ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৭২)
, ১৬ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلتَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَّا ذَنْبَ لَهٗ
তওবাকারী এমন- যে তওবা করলো, সে যেনো জীবনে কখনও কোন গুনাহখতাই করেনি। সুবহানাল্লাহ!
এর ব্যাখ্যায় বলা হয় কোন বান্দা-বান্দি যদি, কোন উম্মত যদি যমীন থেকে আসমান পরিমান গুনাহ করে, সমূদ্রের ফেনা পরিমান গুনাহ করে, মরুভূমির বালু কনা পরিমাণ গুনাহ করে, সে যদি আরো বেশী গুনাহ করে, যতো বেশি গুনাহ করুক না কেন, একবার যদি সে তওবা করে, মাত্র একবার খালিছ তওবা করে, মহান আল্লাহ পাক তিনি চোখের পলকে তার যিন্দিগীর সমস্ত গুনাহখতাগুলো মাফ করে তাকে সেই মুহূর্তের জন্য মা’ছুম নিষ্পাপ করে দিবেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই চিন্তার কোন কারণ নেই, ভুল হতে পারে। মানুষের নফসের ওয়াসওয়াসা রয়েছে, শয়তানের ধোঁকা রয়েছে এবং দুনিয়ার চক্রান্তের ধোঁকা রয়েছে এবং উলামায়ে সূ’দেরও গোমরাহী ফতওয়া রয়েছে, রাজা-বাদশাহদের বিভ্রান্তিমূলক আদেশ নির্দেশ রয়েছে, তাতে কি হয়েছে? মানুষ ভুল করতে পারে, তওবা করুক।
রাজা-বাদশাহ, আমীর উমরাহ তাদেরও তওবা করতে হবে। উলামায়ে সূ’দেরও তওবা করতে হবে। এরাতো মুসলমান দাবি করে থাকে। এখন এরা মরলে তো জাহান্ন্ামে যাবে। সেখানে তারাও কান্না-কাটি করবে, তখন কোন কাজ হবে না।
কাজেই তাদেরও তওবা করা উচিত, ইস্তিগফার করা উচিত। এরা যদি তওবা করে ইস্তিগফার করে তাহলে এদের জন্য কামিয়াবী রয়েছে। অন্যথায় এদের জন্য ধ্বংস রয়েছে।
এদেরও বুঝা উচিত, এদের ইবরত নছীহত গ্রহণ করা উচিত। এখন সে উলামায়ে সূ’ হোক, আমীর-উমরাহ হোক, রাজ-বাদশা হোক, প্রিসিডেন্ট, মিনিস্টার হোক অথবা সে যদি অন্য কিছু হয়, সারা পৃথিবীর মালিকও সে যদি হয়ে থাকে, তাকেও তওবা করতে হবে। অন্যথায় তার জন্য ধ্বংস রয়েছে। তাকেও আফসুস করতে হবে মৃত্যুর পরে।
এখনও সময় রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিতো সেটাই বলেন, তোমরা এখনই তওবা করে নাও।
عَجِّلُوْا بِالتَوْبَةِ قَبْلَ الْـمَوْتِ
মৃত্যু আসার পূর্বে তাড়াতাড়ি তওবা করে নাও।
عَجِّلُوْا بِالتَوْبَةِ قَبْلَ نُزُوْلِ مَلَكِ الْـمَوْتِ
মালাকুল মাউত হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি নাযিল হওয়ার পূর্বে তওবা করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করো। এখনও সময় রয়েছে। মৃত্যু যখন এসে যাবে তখন কিন্তু তওবা করার কোন সূযোগ থাকবে না। আগেই তওবা করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)