ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৬৪)
, ০৮ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এখন যদি জাওয়াবদিহি করে তারা তওবা ইস্তিগফার করে তাহলে নাজাত পেয়ে যাবে অন্যথায় কঠিন আযাব গযবে গ্রেফতার হয়ে যাবে। এর থেকে কিন্তু কেউ রেহাই পাবে না, কখনই সে এর থেকে বাঁচতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনিতো সেটা বলে দিয়েছেন, এই সমস্ত লোকগুলোর জন্য জাহান্নাম অবধারিত।
এই সমস্ত লোক জাহান্নামে তো যাবেই (যারা হারাম কাজে উদ্ভুদ্ধ করে থাকে তারা জাহান্নামী) তাদের হারাম কাজে উদ্ভুদ্ধ করার কারণে উলামায়ে ‘সূ’দের সাথে বা উলামায়ে সূদের মাধ্যমে যারা বিভ্রান্ত হলো, তাদের কারণে যারা হারাম কাজ করবে সকলেই জাহান্নামে যাবে। এখন জাহান্নামে যাওয়ার পরে সে চূ চেরা, ক্বীল-ক্বাল করলেতো কাজ হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা আগেই বলে দিয়েছেন, যে দেখো-
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِى النَّارِ يَقُولُوْنَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللّـهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا
যখন এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’, তাদের অনুসারীরা সকলেই জাহান্নামে যাবে তখন তারা জাহান্নামে গিয়ে বলবে, হায় আফসুস! আমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করতাম তাহলেতো আজকে জাহান্নামে যেতো হতো না। তারা আফসুস করবে।
কিন্তু সেই আফসুস কোন কাজে আসবে না। তারা জাহান্নামী হয়েই যাবে, তাদেরকে জাহান্নামেই যেতে হবে, আযাব গযবে তারা গ্রেফতার হয়েই যাবে। তারা কোনভাবেই রেহাই পাবে না।
এইজন্য পরবর্তী পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারা জাহান্নামেতো যাবেই। এরা হারাম কাজ করার কারণে জাহান্নামী হয়ে যাবে।
কিন্তু সেখানে যেয়ে তাদের যে একটা আক্রোশ তাদের যে একটা গোসসা সেটার জন্য তারা কি করবে-
وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا
তখন তারা বলতে থাকবে, হে বারে ইলাহী! কেন আমাদেরকে জাহান্নামে দেয়া হলো? অর্থাৎ সেই সমস্ত লোকগুলো বলবে, তাদেরকে কেন জাহান্নামে দেয়া হলো।
তারাতো সেই যামানার অর্থাৎ তারা যে যামানায় ছিলো সে যামানার যারা আলিম উলামা ছিলো, উলামায়ে সূ, তাদেরকে তারা অনুসরণ করেছে, রাজা-বাদশা, আমীর-ওমরা যারা ছিলো, তাদের আদেশ নির্দেশ তারা পালন করেছিলো তাহলে কেন তারা জাহান্নামে গেলো?
فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا
তারাতো তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে, তারা গোমরাহ করেছে।
إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا
সেই সমস্ত লোকগুলো বলবে যে, তারা ঐ যামানার আলিম উলামাদের অনুসরণ করেছে, শাসকদের অনুসরণ করেছে।
তাদের মধ্যে যারা মুরুব্বী ছিলো, তাদের মধ্যে যারা আলিম উলামা নামধারী ছিলো, উলামায়ে সূ, তাদেরকে তারা অনুসরণ করেছে। রাজা-বাদশা, আমীর-উমরা যারা প্রেসিডেন্ট মিনিস্টার তাদেরকে তারা অনুসরণ করেছিলো, তারা তাদেরকে গোমরাহ করেছে।
কিন্তু এই কথা বলার পরও তাদের উদ্ধার হবে না, তারাও জাহান্নামে যাবে, সেই সমস্ত লোকগুলিও জাহান্নামে যাবে।
তখন তারা গোসসা করে বলবে-
رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا
মহান আল্লাহ পাক! এই সমস্ত উলামায়ে সূ’দের, এই সমস্ত শাসকদেরকে দ্বিগুণ আযাব দেয়া হোক, বড় লা’নত তাদের উপর বর্ষণ করা হোক।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সেটা করবেন এরপরও এই সমস্ত লোক যারা উলামায়ে সূদেরকে অনুসরণ করলো, যারা রাজা বাদশা আমীর উমরাদের অনুসরণ করলো, আদেশ নির্দেশ পালন করলো সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ, এরা কিন্তু উদ্ধার পাবে না। তারাসহ ঐ আলিম উলামা, ছুফী দরবেশ, উলামায়ে সূ, রাজা বাদশা, আমীর উমরা, মন্ত্রী মিনিস্টার প্রেসিডেন্ট তারা সকলেই জাহান্নামী হবে। নাউযূবিল্লাহ!
এদের উদ্ধারের কোন পথ থাকবে না, এখনো সময় রয়েছে চিন্তা ফিকির করার। কাজেই মুসলমানদেরকে মুসলমান হিসেবে তাদের মুসলমানিত্ব বজায় রেখে জীবন যাপন করা দায়িত্ব কর্তব্য।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৩)
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গ্রীনিচকে ০ (শূন্য) ডিগ্রি দ্রাঘিমায় ধরে মূল মধ্যরেখা স্থির করার কোন ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই: পবিত্র কা’বা শরীফ উনার অবস্থান ০ (শূন্য) ডিগ্রি ০ (শূন্য) মিনিট ০ (শূন্য) সেকেন্ড ডিগ্রি দ্রাঘিমা ধরে ১৫ ডিগ্রি অন্তর অন্তর সময় অঞ্চলে ভাগ করাই সর্বোত্তম (১)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৯)
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা (৩)
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)