ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়ার বুরায়ী বা খারাবী (৩৫)
, ১২ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আর তাই মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলেন-
كُنْ عَالِمًا، أَوْ مُتَعَلِّمًا، أَوْ مُسْتَمِعًا، أَوْ مُحِبًّا، وَلَا تَكُنِ الْخَامِسَ فَتَهْلِكَ
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে, দেখ- তোমরা চারটার বাইরে হইওনা। হয় আলিম হও, না হয় তালিবে ইলিম হও।
এখন তালিবে ইলিমের কয়েকটি শ্রেণী রয়েছে, সেটা বর্ণনা করা হয়েছে- এক নম্বর হলো- হয় তালিবে ইলিম হও, দুই নম্বর হচ্ছে- শ্রোতা হও, শ্রোতার মাধ্যমে তালিবে ইলিম হও, তিন নম্বর হচ্ছে- মুহব্বত করার মধ্য দিয়ে তুমি তালিবে ইলিম হয়ে যাও। আল্লাহওয়ালা উনাদের মুহব্বত করো।
যেটা বলা হয়েছে-
اِلَّا ذِكْرُ اللهِ وَمَا وَالَاهُ
যিকিরকারী যারা রয়েছে, যিকিরকে যারা মুহব্বত করে, আলিমদেরকে যারা মুহব্বত করে, এই লোকগুলি ছাড়া সমস্ত লোক ধ্বংস হয়ে যাবে। সমস্ত লোক ধ্বংস হয়ে যাবে অর্থাৎ সকলের উপরেই লা’নত রয়েছে, এই চার শ্রেণী ব্যতীত।
সকলেই লা’নতপ্রাপ্ত, এই চার শ্রেণীর মধ্যে যারা পড়বে- মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী এবং যিকিরকারীকে যারা মুহব্বত করে এবং যারা আলিম এবং যারা তালিবে ইলিম রয়েছে, এই চার শ্রেণীর লোক ছাড়া যমিনে সকলের উপরেই মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত রয়েছে, তারা লা’নতের মধ্যে রয়েছে।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন-
اُطْلُبُوا الْعِلْمَ مِنَ الْمَهْدِ اِلَى اللَّحْدِ
“তোমরা দোলনা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলিম অন্বেষণ করো। ”
তাহলে তালিবে ইলিম থাকবে, তোমার উপর কখনো মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত বর্ষিত হবে না, কখনোই তোমার প্রতি লা’নত নাযিল হবে না। তুমি মহান আল্লাহ পাক উনার রহমতের মধ্যেই থাকবে, খায়ের বরকতের মধ্যেই তুমি থাকবে, তোমার ফায়দা ইহকাল ও পরকালে।
কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিরই উচিত, ইলিম অন্বেষণের মধ্যেই যেন সে সময় অতিবাহিত করে, তাহলে তার জন্য কামিয়াবী, অন্যথায় তার জন্য কোন কামিয়াবী নেই। অর্থাৎ সে তার অন্তর থেকে দুনিয়ার মুহব্বত বের করে দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতে গরক থাকুক, তাহলে তার জন্য কামিয়াবী।
কারণ যে মহান আল্লাহ পাক উনার ধ্যানে-খেয়ালে থাকবে, মহান আল্লাহ পাক উনার ইলিম অন্বেষণের মধ্যে থাকবে, তাহলে তার অন্তরেই হাক্বীক্বত দুনিয়ার মুহব্বত থাকতে পারে না।
এবং অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক বলেন যে, দেখ-
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُ فِيهَا مَا نَشَاءُ لِمَنْ نُرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَدْحُورًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, দেখ-
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُ فِيهَا مَا نَشَاءُ لِمَنْ نُرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُ جَهَنَّمَ يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَدْحُورًا
মহান আল্লাহ পাক বলেন, দেখ- “যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি করে দুনিয়াবী সম্পদ আমার কাছে চায়, আমি তাকে তাড়াতাড়ি দিয়ে থাকি, তা থেকে আমার যতটুকু ইচ্ছা হয়, আমি ততটুকু তাকে দেই যতটুকু যাকে ইচ্ছা এবং সেটা তাড়াতাড়ি দিয়ে থাকি। ” অর্থাৎ দুনিয়াবী জিন্দেগীতে সে যা চায়, আমার যতটুকু ইচ্ছা হয়, তার চাওয়ার থেকে যেটা আমি মনে করি যে, তাকে দেয়া দরকার, আমি তাকে ততটুকু দিয়ে থাকি। কিন্তু এরপর,
ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُ جَهَنَّمَ
অতঃপর পরকালে তার জন্য কিছু রাখি না, পরকালে শুধু তার জন্য জাহান্নামই রেখে দেই এবং
يَصْلَاهَا مَذْمُومًا مَدْحُورًا
পরকালে আমি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো, কি করে জান? লাঞ্ছিত করে, বিতাড়িত করে, অপমানিত করে, আমি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবো। অর্থাৎ সেই আগুণের মধ্যে সে প্রবেশ করবে লাঞ্ছিত হয়ে, পদদলিত হয়ে, অপমানিত হয়ে, বিতাড়িত হয়ে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












