ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মুসলমানের বৈশিষ্ট্য (৮)
, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্য আয়াত শরীফ-এ বলেছেন-
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলতেছেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলতেছেন যে, আমার কসম! তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, কতক্ষণ পর্যন্ত? যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের সমস্ত জাহেরী এবং বাতেনী প্রত্যেক বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে মেনে নিতে হবে, তাহলে মু’মিন, না হলে মু’মিন হতে পারবে না।
এই আয়াত শরীফের তাফসীরে কি বলা হয়, জানেন? এই আয়াত শরীফ কেন নাযিল হলো?
মুফাস্সিরীন-ই-কিরাম বলেন, এক ব্যক্তি ছিল মুনাফিক, তার নাম ছিল বিশর। সে মুসলমান দাবী করতো, হাক্বীক্বী সে মুনাফিক। এই মুনাফিক বিশরের সাথে এক ইহুদীর সাথে গন্ডগোল হয়ে যায়। যখন গন্ডগোল হয়ে গেল তখন মুনাফিক বিশরকে ইহুদী বললো, হে বিশর এটার বিচার করতে হবে। কে বিচার করবেন? হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিচার করবেন।
মুনাফিক বিশর মনে মনে চিন্তা করলো, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি বিচার করেন, উনি তো হক্ব বিচার করবেন, যেহেতু ইহুদী হক্ব, ইহুদীর পক্ষে রায় চলে যাবে। তখন মুনাফিক বিশর বললো যে, না তোমরা এক কাজ করো, তোমাদের যে বিচার করনেওয়ালা, কা’ব ইবনে আশরাফ ইহুদী সে বিচার করবে।
কিন্তু ইহুদী ব্যক্তি জানতো যে, কা’ব ইবনে আশরাফ যদি বিচার করে, তাহলে সে মুনাফিকী করবে। সে হেরফের করবে, সে হয়তো ঘুষ খাবে। তখন সেই ইহুদী বললো না, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিচার করবেন।
এই কথা বলে মুনাফিক বিশরকে বুঝায়ে নিয়ে গেল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে। বিচার হয়ে গেল, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিচার করলেন। মুনাফিক বিশরের বিরুদ্ধে, ইহুদীর পক্ষে রায় পড়লো, ইহুদী জিতে গেল।
মুনাফিক বিশর সেখানে তা বাহ্যিকভাবে মেনে নিলেও দরবারে নববী শরীফ থেকে বের হয়ে বললো, বিচারটা আমার মনঃপূত হচ্ছে না। নাউযুবিল্লাহ! ইহুদী বললো, হে বিশর তুমি বলো কি? তোমাদের যিনি রসূল, যিনি আল আমীন উনার বিচার তোমার মনঃপূত হয়নি? তবে তুমি কার বিচার মানবে? সেই যামানায় খলীফায়ে ছানী সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বিচার করতেন। মুনাফিক বিশর সে মনে করলো যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খুব জালালী তবিয়ত। উনার প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ
অর্থাৎ হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি কাফিরদের প্রতি কঠোর।
তিনি হয়তো বিশরের পক্ষেই রায় দিবেন। মুনাফিক বিশর সে ইহুদীকে নিয়ে গেল হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কাছে বিচারের জন্য।
ইহুদী খুব চালাক ছিল, সে বললো, হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! এই বিশর আমাকে নিয়ে এসেছে আপনার কাছে বিচারের জন্য, অথচ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিচার করে দিয়েছেন। বিচার আমার পক্ষে দেয়া হয়েছে।
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন- ঠিক আছে তোমরা বসো, তোমাদের আমি বিচার করবো। উনি ঘরে প্রবেশ করলেন, ঘরে প্রবেশ করে একটা তরবারী নিয়ে আসলেন। তরবারী এনে মুনাফিক বিশরকে এক কোপে দু’টুকরা করে দিলেন এবং বললেন, এটাই তোমার বিচার। কারণ, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বিচার করেছেন, সেটা তুমি মানো নাই। তোমার শাস্তি ও বিচার একমাত্র মৃত্যুদন্ড।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন (৪)
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা জায়েয নেই
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)