের সঙ্গেই বুড়িগঙ্গাপারের ঢাকা শহর থেকে প্রায় এক ক্রোশ দূরের এই ঈদগাহে আসতেন নামায আদায়ের জন্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
চাঁদের মাটিতে গাছ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৭ দিন ধরে মৃত বাচ্চাকে বহন করা সেই ‘তিমি’র বাচ্চা হয়েছে আবার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মহাঔষধ মেথি শাক!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সূর্যের দিকে সবচেয়ে কাছের যাত্রায় মহাকাশযান
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দিনে তিন কাপ কফি মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম - ক্যানসার-হার্টের মত আত্মঘাতী রোগ-ব্যাধি দূর করে
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম প্রজাতন্ত্রের দেশ সেনেগাল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনেগালে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও ইসলামী আদর্শে নতুন মাত্রা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আদা
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাশিয়ার আকাশে দেখা মিললো উজ্জ্বল গ্রহাণুর
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মসজিদের ভেতরে ৫৪০ বছরের পুরনো জিনের মসজিদ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাঁদের বয়স কত? এক খ- পাথরের মাধ্যমে যা জানা গেল
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)