ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে-‘সূ’দের হাক্বীকত সম্পর্কে (৬)
, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَبِى سَعِيْدِنِ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْغِيْبَةُ اَشَدُّ مِنَ الزِّنٰى
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা উভয়ে বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, গীবত করা হচ্ছে ব্যভিচার থেকেও কঠিন গোনাহ।
এখন এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং অনেক ইমাম মুজতাহিদ উনারা এ বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন যে, দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলেই শুধু সেটা গীবত হবে না বরং ক্ষেত্রবিশেষে অর্থাৎ কোন কোন ক্ষেত্রে কোন কোন দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।
সেটার ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন-
এক নম্বর হচ্ছে, যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারা, যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-উমারা রয়েছে, এদের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা কখনও গীবত হবে না। সমস্ত ইমাম মুজতাহিদ উনারা একমত।
কারণ এই শাসকশ্রেণী ওদের যদি দোষ-ত্রুটি বর্ণনা না করা হয় তাহলে তারা বেপরোয়া হয়ে যাবে। সাধারণত যারা শাসকশ্রেণী হয়ে থাকে, এদের ইলিম-কালামের অভাব থেকে থাকে। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা থাকে না। এদের ইলমে দ্বীন সম্পর্কে অনেক অজ্ঞতা রয়েছে। যার কারণে এদেরকে এ বিষয় শক্ত নছীহত করা প্রয়োজন রয়েছে।
যেমন দেখা যায়, যিনি দ্বিতীয় উমর হিসেবে মাশহূর হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি, তিনি যখন খলীফা হলেন, তিনি কিন্তু বড় আলিম, বুযূর্গ, মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলীও ছিলেন। তিনি বড় আলিম, ছূফী, ফক্বীহ হওয়ার পরও তিনি যখন খিলাফত লাভ করলেন তখন উনার সমসাময়িক যারা বড় বড় ইমাম, মুজতাহিদ ছিলেন উনাদের কাছে তিনি চিঠি পাঠালেন, উনাকে যেনো নছীহত করা হয়।
উনার চিঠি পেয়ে উনার সমসাময়িক যারা ইমাম, মুজতাহিদ ছিলেন ফক্বীহ ছিলেন, উনারা সকলেই জবাব দিলেন, হে হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি নিজেও একজন ফক্বীহ, একজন আলিম, ছূফী, বুযূর্গ, কাজেই আপনাকে অত নছীহত করার প্রয়োজন নেই। তবে যতটুৃকু বলা প্রয়োজন আমরা ততটুকু আপনাকে বলবো, সেটা হচ্ছে, আপনি যদি খিলাফত মুবারক পরিচালনা করে এর মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক চান, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক চান- তাহলে একটা বিষয় লক্ষ্য রাখলেই আমরা মনে করি সেটা যথেষ্ট হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বদ নযর বা কুদৃষ্টি এবং তার শরয়ী আহকাম (৪)
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজ থেকে হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল বানানো নিষেধ
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে পবিত্র নামায ক্বছর হওয়ার জন্য সফরের দূরত্বের সঠিক পরিমাপ মাইল হিসেবে সফরের দূরত্ব
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৫)
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)