ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২৮)
, ২৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তাই তিনি বললেন যে, আপনার একার কথায় হবেনা, লিখিত ফতওয়া দিতে হবে। কারণ অন্যান্য আলিমরা যদি আমাকে প্রশ্ন করে, আমি কি জাওয়াব দিব?
তখন সে মুফতী ছাহেব লিখিত দিলেন।
তখন তিনি বললেন যে, আপনার একার লেখা অর্থাৎ সিগ্নেচারের ফতওয়ায় হবেনা, আরো আলিমদের ফতওয়া বা স্বাক্ষর থাকতে হবে।
তখন সে মুফতী ছাহেব সারা দেশ থেকে তিনশত আলিমের স্বাক্ষর সংগ্রহ করলো। তারা সকলেই ফতওয়া দিলো যে, জরুরত বশতঃ অর্থাৎ অসুস্থতার কারণে বাদশাহ শাহ্জাহানের জন্য রেশমী কাপড় পরিধান করা জায়েয রয়েছে। কেননা বাদশাহ শাহ্জাহান যদি সুস্থ থাকেন, তবে সারা দেশ সুস্থ থাকবে। যেহেতু তিনি বাদশাহ। বাদশাহ শাহ্জাহান সে ফতওয়াটা নিয়ে লক্ষ্য করলেন, কার কার স্বাক্ষর রয়েছে, দস্তখত রয়েছে।
সকলের দস্তখত তিনি লক্ষ্য করলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি বললেন যে- দেখ, সকলেরই দস্তখত রয়েছে কিন্তু হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোন দস্তখত এখানে নেই। উনার দস্তখত থাকতে হবে, অন্যথায় আমি এটা গ্রহণ করবো না। যেহেতু তিনি বিশিষ্ট আলিম, বুযুর্গ, উনার স্বাক্ষর বা দস্তখত থাকতে হবে।
তখন সে কাগজটা পাঠানো হলো হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে। তিনি সেটা দেখে বললেন যে, ঠিক আছে, আমি আজকে জবাব দিবনা। আমি জুমুয়াবার দিন, যেহেতু বাদশাহ আমার মসজিদে জুমুয়ার নামায পড়ে থাকেন, জুমুয়ার নামাযের পূর্বে আমি কিছু বয়ান করে থাকি, সে বয়ানের মধ্যে আমি এ ব্যাপারে ফতওয়া দিব। কাগজটা আমার কাছে দিয়ে যাও। কাগজটা উনার কাছে রেখে দেয়া হলো।
জুমুয়াবার দিন সকালে সকলেরই ভীড় হলো সেখানে, উযীর-নাযীর অন্যান্য যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি রয়েছে, এমনকি স্বয়ং বাদশাহও যথাসময় সেখানে পৌঁছলো। তিনি আলোচনার এক প্রসঙ্গে গিয়ে সেই ফতওয়ার কাগজটা বের করে বললেন যে- দেখ, রেশমী কাপড় পরিধান সর্ম্পকে যে ফতওয়া দেয়া হয়েছে, মূলতঃ সে সম্পর্কে ফতওয়াটা শুদ্ধ হয়নি। সামান্য কারণের জন্যই রেশমী কাপড় ব্যবহার জায়েয হতে পারে না। রেশমী কাপড় পরিধান বা ব্যবহার জায়েয হতে পারে যদি মারাত্মক চুলকানী রোগ হয়। যেটা অন্যভাবে সুস্থতার কোন সম্ভাবনা না থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক কারণ রয়েছে। সে কারণগুলি অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় এ ফতওয়া দেয়া শুদ্ধ হয়নি। তখন তিনি ফতওয়া দিলেন-
مفتى اور مستفتى هر دو كافرند
যে ব্যক্তি ফতওয়া তলব করেছে বা চেয়েছে, আর যারা ফতওয়া দিয়েছে, তারা সকলেই কাফের হয়ে গেছে। তিনি ফতওয়া দিয়ে দিলেন। আলোচনা শেষ করলেন।
এদিকে বাদশাহ শাহ্জাহান মনে মনে কিছুটা গোস্সা করলো এবং অন্যান্য যারা ছিল তারাও কিছুটা গোস্সা করলো এবং লজ্জিত হলো। বাদশাহ শাহ্জাহান সেখান থেকে চলে গেল। উযীর-নাযীর সকলেই নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চলে গেল সেখান থেকে।
বাদশাহ শাহ্জাহান গিয়ে বললো যে- এক কাজ করো, হযরত মুল্লা যিউন রহমতুল্লাহি আলাইহিকে গ্রেফতার করা হোক। তিনি আমাকে এভাবে কেন কথাগুলি বললেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












