হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক সম্পর্কে ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (২৭৯)
, ০৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৩ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২২ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৭ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
اَلْمَرْءُ يَقِيْسُ عَلى نَفْسِهِ
(প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মতো ধারণা করে।) উনারা নাকি নানান এলোমেলো কাজ করেছেন। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! এখন এর ফায়সালাটা কি? এটারতো কোন ফায়সালা নেই। এখন আমাদের কাছে কোন ফায়সালা নেই। আমরা সম্মানিত শরীয়ত উনার যে ফতওয়া সেটা দিব। আর যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা ফায়সালা করবেন পরকালে। এখানে কোন ফায়সালা নেই। কাজেই বিষয়টা কিন্তু খুব ফিকির করতে হবে। উনাদের শান-মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা করার কোন সুযোগ নেই। সেটাই বলা হচ্ছে, যখন ইফক্বের ঘটনা ঘটে গেল মানুষ শুনলো, যারা মুনাফিক্ব তারাতো চূ-চেরা কিল ও কাল করতে থাকলো। কিছু লোক সহযোগী হয়ে গেল, না বুঝার কারণে। কিছু লোক উনারা অবশ্যই প্রতিবাদ করেছেন, আর কিছু লোক চুপ হয়ে গেল। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন। কি বললেন?
لَوْلا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنفُسِهِمْ خَيْرًا وَقَالُوا هَذَا إِفْكٌ مُّبِينٌ.
তোমরা মু’মিনরা যখন শুনতে পেলে উনাদের শান মুবারকে কেন তোমরা সুধারণা পোষণ করলে না। ঈমানদাররা কেন সুধারণা পোষণ করলে না। আর কেন বললে না। এটা অবশ্যই একটা কাট্টা মিথ্যা অপবাদ কেন বললে না। কিন্তু যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলে দিচ্ছেন, তোমাদের অনেক বড় অপরাধ হয়ে গেছে। কেন তোমরা শুনার পর বললে না যে উনারাতো নিখূত, উনারাতো পবিত্র থেকে পবিত্রতম, পবিত্রতা দানকারী। কেন তোমরা সেটা ধারণা পোষণ করলে না। যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এই ধারণা পোষণ করার জন্য বলে দিয়েছেন। তাহলে বুঝা যাচ্ছে, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ হুসনে যন পোষণ করতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)