ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৩০)
, ০৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
সে জন্যই হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
ایک زمانہ بدنام علماء سوء -بھتر از شصت سال طاعت بےریاء
কিছুক্ষণ সময় যারা দুনিয়াদার আলিম বা উলামায়ে ‘সূ’ এদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা হচ্ছে, ষাট বৎসর নফল মকবুল ইবাদত থেকেও উত্তম। সুবহানাল্লাহ!
এখন সেই উলামায়ে ‘সূ’ এদের কারণে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। প্রথম উলামায়ে ‘সূ’ হলো ইবলীস।
যে ইবলীসকে লালন-পালন করলেন, বড় করলেন, শিক্ষা দিলেন, তা’লীম দিলেন, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুয়াল্লিম হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দায়িত্ব দিলেন। এরপরও দুনিয়ার মোহে মোহগ্রস্ত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বিরোধিতা করলো। নাউযুবিল্লাহ!
আদেশ নিষেধের সে বিরোধিতা করলো এবং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সে তর্ক-বিতর্ক করলো। নাউযুবিল্লাহ! সে চরম বেয়াদব এবং গোমরাহ। তার অন্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়-ভীতি, উনার প্রতি আদব-তমীয ইত্যাদির চিহ্ন মাত্র দেখা যায়নি।
সেই ইবলীসই হচ্ছে প্রথম উলামায়ে ‘সূ’। যার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই তাকে বলেছিলেন-
قَالَ فَاهْبِطْ مِنْهَا فَمَا يَكُونُ لَكَ أَنْ تَتَكَبَّرَ فِيهَا فَاخْرُجْ إِنَّكَ مِنَ الصَّاغِرِينَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইবলীস তুই এখান থেকে নিচে নেমে যা।
মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে দাঁড়িয়ে ফখর বা অহঙ্কার করার কোন অধিকার তোর নেই। কাজেই তুই এখান থেকে বের হয়ে যা। অবশ্যই তুই লাঞ্ছিত, অপমানিত, অবহেলিত এবং জাহান্নামী।
وَاِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِى اِلٰى يَوْمِ الدِّيْنِ
নিশ্চয়ই অনন্তকাল ধরে তোর উপর লা’নত বর্ষিত হবে এবং তাই হচ্ছে।
এখন পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফে অনেক উলামায়ে ‘সূ’দের আলোচনা রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম হচ্ছে ইবলীস।
দ্বিতীয় যার কথা মশহূর রয়েছে সে হচ্ছে বণী ইসরাঈলের এক দরবেশ যার নাম বালয়াম বিন বাউরা। সে তিনশত বৎসর সাধনা করে কিছু হাছিল করেছিলো।
তার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, তার দরবারে সবসময় দশ থেকে বারো হাজার আলিম তা’লীম নিতো। উপরের দিকে তাকালে সে ছিদরাতুল মুনতাহা দেখতে পেত। নিচের দিকে তাকালে সে তাহ্তাছছারা দেখতে পেত।
কিন্তু তারপরও সে বিভ্রান্ত হয়ে যায়, গোমরাহ হয়ে যায়। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আপনি সেটা জানিয়ে দিন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)