ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মুসলমানের বৈশিষ্ট্য (২)
, ১২ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করা হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন মাহফিল শেষ হয়ে যায়, মানুষ চলে যায়, ফেরেশতাগণও মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চলে যান, মহান আল্লাহ পাক তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে ফেরেশতাগণ! আপনারা কোথা থেকে আসলেন?
اَللهُ هُوَ اَعْلَمُ بِهِمْ
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবকিছু জানেন। তারপরও বলেন, কোথা থেকে আসলেন? ফেরেশতাগণ বলেন, মহান আল্লাহ পাক! আমরা অমুকখানে গিয়েছিলাম, সেখানে মাহফিল হয়েছিল। কি বলে তারা? আপনার সন্তুষ্টি চায়, জান্নাত চায়, জাহান্নাম থেকে পানাহ্ চায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তারা কি এইগুলি দেখেছে? ফেরেশতাগণ বলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! দেখে নাই। যদি দেখতো? আরো বেশী বেশী আরজু করতো, বেশী বেশী পানাহ্ চাইত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ফেরেশতারা!
فَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ قَالَ يَقُولُ مَلَكٌ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ فِيهِمْ فُلاَنٌ لَيْسَ مِنْهُمْ إِنَّمَا جَاءَ لِحَاجَةٍ قَالَ هُمُ الْجُلَسَاءُ لاَ يَشْقَى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ.
আপনারা সাক্ষী থাকুন, এই মাহফিলে যতগুলো লোক গিয়েছিল, তাদের সকলের জিন্দিগীর গুণাহ্খাতা আমি মাফ করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! তখন ফেরেশতাদের মধ্যে একজন বলেন, আয় মহান আল্লাহ পাক! এই মাহফিলে অনেক লোক গিয়েছিল, তার মধ্যে একটা লোক গিয়েছিল- গুণাহ্গার, একটা লোক গিয়েছিল, গুণাহ্গার, বদ্কার, তার উদ্দেশ্য ওয়াজ মাহফিল শুনা নয়। সে দেখলো, রাস্তার পাশে অনেক লোক জমা হয়ে আছে। সে মনে মনে চিন্তা করলো, এই লোকগুলি কি করে? এই লোকগুলি কি করে, সেটা দেখার জন্য সে এসেছিল। সে গুণাহ্গার, সে বদ্কার, সে ফাসেক, সে ফুজ্জার। মহান আল্লাহ পাক! তাকেও কি ক্ষমা করা হবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ফেরেশতাগণ! এই মাহফিলে যে নেক্কার লোকগুলো, যে আল্লাহওয়ালা লোকগুলো গিয়েছিল, তাদের বদৌলতে, তাদের উছিলায় ওই গুণাহ্গার লোকটাকেও আমি ক্ষমা করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!
এখন চিন্তা-ফিকির করেন। মুলতঃ ওয়াজ মাহফিল দর্স-তাদ্রীসের মাহফিল, তালীম- তালক্বীনের মাহফিল। কিছু জানা, শুনার মাহফিল, মাগফিরাত হাছিল করার মাহফিল, রহ্মত হাছিল করার মাহফিল, সাকীনা হাছিল করার মাহফিল। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি অর্জন করার মাহফিল। কাজেই মনযোগ দিয়ে শুনতে হবে, ধ্যান খেয়ালের সাথে শুনতে হবে এবং শুনে, মনে রেখে, বুঝে সেটা আমল করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা জানিয়ে দিয়েছেন-
فَاللهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি উত্তম হিফাজতকারী, দয়ালু, করুণাময়। ”
এই আয়াত শরীফের তাফসীরে হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়, এই আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি কত দয়ালু, কত রহ্মানুর রহীম।
إِنَّ اللهَ خَلَقَ الرَّحْمَةَ يَوْمَ خَلَقَهَا مِئَةَ رَحْمَةٍ فَأَمْسَكَ عِنْدَهُ تِسْعًا وَتِسْعِينَ رَحْمَةً وَأَرْسَلَ فِي خَلْقِهِ كُلِّهِمْ رَحْمَةً وَاحِدَةً
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি কত দয়ালু, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে মহব্বত বা রহ্মত সৃষ্টি করেছেন, সেই রহ্মতকে একশ’ ভাগ করেছেন। তারমধ্যে নিরানব্বই ভাগ রেখেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে। নিরানব্বই ভাগ রেখে দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক উনার নিজের কাছে। সুবহানাল্লাহ! আর একভাগ দিয়েছেন মখলুকাতের কাছে। কোন কোন মুহাদ্দিছীন-ই-কিরাম শরাহ্তে লিখেন- সেই একভাগকে আবার একশ’ ভাগ করা হয়েছে। তার নিরানব্বই ভাগ দেয়া হয়েছে, স্বয়ং হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে। আর একভাগ দেয়া হয়েছে, সমস্ত মখলুকাতকে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৬)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গান-বাজনা অকাট্য দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে হারাম
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪২)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে সমস্ত নামধারী আলিমরা শাসকদের দরবারে আসা-যাওয়া করে তারাই উলামায়ে সূ এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব (৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সীমালঙ্ঘনকারী কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারক
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যে সমস্ত নামধারী আলিমরা শাসকদের দরবারে আসা-যাওয়া করে তারাই উলামায়ে সূ এবং সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)