ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (২৬)
, ৩০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৬ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাজেই খুব সাবধান থাকতে হবে। এরা পবিত্র ইসলাম উনার বিরুদ্ধে যদি বলে, মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে যদি বলে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে যদি বলে, সেটা মুসলমান বরদাশত করবে না, সেটা আমি আগেও বলেছিলাম।
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব হয়েছে, সেটার যদিও অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে মূল কারণ যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে, টোটা বা কার্তূজ, বন্দুক দিয়ে গুলি করার সময় যে গুলিটা ব্যবহার করে, সেটা আগেকার যুগে মুখ দিয়ে কামড় দিয়ে খুলতে হতো। সেখানে প্রচার করা হয়েছিলো, এই টোটার মধ্যে বা কার্তূজের মধ্যে শুকরের চর্বি রয়েছে। এটা প্রচার করা হলো। তখন মুসলমান যারা সৈন্য ছিলেন উনারা বিদ্রোহ করলেন।
সেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিপ্লব, সিপাহী বিদ্রোহ বড় আন্দোলন হয়ে গেলো। শুধুমাত্র এই টোটার মধ্যে বা কার্তুজের মধ্যে বা গুলির মধ্যে শুকরের চর্বি ছিলো, সেটা প্রচার করার কারণে।
তাহলে এখন এরা যদি পবিত্র মসজিদে, মহান আল্লাহ পাক উনার ঘরে, মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে বলতে চায়, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে মানুষকে বলে, তাহলে মানুষ কি করবে?
এখন তারা বলতে পারে, কিছু উলামায়ে ‘সূ’ রয়েছে, যারা তাদেরকে সমর্থন করে থাকে। হ্যাঁ সেটা করবেই। আমিতো আগেই বলেছি, ইবলীস প্রথম উলামায়ে ‘সূ’। সেতো বিরুদ্ধে বলবে এবং তার অনুসারীরা বলবে এবং আরো যারা রয়েছে তারা বলবে। হ্যাঁ, এজন্যে উলামায়ে ‘সূ’ তাদের ফতওয়া নিয়ে কাজ করলে সেটা কখনও সঠিক হবে না। এদের তাহক্বীক্ব করে সেই মাসয়ালাটা আমল করা উচিত।
আমরা যে ছবির ফতওয়া দিয়েছি, আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফে প্রায় তিনশ’ তিপ্পান্নটা দলীল উল্লেখ করেছি। আমরা সামনে আরো বিস্তারিত ফতওয়া দিবো। ইনশাআল্লাহ।
সেই ফতওয়া সম্পর্কে আমরা তাদের বলেছিলাম, তোমরা সে ফতওয়া সংগ্রহ করো, পড়ে দেখে নাও, তাহক্বীক্ব করে নাও।
যেহেতু তোমরা মুসলমান দাবি করো, তোমরা যাদের দ্বারা প্রচার করার চেষ্টা করছো মসজিদের ইমাম, মুয়াযযিন, তোমাদের আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স এরাও কিন্তু মুসলমান। এরাও কেউ জাহান্নামে যেতে চাবে না। তাহলে সকলেই তোমরা যদি জান্নাতে যেতে চাও তাহলে কেন তোমরা সেই আমলটা করো না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












