ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২৯)
, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
বাদশাহ আলমগীর তখন ছোট ছিলেন। তিনি দৌড়ে এসে জানালেন হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহিকে যে, হুযূর আপনাকে হয়তো গ্রেফতার করা হবে, পুলিশ আসবে। তিনি বললেন, তাই নাকি? এক কাজ করো আমার ওযূর বদনা লও, আর মিছওয়াক লও।
سِلاَحُ الْمُؤْمِنِ اَلْوُضُوءُ
ওযূ হচ্ছে- মু’মিনদের অস্ত্র। ওযূ করে তোমার পিতা বাদশাহ শাহ্জাহানের বিরুদ্ধে আমি বদ্ দোয়া করবো যেন তার রাজত্ব ধ্বংস হয়ে যায়। এটা শুনে বাদশাহ আলমগীর ভয় পেলেন।
তিনি তাড়াতাড়ি গিয়ে উনার পিতা বাদশাহ শাহ্জাহানকে জানালেন যে, হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি গোসসা করেছেন। যেহেতু তিনি হক্ব ফতওয়া দিয়েছেন, আপনি কেন উনার বিরোধিতা করতেছেন? তিনি আপনার বিরুদ্ধে বদ দোয়া করবেন, হয়তো আপনার ধ্বংস আসবে।
বাদশাহ শাহ্জাহানও জানতেন, তিনি খালেছ ওলী। নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাদশাহ বললেন, তাহলে কি করা যেতে পারে? আলমগীর বললো, আপনি ইস্তেগফার করেন, তওবা করেন, লোক পাঠান ক্ষমা চেয়ে। তিনি লোক পাঠালেন ক্ষমা চেয়ে, কিছু হাদিয়াও পাঠালেন, যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং তিনি বুঝালেন যে, তিনি হাক্বীক্বী ইস্তেগফার করেছেন।
তখন হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি এতমিনান হলেন, যে ঠিক আছে, যেহেতু সে ক্ষমা চেয়েছে, তাই ক্ষমা করে দিলাম।
এখানে প্রশ্ন হচ্ছে যে, তিনশত আলিম ফতওয়া দিয়েছিল- রেশমী কাপড় পরিধান করা বাদশাহ্’র জন্য জায়েয রয়েছে। কিন্তু তিনি একাই বললেন যে-
مفتى اور مستفتى هر دو كافرند
অর্থাৎ যেহেতু তারা বিনা তাহ্ক্বীকে ফতওয়া দিয়েছে, তাই তাদের এ ফতওয়া গ্রহণযোগ্য হবে না। তারা সকলেই হারামকে হালাল বলার কারণে কাফির হয়ে গেছে।
কাজেই এখন ফিকিরের বিষয়, যিনি আলিম হবেন, উনার ফতওয়া ঠিক তদ্রুপই হতে হবে। যেরূপ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজ্মা ও ক্বিয়াসের মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। তার বিপরীত হতে পারবে না। যখন বিপরীত হবে, যত আলিমই সেটা ফতওয়া দিক না কেন? তা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। তা হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন উনার ফতওয়ার মাধ্যমে।
কাজেই হাক্বীক্বী আলিম যিনি হবেন, উনি মানুষকে আসল ফতওয়া দিয়ে দিবেন। উনি কারো মুখাপেক্ষী থাকবেন না। যে মুখাপেক্ষী থাকে মুলতঃ সে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় আলিম উনার অন্তর্ভুক্ত নয়। সে মাওলানা হতে পারে কিন্তু আলিম নয়। কারণ মাওলানা হলো যারা টাইটেল বা কামিল পাশ করে অথবা দাওরা যারা পাশ করে। তারা মাওলানা হতে পারে, যেটা আমাদের দেশের পরিভাষায় তাদেরকে মাওলানা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আলিম হওয়াটা হচ্ছে অন্য বিষয়।
যেটা আমি পূর্বেই বলেছি, যিনি পবিত্র ইলিম অনুযায়ী আমল করেন, উনি হচ্ছেন আলিম। উনি সেই ফযীলতগুলি পাবেন, যে ফযীলতগুলি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে আলিম উনাদের সম্পর্কে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












