ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুসরণ করার গুরুত্ব ও ফযীলত (৩২)
, ২৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৭ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আপনার তিন নাম্বার মাসয়ালাটা কি? তখন উনি বললেন, হুযূর! আমি আবার ফিকির করতে লাগলাম। পবিত্র কুরআন শরীফ আবার রিসার্চ করতে লাগলাম। রিসার্চ করতে করতে আমি একটা পবিত্র আয়াত শরীফ পেয়ে গেলাম। কি পবিত্র আয়াত শরীফ? যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
ما عند كم ينفذ وما عند الله باق
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, তোমাদের কাছে যেটা রয়েছে সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। তোমাদের কাছে যেটা রয়েছে, সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আর আমার কাছে যেটা রয়েছে সেটা স্থায়ীত্ব লাভ করবে।
এই প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ করা হয়, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একটা ছাগল যবেহ করেছিলেন। একটা ছাগল যবেহ করেছিলেন। যবেহ করে ঘর থেকে বেরিয়ে কোথাও কোন কাজে গিয়েছিলেন।
বাইরে থেকে এসে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম! আমি যে ছাগলটা যবেহ করেছিলাম সেটার কিছু আছে কি?”
উনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সবকিছু দান করে দেয়া হয়েছে, একটা কাঁধ রয়েছে, একটা কাঁধ।
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম!
আপনি বলুন, কাঁধটি-ই নেই, বাকী সব রয়েছে। কাঁধটি-ই নেই, সব রয়েছে। তার অর্থ: যেটা দান করে দেয়া হয়, সেটাই থেকে যায়। আর যেটা দান করা হয় না, সেটা মূলতঃ থাকে না।
ما عند كم ينفذ وما عند الله باق
যেটা আমাদের কাছে রয়ে গেলো, দান করা হলোনা, সেটা মূলতঃ থাকলো না। যেটা দান করে দেয়া হলো সেটাই মূলতঃ রয়ে গেল।
হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, হুযূর! আমি যখন এই পবিত্র আয়াত শরীফ পেলাম, তখন আমার তাওফীক আন্দাজ, আমার সামর্থ অনুযায়ী আমি আমার যা ছিল ধন-দৌলত, টাকা-পয়সা, সম্পদ ছিল আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান-খয়রাত করে দিলাম। যেহেতু মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় সেটা জমা থাকবে, সেজন্য আমি দান-খয়রাত করলাম বেশী বেশী এবং এখনও আমার তাওফীক আন্দাজ আমি দান-খয়রাত করে থাকি। সুবহানাল্লাহ!
হযরত শাক্বীক্ব বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে হাতেম! আপনি তো উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী ও মুশরিকরা
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গোল্ডেন রাইস (১)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১০)
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যে সকল ওলামায়ে সূ’রা মন্দির ও মূর্তি পাহারা দিয়েছে, পূজা করতে সাহায্য-সহযোগিতা করেছে এবং সমর্থন করেছে, তারা প্রত্যেকেই মূর্তিপূজারী ও মুশরিক (৩)
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত মুসলমান উনাদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ব্যবসা করা হালাল ও সুন্নত আর সুদ হারাম
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)