ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (১০)
, ১৪ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৩ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
তখন তারা গোসসায় বলবে-
وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا
তারা বলবে-
وَقَالُوا رَبَّنَا
হে মহান আল্লাহ পাক হে আমাদের রব!
إِنَّا أَطَعْنَا
নিশ্চয়ই আমরা অনুসরণ করেছি। তারা অনুসরণ করেছে কাকে?
سَادَتَنَا
অর্থাৎ যারা আমাদের নেতা, রাজা-বাদশা, আমীর-উমরা ছিলো, তাদেরকে আমরা অনুসরণ করেছি-
وَكُبَرَاءَنَا
এবং আমাদের বড় মুরুব্বী যারা ছিলো, ধর্মীয় মুরুব্বী, উলামায়ে ‘সূ’ তাদেরকে অনুসরণ করেছি। যখন তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া হবে, তারা বলবে, যারা আমির-উমরা ছিল, যারা বড় মাওলানা ছাহিব ছিলো, তাদেরকে আমরা অনুসরণ করেছি।
فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا
আয় মহান আল্লাহ পাক! এরাইতো আমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলো, গোমরাহ করেছিলো। অর্থাৎ তাদেরকে ঐ সমস্ত রাজা-বাদশা, আমীর-উমরা উলামায়ে ‘সূ’রা বিভ্রান্ত করেছে, সেটাই তারা বলবে। এরপর তারা বলবে-
رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا
আয় বারে ইলাহী, আয় আমাদের রব তায়ালা! তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হোক এবং তাদের উপর বড় লা’নত বর্ষন করা হোক। করা হবে।
কিন্তু যে ব্যক্তি জাহান্নামী হয়ে গেলো আমীর উমরাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে, উলামায়ে ‘সূ’দের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে, গোমরাহ হয়ে, সেতো আর নাযাত পাবে না, সে দোযখে গিয়ে এটা বলবে।
বলাতে তার কি ফায়দা আসবে? ঐ আমীর-উমরা, রাজা-বাদশা আর সেই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’ তারাও জাহান্নামে যাবে। এই সমস্ত আম লোকগুলি মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তাদের বিরুদ্ধে বলবে, আয় মহান আল্লাহ পাক! এদের দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হোক, এদের প্রতি আরো বেশি লা’নত বর্ষণ করা হোক। মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন এবং লা’নত বর্ষণ করবেন।
কিন্তু তাতে কি হবে। উলামায়ে ‘সূ’ বা দুনিয়াদার আলিম যারা রয়েছে, রাজা-বাদশা, আমীর-উমরা এরাতো কঠিন আযাবে-গযবে গ্রেফতার হয়ে যাবে। কিন্তু এই সমস্ত লোকগুলোতো নাযাত পাবে না। এরাও আযাব-গযবে গ্রেফতার হয়ে যাবে। এর থেকে কারো কিন্তু রেহাই নেই।
তখন বুঝলে কিন্তু কোন কাজ হবে না। আগেই সেটা বুঝতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)