ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৫৩)
, ২৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৩ সাদিস , ১৩৯২ শামসী সন , ৩১ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৫ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এর তাফসীরে একটা ওয়াক্বিয়া উল্লেখ করা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যামানাতে একবার কিছু লোক উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার জন্য উনার দরবার শরীফ আসলো। সাথে তারা নিয়ে আসলো একটা বড় সাপ।
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি ব্যাপার, তোমরা কেন এসেছো?
সে লোকগুলো বললো, হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আমরা এসেছি আপনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করার জন্য, ইবরত, নছীহত হাছিলের জন্য।
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, বেশ! তোমরা এসেছো ভালো কথা; তোমাদের সাথে এই সাপটা কেন এনেছো?
তখন লোকজন তারা বললো, হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আসলে এটা কোন সাপ নয়।
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, তাকে তো সাপই দেখা যাচ্ছে।
লোকজন বললো, আসলে সে বণী ইসরাঈলের একজন আলেম ছিলো, হঠাৎ করে সে একদিন সাপ হয়ে গেছে। যখন সে সাপ হয়ে গেলো তখন তার অনেক চিকিৎসা করানো হলো। কিন্তু কোন চিকিৎসাতেই সে সুস্থতা লাভ করতে পারলো না। যখন সমস্ত চিকিৎসা শেষ হয়ে গেলো তখন লোকজন বললো যে, দুনিয়াবী কোন চিকিৎসায় সে সুস্থতা লাভ করতে পারবে না। যেহেতু এ যামানা হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার জলীলুল কদর রসূল, উনার প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওরাত শরীফ নাযিল করেছেন, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার যামানা। কাজেই উনার কাছে তোমরা নিয়ে যাও। তিনি যদি ইচ্ছা করেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দোয়া করেন তাহলে হয়ত লোকটা সুস্থ হতে পারে। পূর্বের আকৃতিতে আসতে পারে।
যারা এই সাপকে নিয়ে এসেছিলো তারা যখন বললো, হে মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল আলাইহিস সালাম! আপনি দোয়া করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি এই আলেম ছাহেবকে যে সাপ হয়ে গেছে, তাকে আবার মানুষের আকৃতিতে ফিরিয়ে দিতে পারেন। লোকজন বললো, সে বড় আলেম ছিলো। অনেক ওয়াজ নছীহত করতো, মানুষকে সে হিদায়েতের কথা বলতো। এখন সে সাপ হওয়ার কারণে হিদায়েতের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক ছানা-ছিফত করলো লোকগুলো।
মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সেটা শুনে বললেন, তাহলেতো অবশ্যই এটা চিন্তা ফিকিরের বিষয়। এতো বড় আলেম, সে হাজার হাজার লোককে হিদায়েত করতো। এখন সে সাপ হয়ে গেলো তাহলে তার বিষয়টা ফিকিরের বিষয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)