সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত
, ১০ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ৩০ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ
অর্থ: “সমস্ত ইজ্জত সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মু’মিনগণ উনাদের। কিন্তু মুনাফিকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
সেক্ষেত্রে যে সকল মু’মিন-মু’মিনাহ উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের যতবেশি তায়াল্লুক-নিসবত, নৈকট্য প্রাপ্ত, উনারা ততবেশি সম্মান-মর্যাদা ও ইজ্জতের অধিকারী।
সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদুশ শুহাদা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এ ব্যাপারে অগ্রগামী। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সর্বাধিক তায়াল্লুক, নিসবত ও নৈকট্যপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, তিনি এমনই তায়াল্লুক নিসবত, নৈকট্য পেয়েছেন যে, উনার মুহব্বত সম্মানিত ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা, উনার খিদমত করা ফরযের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই উনার শান, মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুজুর্গী, ইজ্জত, সম্মান সম্পর্কে ইলম অর্জন করা ফরয। কেননা তিনি হচ্ছেন হযরত আহলি বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের তৃতীয় ইমাম। বিশিষ্ট ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
কাজেই উনার শান-মানের খিলাফ কথা বলা, বিদ্বেষ পোষণ করা, বিরূপ মন্তব্য করা ইত্যাদি প্রতিটি কাট্টা কুফরী। চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبَى
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শুরা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-২৩)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন। সাইয়্যিদুল মুরালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
احبوا الله لما يغندوكم من نعمة واحبونى لحب الله واحبوا اهل بيتى لحبى.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। কেননা তিনি তোমাদেরকে উনার নিয়ামতরাজি থেকে বিশেষভাবে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে থাকেন। আমাকে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পাওয়ার জন্য আমাকে মুহব্বত করো। আর আমার মুহব্বত পাওয়ার জন্য আমার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
হযরত ইয়ামা ইবনে মুররাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
حسين منى وانا من حسين احب الله من احب حسينا حسين سبط من الاسباط.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আমার থেকে আর আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার থেকে। যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে মুহব্বত করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে মুহব্বত করবেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি বংশধারাসমূহের মধ্যে একটি বিশেষ বংশধারা মুবারক।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
الحسن اشبه رسول الله صلى الله عليه وسلم مابين الصدر الى الرأس والحسين اشبه النبى صلى الله عليه وسلم ماكان اسفل من ذالك.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (ছুরত বা আকৃতি মুবারক দিক থেকে) মাথা মুবারক থেকে বক্ষ মুবারক পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদৃশ্যপূর্ণ। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বক্ষ মুবারক উনার নিচের অংশের সাথে সদৃশ্যপূর্ণ।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
হযরত বুরায়দা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা মুবারক দিচ্ছিলেন। এমন সময় সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা সেখানে উপস্থিত হলেন। উনাদের উভয়ের জিসিম মুবারকে গন্ধম রঙের দুটি জামা মুবারক ছিল।
উনারা এমনভাবে চলতেছিলেন যেন পড়ে যাচ্ছিলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মিম্বর মুবারক থেকে নেমে গেলেন এবং উনাদেরকে নিয়ে এসে নিজের সামনে বসালেন। আর বললেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি সত্যই বলেছেন- “তোমাদের সম্পদসমূহ ও সন্তানসমূহ ফিতনা বা পরীক্ষা।”
আমি উনাদের দু’জনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, উনারা হাঁটতেছেন এবং পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছেন। এটা দেখে আমি স্থির থাকতে পারলাম না। অবশেষে আলোচনা মুবারক বন্ধ করে দিলাম এবং উনাদেরকে উঠিয়ে আনলাম। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বলেন- একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করা হলো- আপনি আপনার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে কাকে সর্বাধিক বেশি মুহব্বত করেন? তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে। পরে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার উদ্দেশ্যে বললেন- আমার পুত্রদ্বয়কে ডেকে দিন। উনাদেরকে ডেকে দেয়া হলো। উনারা চলে আসলে তিনি উনাদেরকে শুকতেন (বুছা মুবারক দিতেন) এবং উভয়কে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরতেন। (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ان الحسن والحسين هما ريحانى من الدنيا.
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দুইজন দুনিয়াতে আমার দুইটি সুগন্ধময় ফুলস্বরূপ।” (তিরমিযী শরীফ)
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الحسن والحسين سيدا شباب اهل الجنة.
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা দুইজনই জান্নাতী যুবকগণের সাইয়্যিদ।” (তিরমিযী শরীফ)
হযরত উসামা ইবনে যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই বলে দোয়া মুবারক করলেন যে,
اللهم انى احبهما فاحبهما واحب من يحبهما.
অর্থ: “হে মহান আল্লাহ পাক! আমি উনাদের দুইজনকে মুহব্বত করি। আপনিও উনাদেরকে মুহব্বত করুন। আর যারা উনাদের দুইজনকে মুহব্বত করবে, আপনি তাদেরকেও মুহব্বত করুন।” (তিরমিযী শরীফ)
একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলে বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আপন ডান জানু মুবারকে এবং ক্বায়িম-মাক্বামে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনাকে বাম জানু মুবারকে বসিয়ে রেখেছিলেন।
এমতাবস্থায় হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি হাজির হয়ে বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের দু’জনকে আপনার নিকট একত্রে রাখতে চান না। উনাদের একজনকে ফিরিয়ে নিতে চান। এখন আপনি উনাদের যে মহান ব্যক্তিত্বকে ইচ্ছা করেন নিজের কাছে রাখতে পারেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন- সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বিদায় নিলে উনার বিরহ ব্যাথ্যায় সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ও আসাদুল্লাহি গালিব সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনারা ব্যাথিত হবেন। সাথে সাথে আমিও ব্যাথিত হবো।
আর ক্বায়িম-মাক্বামে রসূলিল্লাহ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি বিদায় নিলে শুধুমাত্র আমার একটি প্রাণ মুবারক দগ্ধ হবে। তাই আমি নিজের দুঃখই চেয়েছিলাম।
এই ঘটনার তিনদিন পর ক্বায়িম-মাক্বামে রসূলিল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখনই সাইয়্যিদুনা ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার কাছে আসতেন, তখনই তিনি উনার কপাল মুবারকে বুছা দিতেন এবং “খোশ আমদেদ” জানাতেন। আরো বলতেন- আমি আপনার জন্য আপন আওলাদ আলাইহিস সালাম উনাকে বিসর্জন (কুরবানী) দিয়েছি।
হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের সবাইকে উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত দান করুন। আমীন!
-মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)