সাইয়্যিদুস সাক্বালাইন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হস্ত) মুবারক উনার বরকতময় মু’জিযাহ শরীফ
, ১২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
অর্থ: নিশ্চয়ই আমি আপনাকে কাওছার (সর্ববিধ কল্যাণ) উনার মালিক করেছি।” (পবিত্র সূরা কাউছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)
মূলত আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্ববিধ কল্যাণ হাদিয়া মুবারক করেছেন এবং মালিক বানিয়েছেন। কাজেই তিনি হলেন সর্বপ্রকার রহমত, বরকত, সাকীনার জামে’। উনার মুবারক ছোহবতে এবং মুবারক স্পর্শে সবকিছু বরকত ও নিয়ামত যুক্ত হয়ে যেত। এ ধরণের অসংখ্য ঘটনা পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা হতে কতিপয় উল্লেখ করা হলো।
নিরাময়ের উৎস:
হযরত হানযালা বিন হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শৈশবে যখন উনার পিতার সঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবার শরীফে এসেছিলেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত হানযালা বিন হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাথায় নিজ নূরুল মাগফিরাত মুবারক (হাত মুবারক) রেখে দোআ মুবারক করেছিলেন। ঐ দোআ মুবারকের তাছির এরূপ হলো যে, কারো মুখে বা বকরীর দুগ্ধ স্তনে “ওয়ারাম” বা স্ফীত রোগ দেখা দিলে হযরত হানযালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মাথা মুবারকের সাথে তা স্পর্শ করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যেত। সুবহানাল্লাহ!
উজ্জ্বল ললাট:
হযরত যায়েদ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হুনাইনের যুদ্ধে আহত হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার চেহারা হতে রক্ত মুছে দিয়ে উনার জন্য দোআ মুবারক করলেন। ঐ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার পবিত্র নূরুল মুজি’যাহ শরীফ বা হাতের তালু মুবারক দ্বারা উনার ললাট স্পর্শ করেছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্পর্শ মুবারকের বরকতে হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ললাটের ঐ স্থানটি সর্বদা জ্বলজ্বল করতো। সুবহানাল্লাহ!
আজীবন কালো চুল-দাঁড়ি:
হযরত আমর বিন ছায়লাবা জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি দুহালাহ নামক স্থানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে দেখে আদর করেন এবং উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হাত মুবারক) আমার মুখের উপর মুছে দিলেন।
হযরত আমর বিন ছায়লাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত বছর বয়সে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। উনার মুখের দাঁড়ি ও মাথার যে সকল চুল মুবারক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক বা হাত মুবারকের স্পর্শ পেয়েছিলো তা উনার ইন্তিকাল পর্যন্ত সাদা হয়নি। সুবহানাল্লাহ!
চুল ও শরীরের বরকত:
হযরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এভাবে দোআ মুবারক করতেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি আবূ কাতাদার চুল ও শরীরে বরকত দান করুন।”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দোআ মুবারকের বরকতে ইন্তিকাল পর্যন্ত উনার একটি চুলও সাদা হয়নি। এবং চেহারার লাবণ্য ছিলো পনের বছরের যুবকের মতো। তিনি সত্তর বছর বয়সে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
দুর্বল সবলে পরিণত:
হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে যুল খাচ্ছার দেব মন্দিরটি ধ্বংস করে দিতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তখন আমার স্বাস্থ্য এতটা দুর্বল ছিলো যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় ছওয়ার হতে পারতাম না এবং অধিকাংশ সময় ঘোড়া হতে পড়ে যেতাম।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আমার স্বাস্থ্যগত অপারগতার কথা জানালে তিনি আমার বুকের উপর উনার পবিত্র নূরুল মাগফিরাহ (হাত) মুবারক স্থাপন করে আমার জন্য দোআ মুবারক করলেন, “আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনি উনাকে হিদায়েতপ্রাপ্ত এবং হিদায়েতকারী বানিয়ে দিন।”
হযরত জারীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, অতঃপর আমি দেড় শত ঘোড় ছওয়ার নিয়ে যুল খাচ্ছার দেব মন্দির জ্বালিয়ে দেই এবং জীবনে আর কখনো ঘোড়া হতে পড়ে যাইনি। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উম্মু আবীহা, খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)