ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৩৪)
, ০৭ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ১২ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ইতিহাসে দু’টা বর্ণনা রয়েছে। একটা বর্ণনায় রয়েছে, যখন সে এলাকায় মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিমাস সালাম উনারা পৌঁছলেন তখন এলাকার বাদশা তার নাম নিয়ে ইখতিলাফ রয়েছে কেউ বলেছে বালাকা, কেউ বলেছে বালাক। দেশের নামটাও ইখতিলাফ রয়েছে কেউ বলে বেলকা, কেউ বলে বালেকা।
সেই এলাকার বাদশা এবং তার অধিবাসী তারা যখন দেখলো, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী এবং রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম এবং হযরত ইউশা বিন নূন আলাইহিস সালাম উনারা পৌঁছেছেন তাদের এলাকায়, তাদের এলাকায় কর্তৃত্ব স্থাপন করবেন।
তারা তো জালিম ছিলো, তখন তারা কি করলো, এই বালয়াম বিন বাউরা দরবেশকে ধরলো যে, তুমি হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমাস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করো। নাউযুবিল্লাহ!
সে কোন মতে রাজি হচ্ছিলো না।
তখন তাকে বলা হলো যে, অবশ্যই করতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সম্পর্কে বলেন-
أَخْلَدَ إِلَى الْأَرْضِ
‘সে দুনিয়ার প্রতি আসক্ত ছিলো। ’
তাকে যখন বদদোয়ার কথা বলা হলো, সে কি করলো, সে ইস্তেখারা করলো। করে সে দেখতে পেলো, এটা করলে তার ক্ষতি হবে। তখন সে বললো যে, তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়।
সে তার আহলিয়া বা স্ত্রীর অনুগত ছিলো। অর্থাৎ সে গাইরুল্লাহর মুহব্বতে গরক্ব ছিলো। তখন তার আহলিয়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের থেকে কিছু টাকা-পয়সা খেয়ে তাকে জবরদস্তী করতে লাগলো, মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিমাস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করার জন্য।
সে শেষ পর্যন্ত যখন বদদোয়া করতে গেলো তখন দেখা গেলো, একটা বর্ণনায় সে তার এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে আপছেআপ বদদোয়া করতে থাকলো।
সে এলাকার যারা রাজা-বাদশা, শাসক যারা ছিলো তারা বললো, হে দরবেশ! তুমি দেখা যাচ্ছে সেই নবী-রসূল আলাইহিমাস সালাম উনাদের বিরুদ্ধে বদদোয়া না করে এই শহর এই এলাকার শাসকের বিরুদ্ধে বদদোয়া করছো।
তখন সে বললো, এটা অজান্তেই যবান দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। সে কারণে তারা গযবপ্রাপ্ত হলো, লানতপ্রাপ্ত হলো।
দেখা গেলো, সেই বালয়াম বিন বাউরা তার জিহ্বা লম্বা হয়ে আকৃতি-বিকৃতি হয়ে গেলো।
সে বুঝতে পারলো তার হালাকী, তার ধ্বংস। তখন সে ওয়াসওয়াসা দিলো যে, তোমরা এক কাজ করতে পারো। এই বনী ইসরায়ীল যারা রয়েছে তাদের বিভ্রান্ত করার জন্য যারা বিরুদ্ধবাদী ও কাফের-মুশরেক তারা সবসময় প্রয়োগ করে থাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে; তা হলো শরাব এবং মহিলা।
সে বললো, তোমরা সেগুলো প্রয়োগ করো। অর্থাৎ কিছু খারাপ মহিলা শরাবসহ ছেড়ে দাও। হয়তো সৈন্য সামন্ত যারা রয়েছে তারা সেইদিকে ঝুঁকে যাবে। তোমাদের পক্ষে জয়লাভ করা সম্ভব হবে।
কিন্তু এরপরে দেখা গেলো যদিও কিছু সৈন্য ঝুঁকে গেলো। সেখানে মহামারী দেখা দিলো। ৭০ হাজার লোক মারা গেলো।
হযরত নবী এবং রসূল আলাইহিমাস সালাম উনারা কি করলেন, যারা জড়িত ছিলো তাদেরকে ফাঁসির মাধ্যমে মৃত্যুদ- দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখলেন।
সবাই ইস্তিগফার তাওবা করলো। শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার নবী ও রসূল আলাইহিমাস সালাম উনার কামিয়াবী হাছিল করলেন।
সেই মরদূদ দরবেশ বালয়াম বিন বাউরা তার শেষ পরিণতি হলো, সে মরদূদ হয়ে জাহান্নামী হয়ে গেলো। নাউযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)