সাইয়্যিদুল আওলিয়া, মাহবূবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, গওছুল আ’যম, মুজাদ্দিদুয যামান, সুলত্বানুল আরিফীন, মুহিউদ্দীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি
, ০৯ শা’বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০২ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আব্বা-আম্মা উনাদের বুযুর্গী
পূর্ব প্রকাশিতের পর
অনেকদিন কাজ করার পর আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, হুযূর আমার ফলের মূল্য কি এখনও পরিশোধ হয়নি? তিনি বললেন, হ্যাঁ হয়েছে। তবে আর একটি শর্তে আপনাকে মুক্তি দিতে পারি। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, কি সেই শর্ত? আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, আমার একটি মেয়ে আছে তাকে বিয়ে করতে হবে। তবে মেয়েটি অন্ধ, বোবা, বধির, খঞ্জ, লুলা, কালো-কুৎসিত। একথা শুনে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবলেন, এ ধরনের একটি মেয়েকে বিয়ে করবো! যার কাছ থেকে খিদমত পাওয়ার পরিবর্তে উল্টো তাকেই খিদমত করতে হবে। কিন্তু পরক্ষণেই চিন্তা করলেন, দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। কাজেই, এখন যদি তিনি ক্ষমা না করেন (বিবাহ করা ব্যতীত) তবে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে কি জবাব দিব, ইত্যাদি চিন্তা করে রাজি হয়ে গেলেন। বিয়ে হয়ে গেল। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাসর ঘরে প্রবেশ করেই (আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি যা বলেছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত দেখতে পেয়েই) তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। ঘর থেকে বের হয়েই দেখলেন, সামনের রাস্তায় (ঘরের সামনে একটি ছোট রাস্তা ছিল) আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে। বললেন, হুযূর! আপনি যা বলছিলেন এখন দেখি তার বিপরীত। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন (যা তিনি পূর্বেই বুঝতে পেরেছিলেন এমন কিছু ঘটবে) বাবা ইনিই আপনার আহলিয়া। রাত কাটান। সকালে আপনার প্রশ্নের জবাব দেব।
পরদিন আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ছাওমাই রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বললেন, বাবা! আমার মেয়েকে আমি অন্ধ বলেছি এই জন্য- আমার মেয়ে কখনও কোন পর পুরুষকে দেখেননি; বোবা বলেছি এজন্য যে, তিনি কখনও কোন পাপের কথা মুখে আনেননি। বধির বলেছি এজন্য যে, তিনি কখনও পাপের কথা কানে শুনেননি। খঞ্জ ও লুলা বলেছি এজন্য যে, তিনি কখনও কোন পাপের পথে পা বাড়াননি এবং কোন পাপ কাজ স্পর্শ করেননি। কালো-কুৎসিত এজন্য বলেছি যে, উনাকে কখনও কোন পর পুরুষ দেখেনি। এ কথা শুনে আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত আবু ছালেহ মূসা জঙ্গী দোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আল্লাহ পাক উনার শোকরগুজার করলেন। এখানে ফিকিরের বিষয়, কেমন নেককার ও পরহেযগার মুত্তাক্বী পিতা ও মাতার ঘরে ওলীয়ে মাদারজাত, গাউছুল আ’যম, হযরত শায়েখ সাইয়্যিদ মুহিউদ্দীন বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আগমন করেছেন।
শৈশবাস্থা: অত্যন্ত সাদা-সিধেভাবে উনার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। তিনি অন্যান্য সাধারণ শিশু-বালকদের ন্যায় চিৎকার-চেচামেচি করতেন না। নিতান্তই শৈশবকালে, যে সময়ে দুধের শিশু সে সময়ে সাধারণভাবে ক্ষুধা নিবারণের জন্য দুধ পান করতেন; কিন্তু রমাদ্বান শরীফ মাসে তিনি দিনের বেলা কখনোই দুধপান করতেন না। দিনের বেলায় কোনো রকমের পানাহারের প্রতি কখনোই আকর্ষণ অনুভব করতেন না। যথারীতি তিনি রাতেই দুধপান করতেন এবং এইভাবে কেটে যেত শৈশবের রমাদ্বান শরীফ মাসগুলি।
ছেলেবেলায়, ছোট বয়সে অন্যান্য সাধারণ বালকদের ন্যায় কখনোই এদিকে-ওদিকে দৌড়ঝাঁপ করে এবং বাজে ছেলেদের সাথে সময় কাটাতেন না। সাধারণভাবে তিনি আলাদা থাকতেন এবং সবসময়েই উনার মধ্যে একটা পবিত্র ভাব বিরাজ করতো। তিনি একবার উনার শৈশবকালের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, শৈশব ও বাল্যকালে যখন আমি সমবয়সীদের সাথে বের হতে চাইতাম তখনই আমার কানে একটি অদৃশ্য কণ্ঠস্বর ভেসে আসতো।
يا مبارك انت الى
অর্থ: “হে বরকতময় শিশু! আপনি আমার দিকে আসুন।” আমি এদিক-ওদিক তাকিয়ে এই আহ্বাকারীকে খুঁজতাম কিন্তু কাউকেই দেখতে পেতামনা। তখন আমার ভীষন ভয় হত সেখান থেকে ফিরে গিয়ে আমার মায়ের কোলে মাথা গুঁজে থাকতাম। আজও আমি একান্তে সেই কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। আমাকে বলা হয় ‘আব্দুল কাদির! ওঠুন, আপনাকে ঘুমানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। বিপথগামীদের সঠিক পথের সন্ধান দিন, আঁধার পথে যাত্রীদের কাছে দ্বীনের আলো পৌছে দিন। এ মোলায়েম ও আরামদায়ক বিছানা আপনার জন্য নয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিক্বাহ বা ফতওয়ার সকল কিতাবেই গান-বাজনা, বাদ্য-যন্ত্র ইত্যাদিকে হারাম ফতওয়া দেয়া হয়েছে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪২)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কদমবুছী করা খাছ সুন্নত মুবারক
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (৩)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ফরয
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মূর্তি, প্রতিমা, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন ও ছবি নাজায়িয ও হারাম
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সমস্ত উলামায়ে সূ’ ও তাদের শাগরেদ নামধারী মুসলমানরা মুশরিকদের মন্দির ও পূজায় পাহারা দিয়েছে তাদের ব্যাপারে শরঈ ফায়ছালা (২)
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)