ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
ইলিম ও আলিমের ফযীলত (৩)
, ২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

صَاحِبُ الْعِلْمِ وَصَاحِبُ الدُّنْيَا
একজন হচ্ছে যিনি ইলিম তালাশ করেন; আরেকজন হচ্ছে, যে দুনিয়া তালাশ করে।
لاَ يَسْتَوِيَانِ
তারা কখনো বরাবর বা সমান হবে না।
أَمَّا صَاحِبُ الْعِلْمِ فَيَزْدَادُ رِضًا لِلرَّحْمَنِ
যিনি ইলিম তালাশ করেন, তার মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টিটা অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রেজামন্দী পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পর্যায়ক্রমে তার প্রতি বেশী সন্তুষ্ট হতে থাকেন।
وَأَمَّا صَاحِبُ الدُّنْيَا فَيَتَمَادَى فِي الطُّغْيَانِ
আর যে দুনিয়া তলবকারী, দুনিয়া তালাশকারী সে পর্যায়ক্রমে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে।
ثُمَّ قَرَأَ {كَلاَّ إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى} وَقَالَ الآخَرُ {إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ}.
অতঃপর তিনি এ আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন-
كَلاَّ إِنَّ الإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى
(পবিত্র সূরা আলাক্ব : আয়াত শরীফ ৬-৭)
কখনো নয়, যে ব্যক্তি দুনিয়াদার, সে মনে করে সে বেনিয়াজ, সে মনে করে অনেক ধন-সম্পদ হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সে মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করে দেয়।
আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন-
وَقَالَ الآخَرُ {إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ}
আর দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন, যার শানে বলা হয়েছে, উনার ইলিম (অর্জন) তলব করার কারণে পর্যায়ক্রমে উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে। খোদা ভীতি বেশী বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলশ্রুতিতে উনি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার খালেছ বান্দার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে বলা হয়- হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছিলেন, উনার প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি যাবুর কিতাব নাযিল করেছেন। উনি যখন ইন্তেকাল করলেন, উনার ছেলে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন, “হে সুলায়মান আলাইহিস সালাম, আমি আপনার জন্য দু’টি জিনিস রেখেছি। এর মধ্য থেকে যে কোন একটি আপনাকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। একটি হচ্ছে- কর্তৃত্ব, অপরটি হচ্ছে- ইলিম ।
হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম বললেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! আমার জন্য যে কর্তৃত্ব রাখা হয়েছে তা যদি আমি গ্রহণ করি তাহলে কি হবে?
মহান আল্লাহ পাক তিনি জানালেন, কর্তৃত্ব গ্রহণ করলে দুনিয়ায় আপনার নাম-ধাম, যশ-খ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি হবে, মানুষ আপনাকে চিনবে, জানবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৮)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক হয়ে কাট্টা কাফির ও মুরতাদ হয়েছে (২৪)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সারাবিশ্বে এক দিনে ঈদ পালন সম্ভব কি? একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ.... (৫)
২৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৭)
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে ‘পহেলা এপ্রিল’ বা ‘এপ্রিল ফুল’ হারাম। ‘এপ্রিল ফুল’ এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (২)
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র সূরা আল ক্বদর শরীফ উনার সহীহ তাফসীর
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত যাকাত উনার আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৬)
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা পালন করা নারী-পুরুষ সকলের জন্যই শান্তি ও পবিত্রতা হাছিলের কারণ
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)