ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৫৪)
, ২৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বললেন, ইয়া বারে ইলাহী! এটা কেমন হলো, সে এতো বড় আলেম ছিলো, যে অনেক মানুষ হিদায়েত করতো, ওয়েজ-নছীহত করতো, তা’লীম তালক্বীন করতো, দর্স-তাদরীস করতো, সে সাপ হয়ে গেলো।
মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হলো, হে আমার নবী এবং আমার রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! লোকটা ছুরতান বড় আলেম ছিলো এটা সত্যি। তবে সে সাপ হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে। তাহলো এই লোকটা ৭০ হাজার বণী ইসরাইলকে গোমরাহ করেছে। নাউযূবিল্লাহ! এই ৭০ হাজার লোককে গোমরাহ করার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত তার উপর বর্ষিত হয়ে যায়। সেই লা’নত বর্ষিত হওয়ার কারণে সেই আলেম মানুষ থেকে সাপ হয়ে যায়। নাউযূবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, বারে ইলাহী! এই লোকটাকে ক্ষমা করে তাকে আবার মানুষ করে দিলে হয়ত সে হিদায়েতের কাজ করতে পারতো।
মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হলো, হে আমার নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! এই লোকের তওবা আর কবুল হবে না।
তখন হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, বারে ইলাহী! একজন মানুষের মৃত্যুর গড়গড়া উঠার পূর্ব পর্যন্ত তার তওবার দরজা খোলা থাকে। অথবা সমষ্টিগতভাবে পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তওবার দরজা খোলা থাকবে। আয় মহান আল্লাহ পাক! তাহলে তার তওবা কবুল না হওয়ার কি কারণ।
মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে জানানো হলো, এই লোকটা ৭০ হাজার বণী ইসরাইলকে গোমরাহ করেছে। এদের সবাইকে সে যদি তওবা করাতে পারে তাহলে তার তওবা নছীব হবে। কিন্তু সেটা তার পক্ষে সম্ভব নয়। অনেকে মারা গেছে, অনেকে দূর দেশে চলে গেছে। কাজেই সকলকে তার পক্ষে তওবা করানো সম্ভব নয়। অতএব, তার তওবা নছীব হবে না, সে মালউন হয়ে গেছে।
যখন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বিষয়টা জানানো হলো, তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি লোকজনকে বললেন, একে তাড়াতাড়ি নিয়ে যাও। সে মালউন লা’নতগ্রস্ত। তার কাছে যারা থাকবে তারাও মালঊন হয়ে যাবে। তাকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে নাও।
লোকটাকে সরিয়ে নেয়া হলো। বলা হয়েছে, তার কয়েকদিন পরে সেই আলেম লা’নতগ্রস্ত হয়ে সাপের আকৃতিতে মারা গেলো। নাউযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সুদের ভয়াবহতা
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম এবং উনার নূর মুবারকই সর্বপ্রথম সৃষ্টি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফের মতই পবিত্র হাদীছ শরীফ সমগুরুত্ব সম্পন্ন (২)
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৪)
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গোল্ডেন রাইস (১)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১০)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)