ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৩৮)
, ১২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এদের পিছনে শয়তান লেগে গেছে, যার কারণে এরা বিভ্রান্ত গোমরাহ হয়ে গেছে। এবং এদেরকে যে নিয়ামত অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা দেয়া হয়েছিলো এবং সে আলোকে অন্যান্য যা কিছু তা’লীম দেয়া হয়েছিলো তা দিয়ে তারা অনেক বড় মর্যাদা লাভ করতে পারতো কিন্তু তারা এটা ছেড়ে দুনিয়ার দিকে রুজু হয়ে গেলো, গইরুল্লাহ’র মুহতাজ হয়ে গেলো, নফসের পায়রবী তারা করলো, যার কারণে তাদের মেছাল হয়ে গেলো কুকুরের মতো।
এটাই হচ্ছে উলামায়ে সূদের একটা বিশেষ নিদর্শন। এরা এদের ইলমের ফখর করবে। ইবলিস যেমন ফখর করেছিলো
ابى وَاسْتَكْبَرَ
সে অহংকার করলো অস্বীকার করলো। এরাও অহংকার করে থাকে অস্বীকার করে থাকে ইলিমকে নিদর্শনকে নিয়ামতকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে এখানে বলে দিলেন, ইবলীস যেমন ছিলো বালয়াম বিন বাউরাও তেমন।
آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا
তাদেরকে যে আমি নিদর্শন মুবারক দিয়েছিলাম, বিশেষ করে তাকে যে নিদর্শন দেয়া হয়েছিলো অর্থাৎ এতে বুঝা যাচ্ছে যে, তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক নিয়ামত দিয়েছিলেন কিন্তু নিয়ামতটা তারা রক্ষা করতে পারেনি।
ঠিক উলামায়ে সূ’রা পবিত্র কুরআন শরীফ পড়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ পড়ে ইজমা ক্বিয়াস তারা শিক্ষা করে কিন্তু এর যে হাক্বীক্বত এটা তারা ধারণ করতে পারে না অর্থাৎ ধরে রাখতে পারে না যার জন্য এরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়, ইবলিস তাদের পিছনে লেগে যায়।
যেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ الرَّحْمَـٰنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ وَانَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ انَّهُم مُّهْتَدُونَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَن يَعْشُ عَن ذِكْرِ الرَّحْمَـٰنِ
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে, স্মরণ থেকে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিকির থেকে গাফিল হয়ে যাবে
نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ
তার জন্য শয়তান নির্দিষ্ট হয়ে যায়। তার বন্ধু হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেটা এখানে বলেছেন-
فاتبعه الشيطان
শয়তান তার পিছনে লেগে যায় অর্থাৎ শয়তান তার জন্য মুকাররার নিদিষ্ট হয়ে যায় এবং শয়তান তাকে ওয়াসওয়াসা দিয়ে গোমরাহ করে আর সেই ব্যক্তি মনে করে সে হিদায়েত প্রাপ্ত। নাউযূবিল্লাহ!
যেমন বালয়াম বিন বাউরা তাকে বলা হলো অসুবিধার কি রয়েছে, তুমি এদেশটাকে দখল করে এদেশে মহান আল্লাহ পাক উনার আইন-কানুন জারি করবে। নাউযূবিল্লাহ!
হযরত নবী রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করে সে মহান আল্লাহ পাক উনার আইন জারি করতে চায়। নাউযূবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)