ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (২৫)
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাজেই এখানে নিজের মত পেশ করার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ মুসলমান দাবি করে, সে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে থাকে, ঈমানদার দাবি করে তাহলে তাকে কি করতে হবে?
তাকে তো মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত হওয়ার কোশেশ করতে হবে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ মুবারক অনুযায়ী পথ হওয়ার জন্য কোশেশ করতে হবে।
কিন্তু এই সমস্ত বিভ্রান্ত শাসক যারা রয়েছে এরা আসলে উলামায়ে ‘সূ’দের দ্বারা বিভ্রান্ত। এরা মুনাফিকের দ্বারা প্ররোচিত। এই মুনাফিকরা
جِدَالُ الْـمُنَافِقِ بِالْكِتَابِ
কিতাবের অপব্যাখ্যা করে আর মুনাফিকরা এই ফতওয়াগুলো সংগ্রহ করে উলামায়ে ‘সূ’ দের কাছ থেকে। উলামায়ে ‘সূ’রা ফতওয়া দেয়, মুনাফিকরা সেটা নাড়াচাড়া করে। শাসকদের কাছে পৌঁছায়ে দেয়। শাসকরা সেটা জারি করে।
তাদেরতো পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের কোনো ইলিম-কালাম নেই। অর্থাৎ দ্বীনি ইলিম তাদের কাছে নেই। তারা বুঝবে কোত্থেকে।
এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاسْأَلُوْا اَهْلَ الذِّكْرِ اِنْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
তোমরা যারা জানো না, যারা জানেন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও। অর্থাৎ যারা আহলে যিকির, আল্লাহওয়ালা, হক্কানী-রব্বানী আলিম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও।
কাজেই এটা খুব মনে রাখতে হবে। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরুদ্ধে বলা মহান আল্লাহ পাক উনার বিরুদ্ধে বলা, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বলা। নাউযুবিল্লাহ! এটা কিন্তু মুসলমান বরদাশত করবে না।
বর্তমান আমরা যেটা হিসাব করে দেখেছি, পৃথিবীতে যারা আদমশুমারী করে থাকে তাদের হিসাব অনুযায়ী ২০০৭ সালেই পৃথিবীর লোকসংখ্যা ছিলো প্রায় ৬৫০ কোটি। তার মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা কমপক্ষে প্রায় দুইশ’ পঞ্চাশ কোটি। মুসলমানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এরপর বলা হয়েছে, দ্বিতীয় হচ্ছে বৌদ্ধদের সংখ্যা। তাদের সংখ্যা বলা হয়েছে একশত পঁয়তাল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কোটি। তৃতীয় বলা হয়েছে খৃস্টানদের সংখ্যা। তাদের সংখ্যা হচ্ছে একশত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ কোটি। আর চতুর্থ হচ্ছে হিন্দুদের সংখ্যা। সেটা হচ্ছে, প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কোটি।
এছাড়া যারা রয়েছে এদের সংখ্যা অনেক কম। ইহুদীদের সংখ্যা এক থেকে সোয়া কোটি। অথচ ইহুদীরাই এই খৃস্টানদের কাঁধে ছাওয়ার হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুফরী ফতওয়া দেওয়াচ্ছে। মুসলমান আলিম-উলামা, ছূফী-দরবেশ নামধারী লোকগুলো যারা রয়েছে এদের লোভ দেখিয়ে এদেরকে বিভ্রান্ত করছে তারা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৪)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পবিত্র নামায ক্বছর হওয়ার জন্য সফরের দূরত্বের সঠিক পরিমাপ মাইল হিসেবে সফরের দূরত্ব
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৫)
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)