ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৭)
, ০৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
প্রথম হচ্ছে, সম্পূর্ণ খিলাফত মুবারক উনার অধীন যারা রয়েছে তাদেরকে আপনি মনে করবেন তারা আপনার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সকলেই আপনার পরিবারের লোক। দু’নম্বর হচ্ছে, যারা বয়স্ক পুরুষ-মহিলা রয়েছে, তাদেরকে আপনি আপনার বাবা, মা, চাচা, চাচী, দাদা, দাদী তাদের মত মনে করবেন। আপনার সম বয়স্ক যারা রয়েছেন পুরুষ-মহিলা তাদেরকে আপনার ভাই-বোন মনে করবেন এবং যারা ছোট রয়েছে তাদেরকে আপনি ছেলে-মেয়ে মনে করবেন। এটা মনে করে পুরা খিলাফত মুবারক আপনার পরিবার মনে করবেন। এরপর আপনি পরিচালনা করুন। আশা করা যায়, কোন অসুবিধা হবে না। আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করতে পারবেন। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য, হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বড় ফক্বীহ, ওলী, বযুর্গ হওয়ার পরও নছীহত চাইলেন যে, কি করে পরিচালনা করা যেতে পারে। যাতে সঠিকভাবে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দী মুবারক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রিযামন্দী মুবারক তিনি হাছিল করতে পারেন।
কাজেই, রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারা যারা হবে, তাদেরকে নছীহত করা, তাদের হাক্বীক্বত বলে দেয়া অর্থাৎ যদি কোন ভুল-ত্রুটি হয়ে যায় সেটা প্রকাশ করে দেয়াটা যারা সমসাময়িক হাদী থাকবেন, আলিম-উলামা থাকবেন উনাদের দায়িত্ব কর্তব্য, ফরয ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারারা যুলুম করে থাকে, যালিম হয়ে থাকে তারপরেও।
দু’নম্বর বলা হয়েছে, কোন বিচারকের কাছে, কাজী ছাহিবের কাছে কেউ যদি বিচারের জন্য যায় তখন তার দৃষ্টিতে বিপরীত পক্ষের যে দোষ-ত্রুটি রয়েছে, সেটা সে বলতে পারবে, তাতে তার গীবত হবে না। কারণ বিপরীত পক্ষের দোষ-ত্রুটি না বলে যদি সঠিক বিষয়টা তুলে না ধরে তাহলে বিচার শুদ্ধ হবে না। সেক্ষেত্রে সেটা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
তিন নম্বর বলা হয়েছে, কেউ যদি কোন ফতওয়ার জন্য, কোন হক্কানী-রব্বানী আলিম, মুফতী ছাহিব উনার কাছে যায় তাহলে সেখানেও ফতওয়ার বিষয় তাকে বিস্তারিত কথা বলতে হবে, এতে কারো দোষ-ত্রুটি প্রকাশ পেলে সেটাও বলতে হবে। এই মাসয়ালার ব্যাপারে, ফতওয়ার ব্যপারে দোষ-ত্রুটি স্পষ্ট করে বলাটাও ফরয ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত। কারণ সে যদি সঠিক কথা না বলে তাহলে মাসয়ালা বা ফতওয়া শুদ্ধ হবে না।
যেমন দেখা যায়, এখন অনেকেই তালাক দিয়ে থাকে। এখন দেয়ার সময় সে দিয়েছে। এরপর সে কি করে, বাঁচার জন্য ঘুরিয়ে মিথ্যা কথা বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! এতে কিন্তু মাসয়ালাটা ঘুরে গেলো। যার কারণে তার বিবাহ ছিন্ন হয়ে গেলো সে কিন্তু সেটা চুপিয়ে রাখলো, তার ফলে কি হলো, আজীবন সে এই কঠিন গুনাহে গুনাহগার হবে, ব্যভিচারী হিসেবে সে সাব্যস্ত হবে। নাঊযুবিল্লাহ! একটা কথা ঘুরিয়ে বলার কারণে।
ঘটনাটা সঠিকভাবে বলা তার জন্য ফরয-ওয়াজিব ছিলো। কাজেই বিচারকের কাছে, কাজী ছাহিবের কাছে, মুফতী ছাহিবের কাছে তাকে সঠিকভাবে বলতে হবে, যদিও কারো দোষ-ত্রুটি প্রকাশ পায় বা পাবে, তাতে গীবত হবে না।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মসজিদে ইবাদত করতে বাধা দেয়া বা মসজিদ উচ্ছেদ করা কুফরী
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাওয়ানেহ উমরী মুবারক (১)
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৫)
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইবলিসের পরে দ্বিতীয় উলামায়ে সূ হলো বালয়াম বিন বাউরা
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বত ঈমান, আর উনাদের সমালোচনা করা লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)