ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৯)
, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আর সপ্তম বলা হয়েছে, উলামায়ে ‘সূ’, যারা দ্বীন বিক্রি করে দুনিয়া হাছিল করে। এদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে সেটাও গীবত হবে না বরং ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি হুজ্জাতুল ইসলাম তিনি যে তাহক্বীক্ব করে ফতওয়া দিয়েছেন, এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’দের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে মকবুল ষাট বৎসর নফল ইবাদত থেকেও সেটা আফযল এবং উত্তম হবে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, উলামায়ে ‘সূ’দের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করে দেয়াটা, যাদের জানা রয়েছে তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। সেজন্য উলামায়ে ‘সূ’দের হাক্বীক্বত মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রকাশ করেছেন, করতে বলেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি করেছেন এবং করতে বলেছেন।
যে প্রসঙ্গে পবিত্র আয়াত শরীফ এসেছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এটা মুসলমানদের জন্য এ পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক নাযিল হয়েছে এবং কাফিরদের জন্যও হয়েছে। এটা সকলের জন্য নাযিল হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِى النَّارِ يَقُولُونَ يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا وَقَالُوا رَبَّنَا إِنَّا أَطَعْنَا سَادَتَنَا وَكُبَرَاءَنَا فَأَضَلُّونَا السَّبِيلَا رَبَّنَا آتِهِمْ ضِعْفَيْنِ مِنَ الْعَذَابِ وَالْعَنْهُمْ لَعْنًا كَبِيرًا.
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বলেন যে দেখ, উলামায়ে ‘সূ’দের দ্বারা মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে যখন দোযখে চলে যাবে, উলামায়ে ‘সূ’, আমীর-উমরাদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে যখন মানুষ কবরে চলে যাবে, বিচার হবে, আগুনের মধ্যে তাদের জ্বালনো হবে, আগুনের মধ্যে তারা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকবে তখন তাদের চেহারা ঝলসে যাবে, তাদের শরীর পুড়ে যাবে, আগুনের মধ্যে তারা কঠিন আযাবে-গযবে গ্রেফতার হয়ে যাবে, তখন তারা কি বলবে, সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখ করেন পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ উনার উনার মধ্যে-
يَوْمَ تُقَلَّبُ وُجُوهُهُمْ فِى النَّارِ
যখন তাদের চেহারা আগুনে ঝলসে যাবে তখন তারা বলতে থাকবে-
يَا لَيْتَنَا أَطَعْنَا اللهَ وَأَطَعْنَا الرَّسُولَا
হায় আফসুস! আমরা যদি সত্যি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুসরণ করতাম তাহলে আমাদের আজকে এ অবস্থা হতো না।
তারা বলতে থাকবে, হায় আফসুস! আমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে অনুসরণ করতাম, তাহলে আমাদের এ অবস্থা হতো না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)