ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (২০)
, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন ফিকিরের বিষয়, চিন্তার বিষয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি আলিম যাঁরা, উনাদেরকে কত বড় ফযীলত দিয়েছেন, কত বুযুর্গী-সম্মান দিয়েছেন। সেজন্য হযরত মুয়াবিআ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হাদীছ শরীফে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে দেখ-
مَنْ يُرِدِ اللهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার ভালাই চেয়ে থাকেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যার কল্যাণ চেয়ে থাকেন, তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি দ্বীনী সমঝ দিয়ে থাকেন।
وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي
এবং নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, আমি সেটা বণ্টনকারী। মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত খাযিনাগুলি বা ভান্ডারগুলি আমার কাছে দিয়েছেন।
وَإِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ
এবং নিশ্চয়ই আমি তার বণ্টনকারী। মহান আল্লাহ পাক তিনি যার কল্যাণ চান, তাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি সমঝ দিয়ে থাকেন।
সমঝ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
فَقِيهٌ وَاحِدٌ أَشَدُّ عَلَى الشَّيْطَانِ مِنْ أَلْفِ عَابِدٍ.
অর্থ : “একজন ফক্বীহ্, একজন সমঝদার ব্যক্তি শয়তানের কাছে, শয়তানের নিকট এক হাজার আবেদ থেকেও বেশী ভয়ংকর। অর্থাৎ শয়তান আবেদকে যতটুকু ভয় করে, এক হাজার আবেদকে যতটুকু ভয় করে তার চেয়েও বেশী ভয় করে যেমন ফক্বীহ্ বা সমঝদার উনাকে।
এই হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় বলা হয়ে থাকে- এক মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী, এক বুযুর্গ ব্যক্তি এক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ উনি দেখলেন, একটা মসজিদ, মসজিদের মধ্যে কিছু লোক ভিতরে রয়েছে, ইবলীসকে দেখলেন মসজিদের দরজায় দাঁড়ানো অর্থাৎ সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী দেখলেন- মসজিদের দরজায় ইবলীস দাঁড়িয়ে রয়েছে।
উনি ইবলীসকে বললেন, মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করতেছিস এখানে?
যখন উনি জিজ্ঞাসা করলেন, তখন ইবলীস ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বললো, হুযূর! বেয়াদবি মাফ করবেন, আমার একটা কাজ রয়েছে এখানে।
কি কাজ রয়েছে তোমার এখানে?
আমার কাজ হচ্ছে- এই মসজিদের ভিতরে একটা লোক ঐ কর্ণারে নামায পড়তেছে, আমি তাকে ওয়াসওয়াসা দেয়ার জন্য প্রবেশ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি, কিন্তু তার বিপরীত কোণায় আরেকজন আলিম, সমঝদার, ফক্বীহ ঘুমিয়ে আছেন, অর্থাৎ একজন ফক্বীহ বা আল্লাহওয়ালা উনি ঘুমিয়ে আছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












