সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য মুবারক সম্পর্কে ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ (৩৭)
, ২৬ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ০৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৫ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
উনাদের যে মর্যাদা-মর্তবা, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী মুবারক-এ রয়েছে, সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, আরও অনেকেই। উনারা জায়নামায তুললে দেখেছেন তার নীচে অনেক স্বর্ণ, মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত-এর নহর চলছে অর্থাৎ এটা একটা উনাদের কারামতের অন্তর্ভুক্ত। এই যে কারামতের বিষয়টা এ বিষয়টা কিন্তু প্রথম প্রদর্শন করিয়েছেন দেখিয়েছেন কে? স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বিষয়টা প্রথম দেখিয়েছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং বলেছিলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, আপনি যদি বলেন, উহুদ পাহাড় স্বর্ণ হয়ে আপনার পিছনে পিছনে চলবে, আপনি প্রয়োজন মত সেখান থেকে খরচ করবেন। তিনি বললেন, বারে ইলাহী! আমার তো উহূদ পাহাড় স্বর্ণ হওয়ার প্রয়োজন নেই, আমার তো প্রয়োজন আপনাকে, আপনাকে পেলেই তো আমার সব হয়ে যায়।
এখন এই যে বিষয়টা, এটা তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিলেন। আসলে আমাদের প্রয়োজন খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক উনাকে। উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমাদের প্রয়োজন এবং হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আমাদের প্রয়োজন। এ বিষয়টা আমাদের বুঝানো হয়েছে। ঠিক একইভাবে তিনি একদিন সাইয়্যিদাতুন নিসা হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বিষয়টা বললেন যে, আসলে এই দুনিয়াবী সম্পদ তো আমাদের পিছনে পিছনে ঘুরে, আমরা তো সেটা গ্রহণ করতে রাজি নই। আমরা তো চাচ্ছি যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক উনাকে। এটা বলে তিনি স্বয়ং জায়নামায মুবারক তুলে ধরলেন। সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি দেখতে পেলেন সত্যি স্বর্ণ, মণি, মুক্তা, হীরা জহরত অনেক কিছুর নহর তার তল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুবহানাল্লাহ!
এই যে বিষয়গুলি। এই বিষয়গুলি দ্বারা এটাই প্রমাণ করা হচ্ছে যে, আসলে উম্মতের জন্য মূল বিষয়টা কি? কি তাকে হাছিল করতে হবে? যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, উনার পূত-পবিত্রা আহলিয়া, আযওয়াজে মুতহ্হারাত হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উনার আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আমাদের প্রয়োজন। এই বিষয়টা কিন্তু বুঝানো হয়েছে। এখন বাজারে আজকাল দেখা যায়, কোন জীবনী মুবারক আলোচনা করলে এমনভাবে সেটা আলোচনা করা হয়ে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে উনাদের মান-শানেরও সেটা খিলাফ হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! সেটা উনাদের মান-শানেরও খিলাফ হয়ে যায়। আসলে বিষয়গুলো দ্বারা কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারক জাহির করেছেন। যেমন একটা মেছাল, ওয়াকিয়া বলা যেতে পারে। একদিন সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ নিলেন। উনাদের এত তাওয়াক্কুল, উনারা কিন্তু সবসময় সবকিছুই দান-খয়রাত করে দিতেন। এটা সমস্ত হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরও একই অবস্থা। এক বৎসরের ভাতা উনাদেরকে দেয়া হতো, এক মাসও সেটা চলতো না। এর আগে উনারা দান-খয়রাত করে সেটা শেষ করে দিতেন। সুবহানাল্লাহ! ঠিক সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও কিন্তু এরকমই করতেন। উনাদের হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা আসলেও ওটা কিন্তু উনারা দান করে দিতেন। কিন্তু মানুষ বলতে চায় যে, উনারা অভাবী ছিলেন। নাউযুবিল্লাহ! একজন ওলীআল্লাহ তিনিই যদি অভাবী না থাকেন তাহলে ওলীআল্লাহ উনাদের মূল যিনি তিনি কি করে অভাবী থাকবেন। নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি গণী, উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গণী, উনার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাও গণী। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু মানুষ সেটার অপব্যাখ্যা করে থাকে। যে ওয়াকিয়াটা আমি বলতেছিলাম যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ নিয়েছেন। এখন মেহমানদারী করতে হবে। মেহমানদারী করবেন, উনারা তো সবসময় মেহমানদারী করতেছেন। কোন সায়িল কোন কিছু চাইলে উনারা সবই দিয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ! এত উনারা দান-খয়রাত করতেন। সুবহানাল্লাহ! যেহেতু স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, বাতাস যত দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয় তার চেয়েও দ্রুত গতিতে তিনি দান-খয়রাত করতেন। সুবহানাল্লাহ!
(পবিত্র ওয়াজ শরীফ অডিও রেকর্ড পেতে যোগাযোগ করুন- তাহযীব তামাদ্দুন বিভাগ, রাজারবাগ শরীফ ঢাকা)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)