ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৭৪)
, ১৮ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন অনেকে মনে করে থাকে, এতো গুনাহখাতা করা হলো, তওবা করা হলো, এখন আবার গুনাহ হয়ে গেলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি কি ক্ষমা করবেন? এ কথাটি শুদ্ধ নয়। বান্দা যদি কোটি কোটিবারও তওবা করে মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক বার কবুল করবেন। সুবহানাল্লাহ!
এজন্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, বান্দা তওবা করতে করতে সে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে যায় মহান আল্লাহ পাক তিনি কিন্তু ক্ষমা করতে করতে ক্লান্ত শ্রান্ত হন না। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ বান্দা যতই তওবা করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে ততই ক্ষমা করতে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
আর যখন বান্দার গুনাহখতা থাকবে না সে তওবা করবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। সুবহানাল্লাহ! এজন্য বান্দা ও উম্মতের দায়িত্ব হচ্ছে, বেশি বেশি তওবা ইস্তিগফার করা।
কাজেই এই সমস্ত উলামায়ে সূ, এই সমস্ত মুনাফিক, বিভ্রান্ত শাসক এদের থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেনো আমাদেরকে হিফাযত করেন সেই দোয়া সেই আরজি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উলামায়ে সূদের হাক্বীক্বত সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, আদেশ নির্দেশ, হুকুম আহকাম দিয়েছেন। যে সমস্ত হুকুম আহকাম উম্মতের জন্য জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেটা আলোচনা করে আসতেছি।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّمَا يَخْشَى اللّٰهَ
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন
مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাদের মধ্যে যারা আলিম রয়েছেন উনারাই।
অর্থাৎ যাদের অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি রয়েছে উনারাই হচ্ছেন আলিম। যাদের অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার ভীতি থাকবে না এরা যদি আলিম নাম দিয়ে থাকে তাহলে তারাই হচ্ছে উলামায়ে সূ এর অন্তর্ভুক্ত।
এর ব্যাখ্যায় ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন-
اِنَّمَا الْفَقِيْهُ اَلزَّاهِدُ فِى الدُّنْيَا
নিশ্চয়ই যিনি ফক্বীহ হবেন আলিম হবেন তিনি দুনিয়া থেকে বিরাগ হবেন
اَلرَّاغِبُ فِى الْآخِرَةِ
পরকালের দিকে সবসময় তিনি রুজু থাকবেন
اَلْبَصِيْرُ بِذَنْبِه
গুনাহর প্রতি সবসময় সতর্ক থাকবেন
اَلْـمُدَاوِمُ عَلى عِبَادَةِ رَبِّه
সবসময় মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বন্দিগীতে তিনি মশগুল থাকবেন
اَلْوَرِعُ
সুন্নতের পাবন্দ হবেন
اَلْكَافُ عَنْ أَعْرَاضِ الْمُسْلِمِيْنَ
মুুসলমানদের মান-সম্ভ্রমের প্রতি তিনি সতর্ক থাকবেন অর্থাৎ মান সম্ভ্রম যেটা রয়েছে সেটা নষ্ট করবেন না।
اَلْعَفِيْفُ عَنْ أَمْوَالِـهِمْ
এবং মুসলমানের মাল যা রয়েছে সেটা তিনি পরহেয করবেন অর্থাৎ মাল-সম্পদের প্রতি লোভ করবেন না।
اَلنَّاصِحُ لِـجَمَاعَتِهِمْ
আর সবসময় তিনি মুসলমানদেরকে উনার অধিনস্তদেরকে নছীহতে মশগুল থাকবেন।
এটা যারা উলামায়ে হক্ব উনাদের ছিফত। এর বিপরীতটা হচ্ছে উলামায়ে সূদের বৈশিষ্ট্য। উলামায়ে-সূ সবসময় দুনিয়ার প্রতি আসক্ত থাকবে, পরকালের প্রতি তাদের কোন গুরুত্বই থাকবে না। এরা গুনাহকে কোন পরওয়াই করবে না। ইবাদত বন্দেগীর কোন জরুরত তারা মনে করবে না।
সুন্নতের পাবন্দি সম্পর্কে এরা সবসময় বলে যে, এতো সুন্নতের প্রয়োজন নেই। নাউযুবিল্লাহ! আর মুসলমানদের মান-সম্ভ্রম নষ্ট করার ব্যাপারে কোন পরওয়া করবে না। মুসলমানের মাল-সম্পদ যা রয়েছে সেটাও তারা অবৈধভাবে আত্মসাত করার ফিকিরেই থাকবে। অর্থাৎ এ বিষয় তাদের কোন পরওয়া থাকবে না।
আর নছীহতের যে বিষয়টা রয়েছে, সে নছীহত তো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি রুজু হওয়ার জন্য তা তারা করবে না। বরং তারা মানুষকে গনরুল্লাহ'র দিকে রুজু করে দিবে। হারামের দিকে তারা রুজু করে দিবে। এটা হচ্ছে উলামায়ে সূদের খুছূছিয়ত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৬)
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)