ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৭০)
, ১৪ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা আগেই বলে দিলেন যে দেখ, এ সমস্ত লোকগুলো মূর্খ হবে, কিতাব তারা বুঝবে না, মিথ্যা আশা-আকাঙ্খা থাকবে, কল্পনা-জল্পনা থাকবে আর এরা অপব্যাখ্যা করবে আর এরা বলবে কি, এটা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এসেছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে এসেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে, কিছু টাকা-পয়সা হাছিল করা। নাঊযুবিল্লাহ!
যেমন বলা হয়ে থাকে, এরা বলে থাকে, এদের মুফতীয়ে আ’যম মুফতী শফী সাহেব পাকিস্তানের। এরা মুফতীয়ে আ’যম বলে থাকে, বেশ ভালো, মুফতীয়ে আ’যম। সেই মুফতিয়ে আ’যম শফী সাহেব মাআরিফুল কুরআন একটা তাফসীর লিখেছে, খুব ভালো কথা। কিন্তু এই তাফসীরটা কোথায় কিভাবে করা হয়েছে সেটা কিন্তু মানুষ ইতিহাসটা দেখে না।
এই মুফতী সাহেব পাকিস্তান রেডিওতে ১৪ বছর তাফসীর করেছিলো সেই রেডিওর তাফসীরটা একত্রিত করে মাআরিফুল কুরআন নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে। এখন মুফতী সাহেবের কাছে প্রশ্ন, শফী সাহেবতো মারা গেছে অনেক দিন আগে। মুফতী সাহেব ১৯৭৬ সালে মারা গেছে। এখন সেই মুফতীয়ে আ’যম মুফতী শফী সাহেবের কাছে প্রশ্ন করা উচিত ছিলো, তুমি যে রেডিওতে তাফসীর করলে, সেখানে কি পবিত্র কুরআন শরীফ তাফসীর করা জায়িয রয়েছে?
তুমি সকালে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করে তাফসীর করে ছেড়ে দিলে, সারাদিন গান-বাজনা হলো, নাটক, নোবেল সবকিছু হলো, তাহলে সেটা কি জায়িয হয়েছিলো?
এই ফতওয়া আগে মুফতী সাহেবকে দিতে হবে। যদি সেটা হারাম হয়ে থাকে তাহলে সেখানে তফসীর করাটা হারাম হয়েছে। আর ঐ তাফসীরের মধ্যে সে লিখেছে, মুফতী শফী সাহেব বলেছে, ভোট দেয়া ওয়াজিব। নাঊযুবিল্লাহ!
কাজেই রেডিও অফিসে, টেলিভিশন অফিসে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। সাধারণ ফতওয়া রয়েছে, কোন বাথরুমে, গোসলখানায় কেউ পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করলে সেটা মাকরূহে তাহরীমী। অথচ গোসলখানায় মানুষ পবিত্র হয়ে থাকে।
আর রেডিও অফিসে, টেলিভিশন অফিসে কেউ পবিত্র হয় না, পুরুষ-মহিলা একাকার হয়ে বেপর্দা-বেহায়া, গান-বাজনা যত যমীনের হারাম কাজ সেই রেডিও অফিস ও টেলিভিশন অফিসে হয়ে থাকে। সব লা’নত সেখানে বর্ষিত হতে থাকে। সেখানে তাফসীর করা জায়িয কোথায় পেলো। আর সেই তাফসীরে কি করে ফতওয়া দিলো, ভোট গণতন্ত্র নির্বাচন ওয়াজিব। নাঊযুবিল্লাহ!
কাজেই, সেখানে অনেক অসংখ্য ভুল রয়েছে। আমাদের মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফে সে ফতওয়া যাচ্ছে, দৈনিক আল ইহসান শরীফেও যাচ্ছে।
কাজেই এই বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। আপনারা কোন সময়ই এই সমস্ত লোকদের ছোহবতে যাবেন না, দূরে থাকবেন। পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيْلٌ لِّأُمَّتِى مِنْ عُلَمَاءِ السُّوْءِ يَتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِجَارَةً يَبِيْعُوْنَهَا مِنْ أُمَرَاءِ زَمَانِهِمْ رَبْحًا لِّأَنْفُسِهِمْ لَا أَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَهُمْ
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন-
وَيْلٌ لِّأُمَّتِى مِنْ عُلَمَاءِ السُّوْءِ
আমার উম্মতের মধ্যে যারা উলামায়ে সূ তাদের জন্য আফসুস! তাদের জন্য ওয়ায়িল, জাহান্নাম। যারা উলামায়ে ‘সূ’, যারা দ্বীন বিত্রিু করে দুনিয়া হাছিল করে, তাদের জন্য আফসূস, তাদের জন্য জাহান্নাম।
يَتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِجَارَةً يَبِيْعُوْنَهَا مِنْ أُمَرَاءِ زَمَانِهِمْ
এরা ইলিমকে গ্রহণ করে থাকে, কেন? ব্যবসার জন্য। এরা ইলিম চর্চা করেছে, শিক্ষা করেছে ব্যবসার জন্য, মালানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, ছূফী সাহেব, দরবেশ সাহেব, পীর সাহেব হয়েছে, কেন? ব্যবসা করার জন্য।
يَتَّخِذُوْنَ هٰذَا الْعِلْمَ تِجَارَةً يَبِيْعُوْنَهَا مِنْ أُمَرَاءِ زَمَانِهِمْ
এদের যামানার যারা আমীর-উমরা তাদের দরবারে দরবারে গিয়ে ইলিমের দোহাই দেয় ও বলে, আমি বড় মালানা, মুফতী, মুহাদ্দিছ, শায়খুল হাদীছ, মুফাসসিরে কুরআন, ছূফী, দরবেশ, বুযূর্গ, অমুক শায়েখ, ইত্যাদি নাম দিয়ে ইলিম বিক্রি করে সে দুনিয়া হাছিল করবে, ব্যবসা করবে।
رَبْحًا لِّأَنْفُسِهِمْ
তাদের নিজেদের ফায়দার জন্য। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَا أَرْبَحَ اللهُ تِجَارَتَهُمْ
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন কখনও এদের ব্যবসায় বরকত না দান করেন, ফায়দা না দেন। মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এদের বিরুদ্ধে বলেছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)