ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৫২)
, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
যারা উলামায়ে সূ’ তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করা প্রসঙ্গে হযরত ইমাম গাযযালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি যিনি হুজ্জাতুল ইসলাম তিনি বলেন-
ایک زمانہ بدنام علماء سو بہتراز شست سال طاعت بریا
কিছুক্ষন সময় উলামায়ে সূ’দের দোষত্রুটি বর্ণনা করা হচ্ছে ষাট বৎসর মকবুল নফল ইবাদতের চাইতেও উত্তম। সুবহানাল্লাহ!
কারণ একজন উলামায়ে সূ’ সে অনেক লোককে বিভ্রান্ত করে থাকে, গোমরাহ করে থাকে। ষাট বৎসর নফল মক্ববুল ইবাদত থেকে উত্তম এজন্য বলা হয়ে থাকে।
সাধারণভাবে একজন মানুষের হায়াত যদি ষাট বৎসর ধরা হয় তাহলে তার যিন্দিগী সে বরবাদ করে দিচ্ছে। সেই উলামায়ে সূ’র হাক্বীক্বত প্রকাশ করে দিলে কি হবে?
মানুষ তার জীবনটাকে, তার ঈমানটাকে হিফাযত করতে পারবে।
কাজেই, উলামায়ে সূদের হাক্বীক্বত, তাদের দোষত্রুটি জানাটা প্রত্যেক মু’মিন মুসলমানদের জন্য ফরয ওয়াজিব।
আমরা গত সপ্তাহগুলিতে বলেছিলাম, প্রথম উলামায়ে সূ’ হচ্ছে ইবলীস। যার সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হচ্ছে যাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, সে হচ্ছে বালয়াম বিন বাউরা। ইবলীস ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদত-বন্দেগী করার পরেও মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ অমান্য করে সে মালউন হয়ে গেলো। ঠিক বালয়াম বিন বাউরা তিনশত বৎসর সাধনা করে কিছু হাছিল করার পরেও সে বিভ্রান্ত ও গোমরাহ হয়ে গেলো। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করে সে ধ্বংস হয়ে গেলো।
এরপর বলা হয় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি বণী ইসরাঈল তাদেরকে এ বিষয় সতর্ক করেছিলেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ عَن قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَصْنَعُونَ
কেনো নিষেধ করলো না বনী ঈসরাইলের দরবেশ ও আলিমরা তাদেরকে পাপের কথা বলতে এবং হারাম খাদ্য খেতে। তারা অত্যান্ত মন্দ বা নিকৃষ্ট কাজ করেছে।
মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা যারা এসেছেন উনাদের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো, তারা যেনো মানুষকে
عَن قَوْلِهِمُ الْإِثْمَ
মিথ্যা বলা থেকে বিরত রাখে।
وَأَكْلِهِمُ السُّحْتَ
হারাম খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এটা তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।
الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ
আহবার বলতে বুঝানো হয়েছিলো আলিম যারা ছিলো উনাদেরকে, আর রব্বানিয়্যূন বলতে বুঝানো হয়েছিলো আল্লাহওয়ালা দরবেশ, সূফী যারা ছিলেন উনারাদেরকে । কিন্তু এ বিষয়টা তাদের অনেকের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)