ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৮১)
, ২৬শে জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০১ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ২৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি তৎক্ষনাৎ হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে পাঠিয়ে দিলেন।
পাঠিয়ে দিয়ে বললেন, আমার নবী ও আমার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে গিয়ে বলুন, মাটিকে উনার অধীন করে দেয়া হলো। তিনি মাটিকে যে হুকুম করবেন মাটি সেটাই পালন করবে।
মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মাটিকে বললেন, ক্বারূন এবং তার সাথে যারা রয়েছে তাদের গ্রাস করো। তিনি এর পূর্বে বললেন, তার যে দল-বল ছিলো তাদেরকে, তোমরা যদি ক্বারূনের পক্ষে থাকো তাহলে তার সাথে থাকো। আর যদি তোমরা হক্বের পথে থাকো তাহলে তোমরা আমার দিকে চলে আসো। সকলেই চলে আসলো। দুইজন লোক ক্বারূনের সাথে থাকলো।
তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে মাটি! এদের গ্রাস করতে থাকো। সত্যিই মাটি তাকে আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকলো। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
فَخَسَفْنَا بِه وَبِدَارِهِ الْأَرْضَ
সেই ক্বারূন এবং তার সমস্ত সম্পদসহ যমীন গ্রাস করে ফেললো পর্যায়ক্রমে।
فَمَا كَانَ لَهُ مِنْ فِئَةٍ يَنْصُرُونَهُ مِنْ دُونِ اللهِ وَمَا كَانَ مِنَ الْمُنْتَصِرِينَ
এখানে তাকে সাহায্য করার জন্য তার কোন দল থাকলো না। মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে তাকে সাহায্য করবে এবং নিজের ব্যপারেও সে নিজেকে সাহায্য করতে পারলো না। তাকে মাটি পর্যায়ক্রমে গ্রাস করতে থাকলো।
ক্বারূনের যখন কিছু গ্রাস করা হলো, এত বড় যালিম, এত বড় কাফির সে ছিলো, উলামায়ে সূদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো, সে সেখানে বলতে শুরু করলো যে, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ক্বারূনের এত সম্পদ দেখে তিনি তার সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। নাউযুবিল্লাহ! যালিমতো যালিমই হয়ে থাকে, কাফিরতো কাফিরই হয়ে থাকে, উলামায়ে সূ এরকমই হয়ে থাকে।
তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন যে, তার সম্পদসহ তার যা কিছু আছে সবকিছুসহ সে মাটিতে ধ্বসে যাক। পর্যায়ক্রমে আস্তে আস্তে সে ধ্বসে গেলো।
ক্বারূন যদিও ক্ষমা চেয়েছিলো, কিন্তু তার শেষ সময় সেটা গ্রহণযোগ্য ছিলো না। আস্তে আস্তে ক্বারূন মাটিতে ধ্বসে গেলো। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন যে, উলামায়ে সূ এরা দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করে, যেমন ইবলীস করেছিলো। হযরত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের বিরোধিতা করে যেমন এই ক্বারূন করলো, বালয়াম বিন বাউরা করেছে। যারা ধ্বংস হয়ে গেছে। নাউযুবিল্লাহ!
فَخَسَفْنَا بِه وَبِدَارِهِ الْأَرْضَ
এই ক্বারূন তার সম্পদসহ তাকে ধ্বসিয়ে দেয়া হলো। কেন, সে তাওরাত শরীফ উনার হাফিয হওয়ার পরেও, মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার লাভ করতে গিয়েছিলো, সে ৭০ জন বানী ইসরায়ীল মনোনীত ব্যক্তিত্ব তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরেও এবং তার অনেক যোগ্যতা থাকার পরেও সে শেষ পর্যন্ত কি হলো?
উলামায়ে সূ হওয়ার কারণে, দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হওয়ার কারণে সে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে, মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার থেকে সে মাহরূম হয়ে গেলো। উনাদের নিয়ামত থেকে সে মাহরূম হয়ে গেলো।
উল্লেখ্য, উলামায়ে ‘সূ’রা ঠিক এভাবেই যুগে যুগে মানুষদেরকে সম্পদের মোহে ও স্বীয় সম্পদের দ্বারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে। এরা নিজেরাও ধ্বংস হয় এবং মানুষদেরকেও তারা ধ্বংস করে থাকে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
যে নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্তদের পর্দা করায় না সে দাইয়ুস
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকারী, কটাক্ষকারী, অবমাননাকারীদেরকে শরঈ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)